পারানি
স্নানের সময় নরম হাতে
যেমন করে সাবান মাখো
আমায় হাতের মুঠোয় ভরে
তেমন ভাবে আগলে রাখো!
রাত্রি যেমন ঘাসের বুকে
শিশির রাখে আগলিয়ে
পারলে আমি আগলে রাখি
তোমার মতো পাগলিকেই!
কান্না যখন মনের ভিতর
তুলতে থাকে ভীষণ ঢেউ!
তোমার নৌকো সামলে রাখে
অন্য মাঝি, অন্য কেউ...
প্রেম
গলিপথে আসে না প্রেম
রাজপথ ধরে আসে
হেরে গিয়েও কান্না চেপে
বোকার মতো হাসে
গাছের গায়ে আগুন হয়ে
ফুটে থাকা ফুলে
ফাগুন এসে নাম লিখেছে
শার্টের বোতাম খুলে!
একটি কিশোর পাগল হাওয়া
সামলে রাখে বুকে
চৈত্রপবন চুমু খেলো
রাইকিশোরীর মুখে!
চিঠিই লেখো বা হোয়াটসঅ্যাপে
মেসেজ পাঠাও তাকে
ট্যাটু করাও শরীর জুড়ে
পঁচিশে বৈশাখে!
চুমুর দিব্যি!প্রেমের শপথ!
রোগ ধরেছে মারণ
কে বলেছে বাড়লে বয়স
প্রেমে পড়া বারণ?
দিদিমণি
ও কেমন সজনে ফুল!
ও কেমন গাছে গাছে বসন্তবৌরি!
ও কেমন হেসে হেসে কথা বলে
কার সঙ্গে বলে?
ও কেমন উপচে পড়া নদী
ও কেমন আগুনে লাল শিমুল!
ও কেমন কাকে যেন মন দিয়ে বসে আছে
শুধু আমি বেমানান
শুধু আমি হাওয়ায় ভেসে এসেছি
আগাছার বীজ!
যেন রোদে পুড়ে মরি!
যেন কেউ বীজ থেকে বেরোতে না বেরোতেই
উপড়ে ফেলে দেয়
এই তো চাও? এমনই তো চাও?
বলো দিদিমণি, চাও না বুঝি?
আমি তবু রণে-প্রেমে-জেগে-ঘুমে তোমাকেই খুঁজি!