ডঃ মেঘদূত রুদ্র
• ছবি- অপরাজিত (২০২২)
• পরিচালনা- অনীক দত্ত
• অভিনয়- জিতু কমল, সায়নী ঘোষ, দেবাশিস রায়, ঋত্বিক পুরকাইত, শোয়েব কবীর, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বরুণ চন্দ, অঞ্জনা বসু প্রমুখ।
অধিকাংশ মানুষই এর মধ্যে জেনে গেছেন যে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্র পরিচালক শ্রী সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ ছবিটি তৈরির নেপথ্য কাহিনী নিয়েই পরিচালক অনীক দত্ত তাঁর ‘অপরাজিত’ ছবিটি বানিয়েছেন। আসলে প্রত্যেক চিত্র পরিচালকের-ই একটা যাপন থাকা জরুরি। এই যাপনই তার ভাবনা চিন্তার গতিপথ অর্থাৎ কোন কোন ছবি তিনি বানাবেন সেটা নির্ধারণ করে দেয়। আমাদের এখানে মেইনস্ট্রিম ছবি করার জন্য সবার প্রথমে একটা গল্প লাগে। কারণ গল্পকে গৌণ ভাবে নিয়ে ছবির প্রকাশভঙ্গী আর চিত্রভাষা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে ছবি করার কালচার আমাদের দেশে সার্বিকভাবে তৈরি হয় নি। এই যাপন জিনিসটা একজন পরিচালককে ছবির গল্পের বিষয়বস্তু নির্বাচনের জন্য খুবই সাহায্য করে। কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকদিন ধরে গভীর ভাবে ভাবতে থাকলে কোন গল্প নিয়ে সে ছবি বানাবে, সেটা তার ভেতর থেকে আপনা আপনিই চলে আসে। গল্পের জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। তার মানে এই নয় যে সেইসব ছবির গল্প পরিচালক নিজে লিখেছেন, তার বাইরে অর্থাৎ অন্যের গল্প নিয়ে করা ছবি সফল হয় না। হয় সবই হয়। আর সত্যজিৎ রায়ের অধিকাংশ ছবিই তো বিভিন্ন সাহিত্যিকদের গল্প, উপন্যাস থেকে নেওয়া। এটা একটা অন্য তর্ক। এখানে এই নিয়ে বিশদে আলোচনা করার অবকাশ নেই। কিন্তু যেটা বলতে চাইছি যে 'অপরাজিত' ছবির পরিচালক অনীক দত্তের যাপনে বহুদিন ধরেই সত্যজিৎ রায় আছেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ দেখলেই সেটা বোঝা যায়। তাঁর বিভিন্ন ছবিতেই তিনি চেতনে বা অবচেতন ভাবে সত্যজিৎ রায়কে 'ট্রিবিউট' জানিয়েছেন। এবার এই জিনিসটা কারুর ভালো লাগতে পারে, আবার কারুর নাও লাগতে পারে। কখনও একটা রেফারেন্স দেখে মনে হতে পারে যে সেটা অপূর্ব আবার কখনো মনে হতে পারে যে খুব জোর করে বা জেদ করেই তিনি তাঁর ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের রেফারেন্স ঢুকিয়েছেন। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এ একটি চরিত্রের মোবাইলের রিংটোনে গুপী গাইন… এর ভূতের রাজা দৃশ্যের শব্দের ব্যাবহার যেমন খুব সুন্দর, আবার ‘মেঘনাদ বধ রহস্য’- ছবির একটি দৃশ্যে প্রোটাগোনিস্টকে দিয়ে রায় সাহেবের ‘নায়ক’ ছবির সংলাপ ‘এবার কি মাসতুতো বোনের জন্য’ বলিয়ে দেওয়াটা নেহাতই ছেলেমানুষি মনে হয়েছে। তারপর আবার পাশের চরিত্রকে দিয়ে এটা যে ‘নায়ক’ ছবিকেই রেফার করা হচ্ছে সেটা ক্লিয়ার করিয়ে দেওয়াটা একেবারেই সিনেম্যাটিক নয়। যেখানে সত্যজিৎ রায় নিজে তাঁর জীবনের বেশ অনেকটা সময় ধরে মিনিমাল সংলাপ ব্যবহার করে দৃশ্যকল্পের বুননের মাধ্যমে গল্প বলার ভঙ্গীকেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। এবার ছেলেমানুষিটা তো খারাপ জিনিস নয়। দামড়া সেয়ানা হওয়ার চেয়ে ছবি বানাতে গিয়ে ছেলেমানুষি করাটা বহু গুণ ভালো। কারণ উনি ভুল-ঠিক যাই করুন না কেন সেটা উনি প্যাশনেটলি করছেন। ছবির ট্রিটমেন্ট নিয়ে ভালো-খারাপ কথা বলা যেতে পারে কিন্তু অনেস্টি আর তাগিদ নিয়ে কোনো কথা হবে না। ফলে উনি যে সত্যজিৎ রায়ের জীবনী গোছের কিছু একটা বানাবেন সেটা প্রায় একরকম ভবিতব্যই ছিল। সচেতন ভাবে হোক বা অবচেতনে হোক, এই ছবির প্রস্তুতি হয়ত তিনি ৩০-৪০ বছর আগেই শুরু করে দিয়েছিলেন। এবার ১০-১২ বছর ধরে অন্যান্য ছবি করার পর তিনি এই ছবিটা বানিয়েছেন। ফলে এই ছবি তৈরি করতে গিয়ে যে তিনি তার আত্মাকে সঁপে দেবেন, হৃদয়ের পূর্ণ সমর্পণ করবেন তাই নিয়ে কারুর কোনো দ্বিমত থাকা উচিৎ নয়। আর ছবি দেখতে গিয়ে যেটা আরও ভালো লাগল সেটা হল পুরো টিমের মধ্যেই তিনি তাঁর এই প্যাশনটা জারিত করতে পেরেছেন। একটা ভালো কিছু করতে হবে এই অনুভূতিটা ইউনিটের প্রত্যেকের মধ্যেই না আনতে পারলে কাজ ভালো হয় না।
এবার শুরুতেই বলি চলচ্চিত্রের ছাত্র হিসেবে ছবির বিভিন্ন চরিত্রদের নাম বদলে দেওয়াটা আমার ভালো লাগেনি। যাদের নিয়ে বহুদিন ধরে চর্চা করে আসছি আজকে এসে হঠাৎ করে তাঁদেরকে অন্য নামে চলতে ফিরতে দেখাটা বেশ ডিস্টার্বিং। কিন্তু একই সাথে তাঁদের চোখের সামনে চলতে ফিরতে দেখাটাই একটা দারুণ অনুভূতির। সত্যজিৎ রায়, সুব্রত মিত্র, বংশী চন্দ্রগুপ্ত এদের নিয়ে বিভিন্ন মিথ বাঙালিদের মধ্যে বহুকাল ধরেই চলে আসছে। তাই ছবির পর্দায় এদের দেখাটা একটা অদ্ভুত প্রশান্তি দেয়। এবার সবাই যে এই চর্চাটা করেছেন এটা আশা করাটা তো বাস্তবোচিত নয়, ফলে তাদের কাছে এই এক্সপেরিয়েন্সটা হয়তো ডিস্টার্বিং নাও লাগতে পারে। আসলে বামপন্থি হওয়াটা এবং অন্যের ভুল ধরাটা বাঙালির জেনেটিকাল। ফলে কেউ তথ্যের ভুল ধরলেই পরিচালক এবং তাঁর টিম বলতে পারবেন যে ‘কে বলেছে এটা সত্যজিৎ রায়ের জীবনের একটা অংশ। তাঁর জীবনকে আধার করে সত্যের সাথে কল্পনাকে মিশিয়ে একটা ছবি। ফলে বাপু অত ভুল ধরো না'। নাম-ধাম পাল্টে দেওয়াটা একটা বর্ম। যেই বর্ম পরিচালকদের পড়তে হয়। কারণ ফিল্ম লিটারেসি ব্যাপারটা আমাদের দেশে খুবই ভজঘট অবস্থায় আছে। এখানে ৫ বছর বয়েস থেকে নাচ, গান, ছবি আঁকা ইত্যাদি শেখানো বা চর্চা করা হয় কিন্তু ওই বয়েস থেকে সিনেমা নিয়ে সিরিয়াস চর্চা করার কেন্দ্র বা সংস্কৃতি আমাদের দেশে নেই। আর শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালির অধিকাংশই কিছুতেই ইনোসেন্ট ভাবে, শিশুর মত নতুন কিছু দেখবার কৌতূহল নিয়ে ছবি দেখতে যায় না। বরং গ্যাঁট হয়ে বসে কি কি ভুল ধরা যায় তার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। যার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা চিত্র রস গ্রহণ ব্যাপারটা থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে ফেলে। ভুল ধরাটা দরকার। এতে নির্মাতাদের সুবিধাই হয়। নিজের ক্রাফটকে আরও উন্নত করা যায়। কিন্তু ভুল ধরাটাই প্রধান নয়। আর সেই ভুল যেটা ধরিয়ে দিলে নির্মাতাদের সুবিধা হবে সেটা ধরিয়ে দেওয়ার লোকের সংখ্যা বঙ্গদেশে খুবই কম। এই ছবিতে কিছু তথ্যের ভুল আছে। কিন্তু সেগুলো এমন কোনো ভুল নয় যাতে গল্পের মূল সুরটা বিঘ্নিত হয়। ‘পথের পাঁচালি’-র কাশফুল দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল বর্ধমানের পালসিটে। কিন্তু বোড়ালে (এই ছবিতে সড়াল) কাশফুল দেখিয়ে দেওয়াটা ভাব রসের দিক থেকে বেশ সিনেম্যাটিকই লেগেছে। তবে ভূপেন ঘোষ, যিনি ‘পথের পাঁচালির’ সাউন্ড রেকর্ডিস্ট ছিলেন তাঁর উল্লেখ ছবিতে নেই। উনি ইন্ডাস্ট্রির লোকই ছিলেন। ওনাকে সত্যজিৎ রায় খুঁজে বের করেছিলেন কারণ উনি ‘পথের পাঁচালি’ নির্মাণের কিছুদিন আগেই তিতুমীরের জীবন নিয়ে তৈরি ‘বাঁশের কেল্লা’ ছবিটায় আউটডোরে সিঙ্ক সাউন্ড রেকর্ড করেছিলেন। আর ছবিতে বলা হয়েছে যে ‘পথের পাঁচালি’র আগে ভারতীয় ছবির কোনো ভাষা ছিল না। বাঙালি হিসেবে এটা বলতে বেশ ভালই লাগে কিন্তু এটা এইভাবে বলাটা হয়ত ঠিক না। কারণ তিরিশের দশকে তৈরি প্রমথেশ বড়ুয়ার কিছু ছবি, ১৯৩৬ সালে বিষ্ণুপন্ত গোবিন্দ দামলে ও শেখ ফতেলাল নির্মিত ‘সন্ত তুকারাম’ নামক মারাঠি ছবি সহ ওই সময়কার আরও কিছু ছবি উপমহাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের চলচ্চিত্র বিদ্যা বিভাগে ভারতীয় ছবির ভাষার গঠন এবং কী ভাবে তা পাশ্চাত্তের ছবির থেকে আলাদা সেসব বোঝানোর জন্যই পড়ানো হয়।
এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় পিরিয়ড ছবি তৈরি করা বেশ কঠিন। এর আগে যাঁরা এই চেষ্টা করেছেন তারা জানেন যে কত বড় বাঁশটা তারা তাঁদের পশ্চাৎদেশে নিয়েছিলেন। কারণ আমাদের দেশে আর্কাইভিং, ডকুমেন্টেশন ইত্যাদি করার কালচারও নেই। কাজেই একটা পিরিয়ড ছবির সময়কে প্রতিষ্ঠা করতে যেরকম ধরণের প্রপস আর ভিজুয়াল রেফারেন্স লাগে সেগুলো এখানে একেবারেই সহজলভ্য নয়। বাজেট তো একেবারেই থাকে না। কাজেই পিরিয়ড করলে গেলে পরিচালককে হয় উত্তর কলকাতার ছোটো এরিয়ায় গোঁতাগুতি করতে হয় নতুবা বাধ্য হয়ে ক্যামেরা নিয়ে পল্লীগ্রামে বা পাহাড়, জঙ্গলে চলে যেতে হয়। কিন্তু এই ছবিতে যেহেতু স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা অংশ গ্রামেই শুটিং করতে হতো, ফলে ব্যাপারটা একেবারেই আরোপিত লাগে নি। শহরের অংশ গুলোও বেশ ছিমছাম। যত্ন করে করা। মানে সিন অনুযায়ী যেরকম হওয়া উচিৎ আরকি। আরও ভালো হতে পারতো কিনা সেই চর্চা চালানো যেতে পারে কিন্তু সেটা খুব একটা কাজের কিছু হবে না।
চিত্র সমালোচনার পাঠক হিসেবে মানুষের একটা চাহিদা থাকে। তারা জানতে চায় যে ছবিটা ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে। পয়সা খরচ করে দেখতে যাবো নাকি যাবো না। এবার এইটা বলাটা একটু মুশকিলের। ছবিতে ভালো-খারাপ দুটো জিনিসই আছে। চিত্রনাট্য খুবই ডিটেইলড। কিন্তু কিছু জায়গায় এক ধরণের স্পুন ফিডিং গোছের ব্যাপার আছে। ইন্দির ঠাকরুনকে খুঁজতে গিয়ে যে সত্যজিৎ রায়কে অনেকদিন ধরে অনেক জায়গায় ঘুরতে হয়েছিল সেটা গুছিয়ে না বললেও দর্শক ফিল করে নিতে পারতো। কারণ তারা তো অনেকক্ষণ ধরে চরিত্রটাকে দেখছে। একাত্ম হয়ে গেছে। ছবিতে ‘সানসেট বুলেভার্ড’ ছবির রেফারেন্সটা চমৎকার। কারণ ওটাও ছবি তৈরির নেপথ্য কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছিল। আবার স্বপ্নদৃশ্যটা খানিকটা জোর করেই ‘নায়ক’ ছবির মতো করে করতে গিয়ে পরিচালক ছড়িয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে সুবিধা হল যে অধিকাংশ দর্শকরা জানেন যে তারা কি দেখতে যাচ্ছেন। ‘পথের পাঁচালি’-কে যারা সেলিব্রেট করেন তারা নিজেদের তাগিদেই এই ছবি দেখতে যাবেন বলে আমার ধারনা। আর যারা ‘পথের পাঁচালি’ দেখেন নি তারা কি করবেন সেটা তারা নিজেরাই ঠিক করুক। তবে এটুকু বলতে পারি ছবি বা অন্য যেকোনো শিল্প সৃষ্টি করার যেটা মূল বিষয় সেটা হল পরিশ্রম, ডেডিকেশন, যত্ন আর প্যাশন। তরুণ প্রজন্ম যাদের হাতে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ তারা ‘অপরাজিত’ দেখলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে এনলাইটেন হতে পারবেন। সত্যজিৎ রায় কীভাবে সিনেমা যাপন করেছিলেন তার বিভিন্ন ঝলক পর্দায় দেখা যাবে। একটা দৃশ্যে দেখানো হচ্ছে যে একটা হলে যেখানে ছবিটা চলছে, দর্শকের টিকিট কাটা দেখতে তিনি ছুটে চলে গেছেন। আরেকটা দৃশ্যে উনি দর্শকের রিয়্যাকশন পাওয়ার জন্য আকুল। নিজের আবেগটা দর্শকের মধ্যে তিনি কতটা ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন এটা জানার জন্য ছটফট করছেন। আজকাল পরিচালকরা একটা ছবি শেষ করে সাথে সাথেই পরের ছবির জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। ক'জন এসব করে। আর হল ভিজিটের নামে যেটা হয় সেটা এক ধরণের পাবলিসিটি স্টান্স। নইলে ক্যামেরা নিয়ে দর্শকের রিয়্যাকশন জানার তো কোন কারণ নেই। এটা তো মনের দেওয়া-নেওয়ার জায়গা। সত্যজিৎ রায়ের এই ব্যাপারগুলোই আমার মত সিনেমার সাথে যুক্ত লোকেদের কাছে তীর্থ দর্শনের মতো। চিন্তাশীল মানুষ যারা সিনেমার সাথে যুক্ত নন তাদেরও একইরকম অনুভূতি হবে। আর রায় সাহেবকে নিয়ে ছবি বানাতে গিয়ে অনীক দত্ত নিজের মত করে এই কাজগুলোই করেছেন। রায় সাহেব ছবি বানাতে গিয়ে বাংলার গ্রামকে সেলিব্রেট করেছিলেন আর অনীক দত্ত সেলিব্রেট করেছেন রায় সাহেবের ছবি তৈরিকে।
এগুলোও পর্দায় দেখা যাবে। এভাবেই ছবি হয়। এগুলো মন দিয়ে করলে পাশে দাঁড়ানোর জন্য দর্শকের পা ধরাধরি করতে হয় না। এই জিনিসটাই এই ছবির মূল প্রাপ্তি। শেষে বলি ছবি দেখার আগে জিতু কমলকে নিয়ে আমার একটু সন্দেহ ছিল। এই চরিত্রটা করবার জন্য যেই ম্যাচুরিটি আর অভিজ্ঞতা থাকা উচিৎ সেটা ওর আছে কিনা সেটা নিয়েই মূল সন্দেহটা ছিল। কিন্তু দেখার পর এটা বলতে আমার একটুও দুঃখ নেই যে আমি ভুল প্রমাণিত হয়েছি এবং তাতে আমি বেশ খুশীই হয়েছি। জিতু ব্রিলিয়ান্ট। চন্দ্রাশিষ রায়, যিনি ওর হয়ে কন্ঠ দিয়েছেন তিনিও খুব ভালো। বাকিদের অভিনয়ও চমৎকার। ডেডিকেশন মানুষকে দিয়ে অনেক কিছুই করিয়ে নিতে পারে যেটা হয়ত আশাতীত। আর আগে থেকে কিছু ভেবে নেওয়াটাও যে সঠিক কাজ নয় সেটা আরেকবার বুঝতে পেরে বেশ মজাই লাগছে।
Tags:
ফিল্ম রিভিউ
বাহ
উত্তরমুছুনদারুণ...
উত্তরমুছুনবেশ ভালো হয়েছে লেখাটা।
উত্তরমুছুন