স্থবির দাশগুপ্ত
চিন্তার বিক্ষেপ ঘটিতেছে, মুহুর্মুহূ। কোনওকিছু গুছাইয়া ভাবিবার অবকাশ ইদানীং মেলে না, ক্ষণে ক্ষণে তাল লয় ছন্দ কাটিয়া যায়। ভাবনাগুলি যখন কোনও নিস্তরঙ্গ, আয়নার মতো শান্ত নদীর পটভূমি রচনা করিতে চায়, তখনই যেন স্তরে স্তরে লুকাইয়া থাকা, তীক্ষ্ণ তরবারির ন্যায় প্রবল স্বেচ্ছাচারী, উপর্যুপরি ঢেউ সকলই তছনছ করিয়া দেয়। এমন অবস্থা যে কতখানি বিরক্তিকর তাহা সকলেই বুঝেন, অতএব ব্যাখ্যা অধিকন্তু হইবেক। পাঠক বরং বিরক্তির কিছু নমুনা দেখুন।
দেশ স্বাধীন হইয়াছে বহুকাল। মহাকালের হিসাবে তাহা অকিঞ্চিৎ, তবে আমাদের বয়সের হিসাবে তাহা যথেষ্টই। এক্ষণে বিচিত্র অনুষ্ঠান, বক্তৃতামালা ও শপথ গ্রহণের চাকচিক্যে জানুয়ারি মাসের ছাব্বিশ তারিখটি বর্ণখচিত হইবেক, কল্পকথার ফানুসও উড়িবে, প্রতিবার যেমন হয়। কিন্তু আমাদের মতো কতিপয় বৃদ্ধ ভাবিতে বসিবে, কীসের বিনিময়ে কী পাইবার কথা ছিল, কী পাইলাম, কেন পাইলাম। পোষা বিড়ালের ন্যায় কোনও এক নাছোড় বিষাদ আমাদের পদপ্রান্তে বিচরণ করিবেক, অথচ আমরা তাহাকে পুষিতে চাহি নাই। আমরা ভাবিতে থাকিব, সভ্যতা এমন রাহুগ্রস্ত হইয়া গেল কখন, কেন। দেশভাগের ছলনাসংগীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ধাতব পদধ্বনি পুনরায় আমাদের বিবশ করিয়া দিবে—ইহার কি প্রয়োজন ছিল, কীরূপ প্রয়োজন ছিল, কাহার প্রয়োজন ছিল? বিশ্লেষণপ্রয়াসী কেহ কেহ ইতিহাসের পরিচ্ছেদ মিলাইয়া অংক কষিবেন। অংক মিলিবে না, ভাগশেষ অবশিষ্ট রহিয়াই যাইবে—কে দায়ী, কংগ্রেস না লীগ, নাকি কেহ দায়ী নহে, সকলই সময়ের দাবি অথবা দিব্যি!
প্রতিটি বৎসর, এই দিনটিতে অন্তত ক্ষণকালের জন্য সেই কুৎসিত দৃশ্যটি আমাদের কাহারও মনশ্চক্ষে ভাসিতে থাকিবে—চিরতরে, বেবাক ছিন্নমূল হইয়া এক বিপুল জনগোষ্ঠী ইতিহাসের প্রান্তসীমার দিকে ধাবমান, দুই চক্ষে শূন্যদৃষ্টি। কেহ আত্মদংশনে পীড়িত হইয়া ভাবিব, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এমন মর্মান্তিক আহুতির সমকক্ষ ইতিহাসে দুর্লভ। কিন্তু চিন্তার বিক্ষেপ, তাই শ্রীযুক্ত আম্বেদকরকে অকস্মাৎ জিজ্ঞাসা করিতে মন চাহিবে, আপনার বহু পরিশ্রমে রচিত দলিল যে ক্রমশ ছিন্নপত্রে পর্যবসিত হইল প্রায়, কেমন লাগিতেছে? ‘সিপাহী বিদ্রোহ’ নামক অতিকাণ্ডের কথা মনে পড়িবে, মহামতি এঙ্গেলস-এর বিচারে, ১৮৫৮ সালে লখনউতে বারোটি দিন ও রাত্রি জুড়িয়া দখলদারী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তাণ্ডব ছিল এমন তুলনাহীন যথেচ্ছাচারী, হিংস্র আর লোভী যে, ইতিহাসে তাহা এক চিরস্থায়ী লজ্জাজনক কাহিনী হিসাবে বিধৃত হইয়া থাকিবে। নির্লজ্জতার অন্ত ছিল না—জালিয়ানওয়ালাবাগ-এর পরে উদ্ধত ডায়ার সাহেব বলিয়াছিল, আমি গুলি চালাই, এবং ততক্ষণ পর্যন্ত গুলি চালাই যতক্ষণ পর্যন্ত না জনতা হটিয়া যায়… এখানে অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আর এক্ষণে, আদিবাসী জনতার মাথার উপর ড্রোন ঘুরিতেছে! আমরা কি নির্লজ্জতাই শিখিলাম?
তথাপি এপাড়া ওপাড়া বেপাড়ায় নৃত্যগীত চলিবে, সুবেশী সুমিষ্ট পারাবতকুল আপনাপন গন্ধে বিভোর হইয়া, পারস্পরিক চুম্বন সারিয়া, অনুষ্ঠান শেষে ভোজনরতিতে মনোনিবেশ করিবেক। আমরা হতবাক ছিলাম, তেমনই রহিব। ভাবিতে থাকিব, বৎসরের শুরুতে যে-দিবস উদযাপনে এত আকুতি তাহা আমাদের কী দিবে, কথা দিয়াছিল, কথা রাখে নাই—সাধারণতন্ত্র অ-সাধারণের তন্ত্র, লোকবিরোধী তন্ত্রসাধনায় পরিণত হইল। নহিলে প্রতিটি ছাব্বিশে জানুয়ারি কীভাবে, ক্রমাগত সমাজের বৈষম্য বাড়াইতে বাড়াইতে দুস্তর ব্যবধান রচনা করিল। ভাবিব কেহ কিয়দংশে, বুঝিবও তেমনই। কিন্তু অনুষ্ঠান-পারদর্শীদের বিপুল আয়োজনে ও কলরবে সেই প্রশ্নটি গোঙাইতে থাকিবে, অমৃতের যোগান থাকিতেও অযুত-নিযুত ভারতবাসী মহাভারতের নলের ন্যায় উলঙ্গ হইয়া পথে পথে উদ্দেশ্য-বিধেয়হীন ঘুরিতেছে, কেন। কোন মায়াপক্ষী কখন যেন মায়াচ্ছন্ন আমাদের শেষ বস্ত্রখণ্ড লইয়া চলিয়া গিয়াছে। যে-শিক্ষিতরা ভদ্রবিত্ত, নূতন ভারতাত্মার চোখের মণি, তাঁহারা অন্যমনস্ক থাকিবেন। অল্প হইলেও একসময় তাঁহাদের কিছু প্রতিবেশীভীতি ছিল, আজ তাহা নাই, চোখের চামড়াও নাই।
তাঁহারা তন্ত্রে বিশ্বাসী, তত্ত্বেও; তাই তত্ত্বের পুচ্ছে হাত বুলাইয়া তাহার চমতকার বুঝান। বুঝিবার প্রাণপণ চেষ্টার কিয়ৎক্ষণ পরে উপলব্ধি ঘটে, তত্ত্বের শরীরে নিভৃত আরামে, আধুনিক গবেষণার সুর বাজিলেও কোনও ভালবাসা নাই—প্রেমের বিহনে কোনও জ্ঞান নাই। ‘বাম’ পথযাত্রীগণ জানাইয়া রাখেন, সময় আসিলে সন্ন্যাসী উপগুপ্ত আপনিই উপস্থিত হইবেন; কিন্তু বাসবদত্তার মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় না। তাহার দিবসেও রজনী। আবার কেহ বলেন, শুধু রজনীই দেখ, চাঁদ দেখিতেছ না কেন? শুধু মালিন্য দেখ, উজ্জ্বল দেশটিকে দেখিতে পাও না? ‘জিডিপি’ বাড়িতেছে, ‘স্মার্ট সিটি’ আবির্ভূত হইতেছে থরে থরে, হুস হুস করিয়া বিচিত্র আকারের বিচিত্র মোটরযান বাতাস এলাইয়া চলিতেছে…। উত্তরে বলিতে ইচ্ছা জাগে, কোথাও যে ‘চাঁদের হাসির বাঁধ’ ভাঙিয়াছে, ঠিক। কিন্তু সেই অমলিন চাঁদকে ‘এঁটো’ করিয়া যখন একটি হিন্দু ঠোঁট একটি মুসলমান ঠোঁটকে ছুঁইলেই গীতা-কোরান একই সঙ্গে খুন হইয়া যায়, তখন মনে হয় সত্যই কি চাঁদ এই ব্রহ্মাণ্ডের জাদুগর? তাহাকে লইয়া আমাদের এত ভাবোচ্ছ্বাস কেন!
এইরূপে চিন্তার বিক্ষেপ ঘটিয়াই চলে। তবে কি আমাদের শিক্ষাতেই গলদ লুকাইয়া আছে? হয়তো উহাই সত্য। যাহাদের তহসিলদার হইবার যোগ্যতা ছিল তাহারা শিক্ষাঙ্গনের মুরুব্বী হইয়াছেন। বিদেশের নকলবৃত্তিই আধুনিক হইবার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় সাব্যস্ত হইয়াছে। কোথাও কেহ বলিয়াছিলেন, পরীক্ষায় ছাত্রদের নম্বর উঠিত সেন্টিগ্রেড-এ, এই পঞ্চাশ বৎসর পূর্বেও; এখন সকলেই নম্বর পায় ফারেনহাইট-এ। আলু আর আলুকাবলির প্রভেদ করে কাহার সাধ্য। ইহা অগ্রগতি বা উন্নয়ন, বা যাহাকে ইদানীং বিকাশ বলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়াছে, আকাশচুম্বী; উহাতে শিক্ষা ভিন্ন অন্য সকল কিছুরই অধিষ্ঠান। অন্যথায় ছাত্ররা ধারাপাত মুখস্থ না-করিয়া সমাজের বিজ্ঞানটি শিখিত এবং বুঝিত যে, সেখানে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী আপেলটি যে কেবল মাটিতেই পড়িবে, এমন কথা নাই। ইহাও শিখিত যে, গণতন্ত্র কোনও আহ্লাদী ‘পলিসি’ নহে, গণতন্ত্র মানে প্রতিদিন নির্বাচন—‘এ নেশন ইজ এ ডেইলি প্লেবিসাইট’। এইসকল কথা বুঝিলে আমরা একটি সভ্য সমাজের আদলটুকু পাইতাম, অন্তত।
তাহার পরিবর্তে আমরা যুদ্ধবাজ হইয়াছি। যেন গরিবি, পরিবেশ, ব্যাধি, ইত্যাদি সকল দুঃখের বিরুদ্ধে যুদ্ধই আমাদের একমাত্র কাম্য। আধুনিক শিক্ষা আমাদের ছাত্রদের উদারমনা হইতে শিখায় না, জঙ্গি হইতে শিখায়। উদার হইতে পারিলে সে বুঝিত, নক্ষত্ররা অনবরত কত কথাই না বলে, অথচ আকাশ নীরব থাকে, কেন। কেতাদুরস্ত শিক্ষা তাহাকে এইকথা বুঝাইতে ব্যর্থ হইয়াছে যে, বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সঙ্গত হইতে পারে, কিন্তু আপন ঘর আপন সংসারের বিরুদ্ধে জঙ্গিপনা সর্বস্বান্ত করে। সে বুঝিতে পারে না, ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা’। যুদ্ধ মানে কেবল আক্রমণ আর ধ্বংসলীলাই নহে, আর্তনাদও বটে। যে-সরকার সম্রাজ্ঞীর ন্যায় সেই আর্তনাদ উপেক্ষা করে সে এক ‘অন্যায় শৌখিনতায়’ সর্বদা অ-সভ্যতার চাষাবাদ করে। তথাকথিত ‘নামকরা’ বিদ্যালয়গুলি তাহারই নমুনামাত্র। সেখানে শিক্ষার বর্ণমালা যতখানি চর্চিত হয়, অহংকারের বর্ণমালার চাপ তাহা হইতে অনেক অধিক। এই মাটির শরীরে যে মুকুন্দরামের রক্ত মিশিয়া রহিয়াছে সেই কথাটি পাঠক্রমে উহ্য থাকে। তাই ছাত্ররা নিউট্রন বোমা বুঝে, মানুষ বুঝে না।
আমরা বৃদ্ধকুল, অবশিষ্ট আয়ু অতি সামান্য। কিন্তু পরের প্রজন্ম তো আয়ুষ্মান; অথচ তাহাদের চক্ষে তো স্বপ্ন দেখি না, দিনগত পাপক্ষয়ের ক্ষতচিহ্ন দেখি। অস্ত্রাঘাতের ক্ষত সারিয়া যায়, পাপক্ষয়ের ক্ষত কি সারে? পাপ রন্ধ্রে রন্ধ্রে, সংসারের সর্বকোণে। যেকথা বলিয়া শুরু করিয়াছিলাম সেই দেশভাগের পাপ এখন প্রবল বাঙ্ময়। কেহ কেহ অবশ্য আছেন যাহারা প্রবল উৎসাহী, ‘মৌলবাদ’ নিশ্চিহ্ন করিয়া ছাড়িবেন, শুনিতে পাই। অথচ তাহাদের রণোন্মাদে যেন মনে হয়, অপর এক মৌলবাদের প্রতিধ্বনি। তখন ভাবিতে থাকি, যাহারা মৌলবাদী তাহারা না-হয় একশত শতাংশ মৌলবাদী, উহাতে চোনা নাই। কিন্তু যাহারা নিজেদের প্রগতিশীল বলিয়া দাবি করেন তাঁহারা যে নব্বুই শতাংশ জড়বুদ্ধিসম্পন্ন, তাহার কী হইবে? তথাপি দাবি শুনি, ইঁহাদের প্রগতিশীল বলিয়াই গণ্য করিতে হইবে, কেননা সমাজসংসারের প্রগতিযাত্রায় ইঁহারা নাকি প্রখর অবদান রাখেন। শুনিয়া নির্বিকল্প রবীন্দ্রনাথ মনে পড়ে, ‘শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, / লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির’!
এইরূপে ক্রমে আমাদের ‘মুক্ত প্রাণে মুক্ত ইচ্ছার সিন্দুকে তালা’ পড়িয়া গেল, বুদ্ধিজীবী জন্মাইল না, ‘সুশীল সমাজ’ নামে এক বকচ্ছপের জন্ম হইল। বুদ্ধিজীবী জন্মাইলে সরকার স্বস্তিতে থাকিতে পারিত না; উহারা নাই তাই সরকার বৎসরের প্রথম মাসের ছাব্বিশ তারিখ স্বস্তি পালন করে। ‘সুশীল সমাজ’ সেই স্বস্তিযজ্ঞে ঘৃতাহুতি দেয়। আমরা অবশ্য এতদিনে বুঝিয়া লইয়াছি, ক্ষমতার নানান্ স্তরভেদ থাকে, উচ্চস্তরে অধিষ্ঠিত তাহারাই। এই গোষ্ঠী কথায়-কথায় স্বৈরতন্ত্রের মুণ্ডপাত করে; কিন্তু গণতন্ত্রের অভ্যাস যে কঠোরতম শ্রমসাধ্য তাহা বুঝে না, সেই সাধনস্থলও তাহার অনধিকৃত। তাই কার্যক্ষেত্রে তাহারা স্বৈরতন্ত্রের দিকে হেলিয়া থাকে, কেবল অযাচিত জ্ঞান দানের অভ্যাস ইহাদের মজ্জাগত হইয়া যায়। এই গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই আন্তর্জাতিক বৈশ্যসমাজ যাহা সহসা দৃশ্যমান থাকে না। তখন মনে হয়, একমুঠা স্বাধীনতা পাইবার পর পুনরায় পরাধীন হইতে বুঝি মন চায়।
আমরা আর কী করি! অস্পষ্ট দুই চক্ষু মেলিয়া কিছুই দেখি না, কেবল তাকাইয়া থাকি আর বিরহের স্মৃতিচারণ করি। কেহ কেহ এখন মনে করি, দুনিয়া বদলাইয়া ফেলা কি কোনও এক দুর্জয় দর্শনের দায় ছিল? বরং দর্শন বদলাইয়া ফেলাই হয়তো নূতন দুনিয়ার দায়। দুনিয়া নূতনতর হয় বারংবার, সত্য। আমরা যে ধীরে এবং নিশ্চিত ছন্দে এক নূতন দুনিয়ায় প্রবেশ করিতেছি তাহাও অতীব সত্য। তাহার অবয়ব আর চরিত্র কেমন হইবে তাহা সমধিক না-জানিলেও ইহা বুঝি যে, আমাদের পক্ষে বাসযোগ্য হইবে না।
তাই মনে পড়ে, ‘কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে / আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে, / সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ / সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে’। পতাকা অমিল, আশেপাশে পতাকা বাহকেরও সন্ধান নাই; তাই অতি-সাধারণের তন্ত্র সাধনার খবর পাই না।
(ঋণ স্বীকার – নির্মলেন্দু গুণ ও হেলাল হাফিজ-এর কবিতা)
- প্রথম পাতা
- বিষয়
- _গল্প
- _কবিতা
- _প্রবন্ধ
- _ভ্রমণ
- _ফটোফিচার
- _বাংলাদেশের কলম
- _ধারাবাহিক
- _ফিল্ম রিভিউ
- _পাঠ পরিক্রমা
- Editions and Archive
- _২৫শে বৈশাখ
- _বৈশাখী সংখ্যা
- _স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা
- _প্রাক শারদ সংখ্যা
- _ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংখ্যা
- _শারদ সংখ্যা
- _মাহশা ইরান সংখ্যা
- _দীপাবলি সংখ্যা
- _ঋত্বিক ঘটক সংখ্যা
- _শক্তি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা
- _শীতকালীন সংখ্যা
- _প্রথম বর্ষপূর্তি সংখ্যা
- _বইমেলা সংখ্যা
- _ভাষা দিবস সংখ্যা
- _দোলযাত্রা সংখ্যা
- _পয়লা বৈশাখ সংখ্যা
- _কার্টুন সংখ্যা
- _শারদ সংখ্যা ১৪৩০
- _বিশেষ সংখ্যা
- _রক্ত করবী সংখ্যা
- Contact Us
- Editorial Team
- About Us