হে দয়াময়
আমি ভেঙে গেছি গুঁড়ো বরফের মতো
আজ ভীষণ হালকা আমার অহংকার
চাবুক কষাও পাঁজরে আমার
ভেঙে গুঁড়ো করো আমার অলংকার
অন্ধ দু চোখ হে দয়াময়
না হয় একটু করুণা দেখালে
লোভ বেড়ে চলে নিত্য অসুখে
না হয় একটু ভক্তি শেখালে
আমার ভিতরে আকুল আঁধার
যদি পারো তবে সুমতি দিও
আমি যে ভীষণ অভাগা হে প্রভু
তোমার চরণে আমাকে নিও
আমার ভেতরে হিমবাহ ভাঙে নিত্য
বরফের নিচে আমার আগুন জীবাশ্ম
আমার বরফে আমাকেই ভাঙো
দয়ার আগুনে হিংসা কে করো ভস্ম
লজেনচুষ
জাঁতা কলে পিষে দেওয়া শব্দের কথা
বলতেই পারি। বলতেই পারি সালফিউরিক অ্যাসিড কেনো এঁটো করতে চায় না ঝরঝরে মধ্যবিত্তের ঠোঁটের চামড়া। চাইলেই বলা যায় মৃত্যু শোকে না কেঁদে বেঁচে থাকা কষ্টের জন্য সহমর্মিতা কতটা আবশ্যক। বলতে পারি অধিকারের কথা, ধর্মের নামে কাদের কতটা মুনাফা হয়। বললেই বলা যায় এই আকাশ, এই নদী, এই মাটি তোদের বাপের নয়।
কিন্তু যতবার বলতে চেয়েছি আমাদের শুকনো মুখে লজেনচুষ রেখে দিয়েছে কেউ । আমাদের অহেতুক কেমোথেরাপির ভয় নেই লজেন্স চুষলে।
বলতে তো সবাই পারি। বলতে পারি চাইলেই।
কিন্তু লজেনচুষ যে ফসকে যাবে তাতে।