দোঁহা

রবীন বসুর কবিতা

 


কাঁচুলি খুলে ছুঁড়ে দেয়


ইঁদারায় হাত দিয়ে জল ও মাটির স্পর্শ

তোমার বুকের মত নরম 

তোমার উরুতে যেই রেখেছি হাত

ভূমিকম্পে টলে যায় আমার পৃথিবী

আমি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে হাতড়াতে থাকি


মণিমাণিক্য, কামরসের স্রোত, যোনির গুপ্তদ্বার 

আমাকে প্রশিক্ষণ দাও তুমি

অন্ধের লাঠির মত আমার আঙুল ঠুকে ঠুকে হাঁটে

কর্দমাক্ত শীতলতা আর পিচ্ছিল আর্দ্রতায়

তোমার সুগভীর গোপনাঙ্গ আলোকিত করে 


আমার পুরুষালি ঠোঁট তোমার ঠোঁটে

উত্তপ্ত জিভ তোমার যৌনাঙ্গ লেহন করে

প্রাচীন সভ্যতা উঠে আসে, সব কামনামদির মেয়ে

পরস্পর গা-জড়াজড়ি করে, আর আমার সাথে

জলকেলি করবে বলে কাঁচুলি খুলে ছুঁড়ে দেয়… 



প্রেমের ভুবন


তোমাকে চুম্বনে ডাকি, আলিঙ্গনে ধরি

তোমার ও স্তনের স্পর্শে প্রতিদিন মরি,

কী কোমল পেলবতা সুগভীর পদ্মনাভি

ওখানেই মুখ রাখি, দেখি অনন্ত উদ্ভাসি।


তারও পরে নদীরেখা, বালুতট প্রসারিত

কামনা আছাড় খায়, পথ শুধু অবারিত,

অনন্ত গভীরে গিয়েই শিশ্ন খোঁজে তাকে

যোনি বলে ডাকে যারে আপামর লোকে।


তারপরেই অন্ধকার আশ্লেষে মোহিত হই

শীৎকারে জানান দাও তুমি প্রাণাধিক সই,

ঠিক পথে যাচ্ছে দণ্ড, হবে ঠিক বীর্যপতন

তোমারও সমুদ্রসুখ বয়ে যাবে নদীর মতন।


পাপপুণ্য তোলা থাক, তোলা থাক সংকোচ

সহবাসে তৃপ্ত হই, হাত ভরি মিলন-উৎকোচ,

সংরাগ তীব্রতায় তোমাকেই ফের করি চুম্বন

মুগ্ধ জীবন আজ, ভরে দেখি প্রেমের ভুবন

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন