নিমাই জানা
আজ যদি কোন হিলিয়াম জলে গোলানো রক্ত স্নাতক কোন মুক্ত গদ্য লিখতে বসি গণতন্ত্র নামক একটি উৎসব অথবা উৎসব বিষয়ক গণতন্ত্র নিয়ে তখন সারা পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু সংক্রান্ত ১৪৪ দ্বারা কারফিউ জারি চলছে , রাস্তা জুড়ে কত মানুষের জোড়হাতে কাতর মিনতি গণতন্ত্রের অধিকারের গ্রহীতা সেজে প্রার্থনা ।কালকেতু ব্যাধ অথবা সর্পেষ্টি যজ্ঞ অশ্বমেধ সুপেয় বাজপেয় প্রভৃতি নামাঙ্কিত কোন যজ্ঞের মতো এই যজ্ঞের নাম শুনে প্রতিটি বৈবস্বত্য মন্বন্তরের মনীষীরা খুব লজ্জা পাবেন । গণতন্ত্রের একাল সেকাল মন্বন্তর , মন্বন্তরের শেষ , মন্বন্তরের শুরু , এমন করে বলতে গেলেই বোধহয় কোন কিছুই বলা হবে না আসলে প্রতিদিনই সূর্য তার হিলিয়াম সংযোজনের মাধ্যমে বিস্তর শক্তি নির্গত করে চলেছে, পৃথিবী সূর্যের সম্মুখ সমরে নেমে পড়ছে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে , আবার চাঁদ তার পোষণ শক্তি নিয়ে ঠিক মধ্যরাত্রে উদয় হচ্ছে ঔষধি শক্তি নিয়ে তিনি রোগহরণ দৃশ্য এঁকে দিচ্ছেন ছায়া মানবদের শরীরে , তিলকে। সবকিছুই চলছে , সময়ের প্রবাহ , অয়ন কাল ঘন্টা মিনিট মুহূর্ত দিন রাত সব কিছুই চলছে কালের মহাপ্রবাহ থেকে , কোন ব্যতিক্রম কোনদিনই ঘটতে পারে না শুধু আয়ু ফুরিয়ে যাচ্ছে মানুষের, পশু পাখির , গাছপালার অর্থাৎ প্রতিটি বিনাশশীল জগতের , দোঁহার মতো একটি সময়োপযোগী অনলাইন সাহিত্যের মাধ্যম যেখানে বিষয় ভিত্তিক লেখার এবারের বিষয়ে গণতন্ত্রের উৎসব ও উৎসবের গণতন্ত্র, আবার গণতন্ত্রের একাল সেকাল, এখানে গণতন্ত্র নামক যে যজ্ঞের ওপর ভিত্তি করে যা কিছু ঘটে চলেছে আবার গণতন্ত্রকে নির্ভর করে সেকালে যা কিছু ঘটেছিল সরল অনুপাতে ছিল তাও বলা ঠিক হবে না , আবার যদি বলি সেকাল একাল ব্যস্ত অনুপাতে চলছে তাদের গণতন্ত্রের ধরন গণতন্ত্রের গতিপ্রকৃতি গণতন্ত্রের কেন্দ্র করে তার আবহাওয়ার উত্তাপের ইলেকট্রন চ্যুতি তা ও হয়তো ঠিক হবে না । আসলে সবকিছুই আপেক্ষিক । পূর্বে গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি বর্তমানের গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি হয়তো কিছু পরিবর্তন হয়েছে বটে কিন্তু গণতন্ত্রের মাধ্যমে বিজেতাকে বিচার করার উদ্দেশ্য এক থেকে গেছে । পূর্বে হয়তো সকলে জড়ো হয়ে তাদের পছন্দের মানুষকে বেছে নিতে পারতেন সেখানে মনোমালিন্য থাকতো না সেখানে হয়তো ক্রোধ অভিমান কপটতা কোন কোন সময় প্রকাশ পেত না আবার এখন গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি ইলেকট্রনিক্স ভিত্তিতে ঘটেছে । সেখানে এসেছে গোপনীয়তা রক্ষা করার অনির্বাণ সুযোগ । সব মানুষেরাই তাদের পছন্দের মানুষকে বেছে নিতে পারেন একটি সান প্যাকের তৈরি ভোটদান কক্ষে , আগে টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো চটের তৈরি ভোটদান কক্ষ ছিল সেখান থেকে বর্তমানের গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে । আগে যেখানে ব্যালট সিস্টেম ছিল এখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন , ভি ভি প্যাড , ব্যালট ইউনিট কন্ট্রোল ইউনিট , সবকিছুর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ বেছে নিতে পারছেন তাদের পছন্দের মানুষকে , মক পোলিং সিস্টেমে ভোটদান প্রক্রিয়ার মহড়া , গণতন্ত্র অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ তার গণতন্ত্র অধিকার ব্যক্তিগত অধিকার ভোটদান প্রক্রিয়াটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আছেন যুগে যুগে প্রাচীন যুগ থেকে । আগে জনসংখ্যা খুব কম ছিল কৌম গুহাকেন্দ্রিক মানুষের বসতি ছিল , তাদের মধ্য থেকে খুব শক্তিশালী দৃঢ়চেতা ধর্মজ্ঞানী কর্মজ্ঞানী মহা তেজা মানুষকে সকলেই এক বাক্যে মেনে নিতে পারতেন । কিন্তু বর্তমানে সব মানুষই ভাবেন নিজে নিজেই মহাতেজা দৃঢ়তেজা কেউ কারো ক্ষমতা টুকু খর্ব করে দেখতে চান না , ফলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এত বিশাল এক অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করতে হয়। প্রিজাইডিং অফিসার ফাস্ট পোলিং অফিসার সেকেন্ড পোলিং অফিসার থার্ড পোলিং অফিসার ফোর্থ পোলিং অফিসার সেক্টর অফিসার নির্বাচন কমিশন নামক বিভিন্ন আধিকারিক তৈরি করতে হয়। তার থেকেও প্রতিটি মানুষকে ভোটার নামক এক বিশেষ্য পদার্থের সক্রিয় উপাদান তৈরি করতে হয় যে এপ্রিল ও মে মাসের প্রখর রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে । অবশেষে সেটা কমলালেবুর খোসার তেলগ্রন্থির তাড়া খেয়ে মহাশূন্যের কক্ষপথ থেকে চিরদিনের জন্য বিতাড়িত হয়ে যাবে। কোনদিন চিনি কারখানার ভেতরে থাকা সফেদ কেলাসাকার পদার্থ গুলির স্বাদ পাবেন না উত্তপ্ত রোদে দাঁড়ানো গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ । কষ্ট বলে কিছুই থাকবে না , মানুষের গণতন্ত্রের যজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে প্রতিটি মানুষ তাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর বলয় নির্বাচনী প্রচারে নামবে নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে তার প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করবেন মাটির তলায় রাখবেন বিস্ফোরক অস্ত্রাগারের আবিষ্কার ঘটবে এনএসজি কমান্ডোরা আসবেন তারা কয়লা খাদান পরিত্যক্ত বাড়ি বাগান জমিন প্রভৃতি জায়গা থেকে বারুদের মশলা বোম বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ অ-উদ্ধারকৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে, নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে , কারা পুড়বে সাধারণ মানুষের গলা নদীতে পুকুরে গাছের ডালে নদীর জলে পড়ে থাকবে উলঙ্গ ভাবে , খুব ভোর হওয়ার মতো আগে যাওয়ার ভিত্তিতে শক্তিশালী দলগুলো তাদের পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলতে চাইবে মৃতদেহ , মৃতদেহ ওই পতাকা গুলো বুকের উপর রাখতে না পেরে মৃত অবস্থাতেও তাদের শ্বাসকষ্ট হবে তারা কবরে অথবা শ্মশানে গিয়েও শান্তি পাবে না কারণ তাদের কবর আর চিতার কাছে পত পত করে উঠবে একটা নির্দিষ্ট রঙের পতাকা এই গণতন্ত্র প্রয়োগের দিন অথবা তার আগের দিন অথবা বেশ কয়েকদিন পর ব্যক্তিগত আক্রমণ হুমকি গোলাগুলি তীর নিক্ষেপ ঘরবন্দী জীবন যাপন সবকিছুই হয়তো সেকালেও ছিল একালেও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে কিন্তু এর মাত্রাটা ক্রমশ পারদের মতো উষ্ণতার মতো মৃত্যুর মতো উর্ধগামী । যত মাথার উপরে ন্যায় মহামান্য বিচারালয় গুলো থাকবে তবু গণতন্ত্রকে কেন্দ্র করে যে মানুষগুলো সারা জীবনের জন্য প্রি ম্যাচিওড মৃত্যুবরণ করল , যে তাদের আত্মীয়হারা হলো আয়ু শেষ হয়ে গেল তারা কি কোন ভাবে মৃতদেহ ছাড়া একটা মানুষের শরীর পাবে। তাদের নিজেদের পরিবারকে পাবে না । রাজা বসুক সিংহাসন থাকুক কিন্তু এই ভয়ানক যজ্ঞ করতে গিয়ে মানুষের অকাল মৃত্যু গুলো বন্ধ হোক।
আলো হোক অন্ধকার হোক পাপ ও পূর্ণ হোক রাত হোক দিন হোক বৃষ্টি হোক নর্দমা হোক কালী হোক বুদ্ধ হোক ছায়া হোক ছবি হোক সবকিছু সবকিছুর সময় যেন না গণতন্ত্রের উৎসবে কোনো ভয়ানক যজ্ঞস্থলী জ্বলে ওঠে । বৃষ্টি আসুক উৎসব হোক গণতন্ত্রের উৎসব হোক সবাই মেতে উঠুক গণতন্ত্রের প্রয়োগ করতে যারা নেচে নেচে যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যায় , তবু যেন যক্ষা রোগাক্রান্ত আমাদের এই নিচ মনা সম্পন্ন মানুষের ভেতরে পাশবিক ক্ষর সৃষ্টি না জেগে ওঠে মাংসাশীর মতো । বৃষ্টি আসছে বোধহয় সময় চলে যাবে তবুও যুদ্ধক্ষেত্রের শাঁখ বাজবে না কারণ নিভৃতেই সকলেই ঈশ্বর সাজছেন ।
আজ যদি কোন হিলিয়াম জলে গোলানো রক্ত স্নাতক কোন মুক্ত গদ্য লিখতে বসি গণতন্ত্র নামক একটি উৎসব অথবা উৎসব বিষয়ক গণতন্ত্র নিয়ে তখন সারা পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু সংক্রান্ত ১৪৪ দ্বারা কারফিউ জারি চলছে , রাস্তা জুড়ে কত মানুষের জোড়হাতে কাতর মিনতি গণতন্ত্রের অধিকারের গ্রহীতা সেজে প্রার্থনা ।কালকেতু ব্যাধ অথবা সর্পেষ্টি যজ্ঞ অশ্বমেধ সুপেয় বাজপেয় প্রভৃতি নামাঙ্কিত কোন যজ্ঞের মতো এই যজ্ঞের নাম শুনে প্রতিটি বৈবস্বত্য মন্বন্তরের মনীষীরা খুব লজ্জা পাবেন । গণতন্ত্রের একাল সেকাল মন্বন্তর , মন্বন্তরের শেষ , মন্বন্তরের শুরু , এমন করে বলতে গেলেই বোধহয় কোন কিছুই বলা হবে না আসলে প্রতিদিনই সূর্য তার হিলিয়াম সংযোজনের মাধ্যমে বিস্তর শক্তি নির্গত করে চলেছে, পৃথিবী সূর্যের সম্মুখ সমরে নেমে পড়ছে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে , আবার চাঁদ তার পোষণ শক্তি নিয়ে ঠিক মধ্যরাত্রে উদয় হচ্ছে ঔষধি শক্তি নিয়ে তিনি রোগহরণ দৃশ্য এঁকে দিচ্ছেন ছায়া মানবদের শরীরে , তিলকে। সবকিছুই চলছে , সময়ের প্রবাহ , অয়ন কাল ঘন্টা মিনিট মুহূর্ত দিন রাত সব কিছুই চলছে কালের মহাপ্রবাহ থেকে , কোন ব্যতিক্রম কোনদিনই ঘটতে পারে না শুধু আয়ু ফুরিয়ে যাচ্ছে মানুষের, পশু পাখির , গাছপালার অর্থাৎ প্রতিটি বিনাশশীল জগতের , দোঁহার মতো একটি সময়োপযোগী অনলাইন সাহিত্যের মাধ্যম যেখানে বিষয় ভিত্তিক লেখার এবারের বিষয়ে গণতন্ত্রের উৎসব ও উৎসবের গণতন্ত্র, আবার গণতন্ত্রের একাল সেকাল, এখানে গণতন্ত্র নামক যে যজ্ঞের ওপর ভিত্তি করে যা কিছু ঘটে চলেছে আবার গণতন্ত্রকে নির্ভর করে সেকালে যা কিছু ঘটেছিল সরল অনুপাতে ছিল তাও বলা ঠিক হবে না , আবার যদি বলি সেকাল একাল ব্যস্ত অনুপাতে চলছে তাদের গণতন্ত্রের ধরন গণতন্ত্রের গতিপ্রকৃতি গণতন্ত্রের কেন্দ্র করে তার আবহাওয়ার উত্তাপের ইলেকট্রন চ্যুতি তা ও হয়তো ঠিক হবে না । আসলে সবকিছুই আপেক্ষিক । পূর্বে গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি বর্তমানের গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি হয়তো কিছু পরিবর্তন হয়েছে বটে কিন্তু গণতন্ত্রের মাধ্যমে বিজেতাকে বিচার করার উদ্দেশ্য এক থেকে গেছে । পূর্বে হয়তো সকলে জড়ো হয়ে তাদের পছন্দের মানুষকে বেছে নিতে পারতেন সেখানে মনোমালিন্য থাকতো না সেখানে হয়তো ক্রোধ অভিমান কপটতা কোন কোন সময় প্রকাশ পেত না আবার এখন গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি ইলেকট্রনিক্স ভিত্তিতে ঘটেছে । সেখানে এসেছে গোপনীয়তা রক্ষা করার অনির্বাণ সুযোগ । সব মানুষেরাই তাদের পছন্দের মানুষকে বেছে নিতে পারেন একটি সান প্যাকের তৈরি ভোটদান কক্ষে , আগে টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো চটের তৈরি ভোটদান কক্ষ ছিল সেখান থেকে বর্তমানের গণতন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে । আগে যেখানে ব্যালট সিস্টেম ছিল এখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন , ভি ভি প্যাড , ব্যালট ইউনিট কন্ট্রোল ইউনিট , সবকিছুর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ বেছে নিতে পারছেন তাদের পছন্দের মানুষকে , মক পোলিং সিস্টেমে ভোটদান প্রক্রিয়ার মহড়া , গণতন্ত্র অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ তার গণতন্ত্র অধিকার ব্যক্তিগত অধিকার ভোটদান প্রক্রিয়াটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আছেন যুগে যুগে প্রাচীন যুগ থেকে । আগে জনসংখ্যা খুব কম ছিল কৌম গুহাকেন্দ্রিক মানুষের বসতি ছিল , তাদের মধ্য থেকে খুব শক্তিশালী দৃঢ়চেতা ধর্মজ্ঞানী কর্মজ্ঞানী মহা তেজা মানুষকে সকলেই এক বাক্যে মেনে নিতে পারতেন । কিন্তু বর্তমানে সব মানুষই ভাবেন নিজে নিজেই মহাতেজা দৃঢ়তেজা কেউ কারো ক্ষমতা টুকু খর্ব করে দেখতে চান না , ফলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এত বিশাল এক অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করতে হয়। প্রিজাইডিং অফিসার ফাস্ট পোলিং অফিসার সেকেন্ড পোলিং অফিসার থার্ড পোলিং অফিসার ফোর্থ পোলিং অফিসার সেক্টর অফিসার নির্বাচন কমিশন নামক বিভিন্ন আধিকারিক তৈরি করতে হয়। তার থেকেও প্রতিটি মানুষকে ভোটার নামক এক বিশেষ্য পদার্থের সক্রিয় উপাদান তৈরি করতে হয় যে এপ্রিল ও মে মাসের প্রখর রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে । অবশেষে সেটা কমলালেবুর খোসার তেলগ্রন্থির তাড়া খেয়ে মহাশূন্যের কক্ষপথ থেকে চিরদিনের জন্য বিতাড়িত হয়ে যাবে। কোনদিন চিনি কারখানার ভেতরে থাকা সফেদ কেলাসাকার পদার্থ গুলির স্বাদ পাবেন না উত্তপ্ত রোদে দাঁড়ানো গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ । কষ্ট বলে কিছুই থাকবে না , মানুষের গণতন্ত্রের যজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে প্রতিটি মানুষ তাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর বলয় নির্বাচনী প্রচারে নামবে নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে তার প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করবেন মাটির তলায় রাখবেন বিস্ফোরক অস্ত্রাগারের আবিষ্কার ঘটবে এনএসজি কমান্ডোরা আসবেন তারা কয়লা খাদান পরিত্যক্ত বাড়ি বাগান জমিন প্রভৃতি জায়গা থেকে বারুদের মশলা বোম বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ অ-উদ্ধারকৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে, নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে , কারা পুড়বে সাধারণ মানুষের গলা নদীতে পুকুরে গাছের ডালে নদীর জলে পড়ে থাকবে উলঙ্গ ভাবে , খুব ভোর হওয়ার মতো আগে যাওয়ার ভিত্তিতে শক্তিশালী দলগুলো তাদের পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলতে চাইবে মৃতদেহ , মৃতদেহ ওই পতাকা গুলো বুকের উপর রাখতে না পেরে মৃত অবস্থাতেও তাদের শ্বাসকষ্ট হবে তারা কবরে অথবা শ্মশানে গিয়েও শান্তি পাবে না কারণ তাদের কবর আর চিতার কাছে পত পত করে উঠবে একটা নির্দিষ্ট রঙের পতাকা এই গণতন্ত্র প্রয়োগের দিন অথবা তার আগের দিন অথবা বেশ কয়েকদিন পর ব্যক্তিগত আক্রমণ হুমকি গোলাগুলি তীর নিক্ষেপ ঘরবন্দী জীবন যাপন সবকিছুই হয়তো সেকালেও ছিল একালেও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে কিন্তু এর মাত্রাটা ক্রমশ পারদের মতো উষ্ণতার মতো মৃত্যুর মতো উর্ধগামী । যত মাথার উপরে ন্যায় মহামান্য বিচারালয় গুলো থাকবে তবু গণতন্ত্রকে কেন্দ্র করে যে মানুষগুলো সারা জীবনের জন্য প্রি ম্যাচিওড মৃত্যুবরণ করল , যে তাদের আত্মীয়হারা হলো আয়ু শেষ হয়ে গেল তারা কি কোন ভাবে মৃতদেহ ছাড়া একটা মানুষের শরীর পাবে। তাদের নিজেদের পরিবারকে পাবে না । রাজা বসুক সিংহাসন থাকুক কিন্তু এই ভয়ানক যজ্ঞ করতে গিয়ে মানুষের অকাল মৃত্যু গুলো বন্ধ হোক।
আলো হোক অন্ধকার হোক পাপ ও পূর্ণ হোক রাত হোক দিন হোক বৃষ্টি হোক নর্দমা হোক কালী হোক বুদ্ধ হোক ছায়া হোক ছবি হোক সবকিছু সবকিছুর সময় যেন না গণতন্ত্রের উৎসবে কোনো ভয়ানক যজ্ঞস্থলী জ্বলে ওঠে । বৃষ্টি আসুক উৎসব হোক গণতন্ত্রের উৎসব হোক সবাই মেতে উঠুক গণতন্ত্রের প্রয়োগ করতে যারা নেচে নেচে যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যায় , তবু যেন যক্ষা রোগাক্রান্ত আমাদের এই নিচ মনা সম্পন্ন মানুষের ভেতরে পাশবিক ক্ষর সৃষ্টি না জেগে ওঠে মাংসাশীর মতো । বৃষ্টি আসছে বোধহয় সময় চলে যাবে তবুও যুদ্ধক্ষেত্রের শাঁখ বাজবে না কারণ নিভৃতেই সকলেই ঈশ্বর সাজছেন ।