দোঁহা

বিশ্বজিৎ বাউনার কবিতা

 

 

উৎসর্গ

আঙুলে পিচ্ছিল আড়ি, ভ্রমরের মতো পুণ্য লোভে
তোমার ভোজ্য বাগানে বেদুইন করতল রাখি।
জলের শিখা থেকে তুমি সেই উড্ডীয়মান পাখি,
যাকে আজীবন হাতড়াই সে মিঠে তরল ক্ষোভে।

প্রবাল দ্বীপের মতো স্তরায়িত ব্যথা থেকে খুঁড়ি
বাবুই ডানা থেকে ধীরে কাঁচা আগুনের বয়স।
নাভিতল কেঁপে ছড়িয়ে পড়ে এলোমেলো রম্বস,
আগ্রাসী বাতাসের মোহে দুজনেই তির্যক পুড়ি।

প্রবাহের নিপুণ বেলা, চুমু কুড়িয়ে বাঁধে ঘর।
যেন চোখে চোখে খাবি খায় গরম ভাতের দানা।
উড়ছে উড়ছে সব পাখি ছুঁয়ে এক শামিয়ানা,
ভেতরের লেনদেনে আগামীতে রাখি যা উর্বর।

লীলায়িত দেহ বিদ্যায় ভালোবাসা অসীম কামে
নিজেকে উৎসর্গ রাখে চির সেই ভ্রমরের খামে।


হত্যা-ভাস্বর 
 
এইবেলা ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো আয়ু সব স্থির,
শিথিল স্তনের পরিখায় ডুবে আছে সব মাছ।
সৌম্য বাতাসে মেলে রাখা আজ দুজনের শরীর,
প্রতিফলনে বিনয়ী হয়ে আছে ভেতরের কাচ।

পড়ন্ত আলোর চিলেকোঠা জুড়ে গ্রহনীয় ভেদ
জৈব জলে সাঁতার কাটে প্রিয় স্মৃতির মাছরাঙা।
তোমাকে আরাধ্য ভাবি, ভুলে যাই ভাঙনের খেদ।
তোমার হাতে দ্বিধাহীন তুলে দিই আমার ভাঙা।

সেই ভালোবাসা কোজাগরী মোহে সজাগ অতল,
দেহে বিপ্লব ঘটে, শৃঙ্গার বিকশিত হয় ফের---
সাঁজোয়া সংকেতে জেগে উঠি, পান করি হলাহল।
কোষীয় বাগানে মালী পায় তার লেলিহান টের।

ভালোবাসা আগুনে আগুনে যদি প্রেম দেয় বুনে!
হত্যা-ভাস্বর হবো তোমার ছুঁড়ে রাখা তুরপুনে।



 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন