দোঁহা

শতাব্দী চক্রবর্তীর কবিতা

 



নাগেশ্বর

হে নাগেশ্বর, ছলন মূর্তি তোমার

   আমি হারিয়েছি তল, অথৈ জল

ছন্নছাড়া হাওয়ায় যেমন ভাসে 

    রোদে-ফাটা লাল শিমুল ফল। 

বিব্রত করেনি তোমার আঙুল, 

      ঝুঁকিয়ে দেওয়া চন্দন মুখ

লবণ জলে দ্রুত সমীকরণ 

        আনন্দ প্রজাপতি সুখ।

জড়িয়ে ধরে সন্ধ্যা আলোর ডানা

        পতঙ্গ জ্বলে ফসফরাস

স্ফীত হয়েছে দুই বুক, ভূমি, পাহাড়

      অন্ধকারের নাগপাশ।

অমৃত চায় না এ ঠোঁট ঈশ্বর! 

      ঘন আঁধার, ভুলে যাই ত্রাস

এসময় বিষ বড় প্রয়োজন 

      প্রস্তুত মেনে নিতেও সব সর্বনাশ। 

প্রেম গানে খোদাই করে শৃঙ্গার
   বাঁশির ভেতর রাধা নাম 
আমার কি সাধ্য এড়িয়ে যাওয়া
    প্রতীক্ষা জীবনের কাম। 

রোদেলা দিনগুলো

ফ্রকের লেসের চোরকাঁটাগুলোও

ছাড়িয়ে ফেলতে পেরেছি অনায়াসেই

সময়ে সময়ে বড় হতে হতে 

যাপনের মধ্যে মিলিয়ে যাচ্ছে সব

বেসাতি করেছি এক নদী থেকে আরেক নদীতে

কালের নিয়মে ঘাই মেরে মেরে 

কি অহংকারেই দু’হাতে কৈশোর মুছে ফেলেছি! 


মুছে ফেলেছি দলিল দস্তাবেজ মনোমালিন্য

হারিয়ে ফেলেছি অনেক স্মৃতি, ধ্বনি, উচ্চারণ

প্রেমের চিরকুটগুলোও পুরানো বইয়ের সাথে

 বিক্রি হয়ে গেছে ওজন দরে। 


ঘুমাও বট গাছ, ঘুমাও অশীতিপর মন্দির

যদিও শৈশবের হাত কঠোর হয়ে উঠেছে এখন

শুধু হাঁটু থেকে মোরামের ক্ষত মুছে উঠতে পারিনি, 

সেই দাগ ফ্যাকাশে ও ব্যথাহীন মলিন

হাঁটুতে শৈশব জমা আছে রোদেলা দিনের। 

           








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন