দোয়েল ও আমি
ঘড়ি ভুলে এখন মন দিয়ে
পেট ভরাচ্ছে...
ঝাল খেয়ে বের হচ্ছে জমানো স্মৃতি-সর্দি
আজ মাংস হয়েছিল। মুরগী।
খুব মনে পড়ছিল জাতীয় পাখি
বাংলাদেশ;
পরগাছে ঝুলে থাকা বিভীষণ যাচ্ছে ব্যাঙ্ক থেকে
লোন আনতে-নৌকাবাড়ি বানাবে বলে।
এখন তুমি চেয়ারে বসে
শূন্যতার মাফলার জড়িয়ে তাচ্ছিল্যের
ট্যাবলেট গিলছো গোগ্ৰাসে!
বিদ্রুপের উড়োজাহাজ টিকটিকির ছায়ার
মতো মনে হচ্ছে...
আড়াল করছে সকল প্রাসঙ্গিকতা ও
আপেক্ষিকতার ফরমাস।
সময়ের গিটার
কল পাম্প করে উঠে আসছে অন্ধ ফসফরাস পিস্তলের গা থেকে ঝরে পড়ছে সন্দেহের বীজ আলোকে ভাঁজ দেবার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে মেরুদণ্ডহীন হাঙর।
আমি এখন মোবাইলে গেম খেলি, সন্ধ্যা হয়, বৃষ্টি পড়ে নিয়মিত মাথার বালিশে
পাশের ঘর থেকে আওয়াজ আসছে-
রেওয়াজে বেসুরো ঘুম লাগছে; কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে হারিকেন।
আলোয় একটু একটু ভাঁজ এসেছে
যেহেতু স্যাঁতস্যাঁতে অনিচ্ছেয় পাড়ায় বাস বন্ধ তাই এদিক-ওদিক ডেকে ঢোঁক গিলতে হচ্ছে...
দেখতে হচ্ছে বোবা পাখির কান্না
খচরমচরে আহুতি জেগেছে...
হারিকেন নেভা আলোয়, ভাঙা হোল্ডারের গা দিয়ে আবার হেঁটে যাচ্ছে হাঙর
মেরুদন্ড বিক্রির জন্য।
ফেসবুক-কাম-বুক
আমার আবার মনে পড়ে ডিসেম্বর
কমেন্টের অছিলায় প্রেম মুভমেন্টের
আঁতুড়ঘর;
ফোনের বারান্দায় যে ফেসবুক নামক
জানালা ছিল, সেখানে প্রথম পরিচয়।
সূর্য তখন সবে সানগ্লাস খুলে চোখদৃষ্টি ভীষণ
এখন বসে থাকি বারান্দায়, মশাচাষ করি
ঘর বানাই অবসাদের তাস দিয়ে
একই ভাবে বৃষ্টি পড়ে কিন্তু সৃষ্টির বড়ই অভাব
সেই বৃষ্টিতে...
অগ্নি রায়ের জর্দা বসন্ত আজ যেন
রূপমের কালো জামায়!
দিনশেষে দাঁড়িয়ে থাকি ভন্ড যজমান সেজে বাঁকুড়ার মোড়ে...
নিদ্রিত আবদার
পাঁক থেঁতলানো ভূগোল দেখেছ?
অন্নের অতৃপ্ত আত্মা ঘুরছে।
কাল-মহাকাল-পরকাল-ইহকাল সব
যাচ্ছে পেরিয়ে...
কবিতা এলোমেলো হচ্ছে, কাক ঘুরছে ছিটানোর অপেক্ষায়।
গদ গদ মনে-প্রানে
প্রতিক্ষায় বলছে,
অন্ন দে নইলে-
মানচিত্র খাব!
অনিশ্চিত
কি জানি! আমি অন্তত জানি না।
ফ্যান্টাসি'তে ভাসার ইচ্ছে আর নেই-
আমার...
মাঝে মাঝে বসে থাকি। বিষাদের বিস্কুট খাই অতীতের চা'য়ে
তবুও কেমন যেন আনচান আনচান করি ফ্যান্টাসি'তে ভাসার জন্য;
এখন সময় নিষিদ্ধ জারি করেছে।