বারণ করেছে বেডরুমের দেয়ালে রঙ লাগাতে
যেহেতু কথা বলা এবং যারা কথা বলছে তাদের মধ্যে
তফাত জানতো না সে, একটু দূরে দাঁড়ায় এসে,
পর্দা থাকলে হয়তো ফাঁক দিয়েই মুখ বাড়াতো।
যা শুনছে সেটা পুরোপুরি ভুল, কিন্তু কে বলবে তাকে
এতে তার তারুণ্য ফিরবে না, কিসে ফিরবে সেটাও
আমি জানি না, এমনই অনিশ্চিত সময়,
ফটোশপ করে করে দিবাস্বপ্ন দেখা,
আমিও দেখেছি কোথাও কোনো এক চারুলতাকে
হাত নেড়ে নেড়ে জাহাজ বিদায় দিতে,
দোআঁশলা স্বপ্ন মাখিয়ে, হয়তো পুরোপুরি স্বপ্ন নয় সেই
প্রতিধ্বনির সুরেলা হার্মনি, কুয়াশাকে
রোগা করে দেবে কি এই তান, গলিয়ে গলিয়ে ভোরের রোদ,
না কি স্বপ্ন পাল্টাতে হবে তাকে, বৃষ্টিপালক টিয়া সাজতে হবে,
কারণ লাল ঝুঁটি দেখানো বারণ করেছে কারা সব, তার সঙ্গে বারণ
করেছে বেডরুমের দেয়ালে রঙ লাগাতে।
তপস্যা দরকার হয় বাদামি ঘোড়াদের
অন্ধকারে পিছুহঠা প্রয়োজন হয় কখনো কখনো
আলোর সে ছুঁইছুঁই খেলা আমি অনেক দেখেছি
তার দেহবাণে বিদ্ধ করা আরাম, হাতছানি দিয়ে
নরম সম্মোহন, এসো না বেড়া ডিঙিয়ে কালো ঘোড়া,
এই তো পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি,
অন্ধকারে তাই তপস্যা দরকার হয় বাদামি ঘোড়াদের
মাটির দেয়াল আঁকড়ে তপস্যা, কালভার্টের হাঁ-করা মুখে
ভাঙা ঠ্যাং গুঁজে গুঁজে…
কালো ঘোড়া কিন্তু কোনো এক রাতে, ঠিক রাত নয়,
সমুদ্রের অমাবস্যা খেপানো ফসফরাস বোধহয়
দূরে অস্পষ্ট মাঝিমাল্লা, ব্রিজ পেরিয়ে ডাকে
চলে যেতে পারে দ্রুত…
