মাঙ্গল্য
তুমি তো সহজ নও, তোমাকে কঠিনও বলিনা।
আপাদশির লজ্জা জড়ানো অথচ বন্ধনহীনা।
এমনই আনির্বচনীয়া ছড়িয়ে রয়েছো রূপবাদে।
বিলাবল হয় আলাহিয়া যতখানি কোমল নিষাদে
ঠিক ততটাই তোমার গমন কিন্তু দৃশ্যত স্থিরা।
তুমি নদী, তরজল আবার তুমিই তৃষাতুরা।
নবীনা দেখেছি। আদিমেও দেখেছি তোমাকে।
ভ্রমরের শরীরে যেমন কুসুমের সুঘ্রাণ থাকে।
আর সুঘ্রাণের শরীরে নিগূঢ়াকাঙ্খা সাবলীল।
আজ তুমি মদনললিতা, কাল ছিলে বংশস্থবিল।
যেভাবে ব্যাপ্ত হলে। যেভাবে এলে এত কাছে
তোমারই কর্মফল আমাকে দিগ্ধ ক'রে আছে।
আমি শুধু জেনেছি পরম। শুধু জেনেছি উপায়।
কবিতাকে ছুঁয়ে থাকলে সঞ্চিত পাপ ক্ষয়ে যায়।
আছো
এই যে আমার সামনে অযুত শব্দ স্তুপীকৃত।
তবু, এক কাব্য গড়তে পারছি না।
চতুর্দিকে ভেসে বেড়াচ্ছে কাঙ্খা যত, সম্ভাবিত।
কিন্তু, তাদের ধরতে পারছি না।
একে কি আমি অভাব বলবো?
আবার দ্যাখো,
রাত্রি যেমন রঙ লুকিয়ে রাখে।
মুর্তি যেমন মাটির তালে থাকে।
আমার সব না লেখার মধ্যে তুমি আছো।
কি ক'রে আমি অভাব বলবো।