নকশা কাটা পিরিচ
এক...দুই...তিন...
নকশা কাটা পিরিচে
হাঁটা হয় পড়ন্ত বিকেলে।
দরজা হাট খুলে রেখে
দেওয়াল চেপে ধরে শ্বাস।
তুমি তখনও মেপে নাও
উপরিভাগের ধুলো, পূর্বা!
আমি আসন পেতে বসে
নিরীক্ষণ করি সমকোণ
চারিদিকের। ধোয়া বালুঘর।
তুমি মেপে নাও একটু বিক্ষিপ্ত জগৎ।
আমি পার করব সময় এলে...
ঘর ও ব্যবধান
আমি পোষাকের প্রত্যেকটা গিঁট
পরোখ করে দেখে নিই,
বেঁধেছো ঘর, তাতে বাকি রয়েছে কিছু গাঁথুনি,
আমি ভাবতে পারিনি তুমি ভোরের সামনে
পেতে দেবে একটুকরো গজ।
তুমি হয়তো ভেবেছিলে তোমার দোষ পড়েনি,
পড়েছিল একটু কর্পুর, যা জিভ থেকে ছিনিয়ে
নিয়ে গেছে সমস্ত স্বাদ, তাপ, বহমান স্রোত,
এখন সে শয্যাশায়ী, আয়নায় দিন দেখে রোজ।
কি কারণে তুমি তাকে মারণমন্ত্র দান করলে?
আমি দেখে নিই রোজ গড়ে ওঠা লাল মাটি,
তাতে প্রতি মুহূর্তে ভূমিকম্প ওঠে, সুতোয়
পড়ে যায় চড়া, হাত দিয়ে টিপে ধরার চেষ্টা করি।
ভোর নয়, চোখের সামনে ধরা একটুকরো গজ।
খুব সাবধানে পা ফেলি, যদি ঘুম ভেঙে যায়