প্রকৃত
সার্থক আলোর মতো দেখি
তাঁর লেখা, হেমন্তরচনা
কী প্রমত্ত বয়ে যায়
পরশব্দে ধীর, পুরাতনী গান যেন-
ভিটামাটি, দেশভাগ, প্রৌঢ়া ঠাকুরানী
রেলগেটে ভোরের জটলা
আরো যা যা ঘটে গেছে সামান্য অতীতে
আমাদের খঞ্জপ্রেম, সপাপ তুফান
নিবেদন সমাপান্তে কী গভীর 'আঃ'
সার্থক আলোর পিঠে লেখা,
পাঠক কবিতা বলে
আমি জানি, পত্রপাঠ জবাব এসেছে
প্রাকৃত
আলোর রহস্য আছে, যেমতি তরল অন্ধকারে
রহস্যচাতাল মাঝে শক্তি-শিব নিত্য খেলা করে
নিত্যকে অনন্তে বাঁধি, মহাঘোরা, শ্মশানসকাল
একা মারি, একা রাঁধি, বেড়ে দিই অক্ষরের থাল
অক্ষরস্পর্শমাত্র শিবের নির্লিপ্তি ফেটে যায়
ত্বং হি- ত্বং হি- বাজে, রতিভাস্য তড়িৎসহায়
অনায়াস ডুবে যায়, ধাতুগন্ধী প্রথম চিৎকার
প্রাকৃ্ত ঠোঁটের ফাঁকে, মাতৃভাষা, মুগ্ধ সারাৎসার
শব্দই প্রার্থনাভঙ্গি, শব্দে নাচে কলহসাপিনী
বিবাহ নশ্বর পুঁথি, আমি তাঁর নিগুঢ়রমণী