অন্ধকার গাঢ় হয়
তোমার খড়ের চালে আজ দেখি পুঁইলতা বাড়ে ধীরে। বাড়ে মেয়ে গঙ্গামণির স্তন
বুনো ঘাস বাড়ে কিছু ক্ষেতে,
এ ঘাস নিড়ান না যায়
তাই জন্তু ঢুকে পড়ে কিছু
তোমাকে দেখায় খুব চিন্তান্বিত মুখ।
অন্ধকারে বাড়ি মারো, হয়তো কোন গুপ্ত ওত ওইখানে দাঁড়িয়ে ছিল, ওই যে অন্ধকারে;
না হলে সামনে বাজরা ক্ষেত
হায়নার দল ঢুকে আছে সেইখানে
লোহামণি সোরেনের চোখ আঁতিপাঁতি খোঁজে।
এ আঁধারে শ্বাপদেরা চুপ, নিঃশব্দে থাবা মারে
কুমারীর শস্যক্ষেত হয় লণ্ডভণ্ড
লালসা লালা চেটে নেয় গঙ্গামণি সোরেনের দেহ।
সংবাদ মাধ্যম নেই, সংকোচ লজ্জায় মুখ ঢাকে।
এরমধ্যে ভোট এসে গেল; গণতন্ত্রের উৎসব
শেষ হলে অন্ধকার আরো গাঢ় হবে!
অনভিপ্রেত গণতন্ত্র
দৃষ্টিকোণ বরাবর শুয়ে আছে পুঁইলতা মেঘ
আকাশে বৈশাখ, শুকনো মাঠে মাঠে খড়
হৃদয় ভেঙে দগ্ধ দাগ, তবুও ভোট এসে গেল।
মধ্যরাতে জ্বলে ওঠে ভয়ঙ্কর গোপন অগ্নি
শ্বাসরুদ্ধ ষড়যন্ত্র আর রাষ্ট্রের হিংসা
মেঠো পথ ধরে লাঞ্ছনা বাজরা ক্ষেতের দিকে যায়।
এই নিষ্প্রভ আলো, নিভে আসা দিন
ছায়াঢাকা মেঘপ্রান্তর পার হয়ে যে মেয়ে
হেঁটে গেল মৃত্যু সজ্জায়,তার গায়ে
বিকৃত লালসার রস। ভাঙা মেরুদণ্ড আর
কাটা জিভ শুধু জবানবন্দি দিয়ে যায়
মূক বধির প্রেতাত্মার কাছে।
দৃষ্টিকোণ বরাবর শুয়ে আছে গণতন্ত্র, অনভিপ্রেত
অসহায় এক ভয়, তাড়িত উৎকণ্ঠা নিয়ে সন্ত্রস্ত মানুষ
গ্রামদেশে ম্লান আলোয় ছুটে যাচ্ছে হিংসা!
সন্ত্রাসের গণতন্ত্র তুমি কার দিকে যাবে?