মাটির কবিতা
বরফরেনুর ফুল ছুঁয়ে আছে মৃত্তিকা সার।
মাটির গন্ধ ভুলে যাচ্ছে মাটি,
ওজনে নুইয়ে পড়ছে অবিশ্রাম বাতাসমঞ্জরী।
আগুনের লেশ মাত্র নেই তবু—
বিষন্নতার গরমে স্বেদজ গ্রন্থি থেকে নিসৃত হচ্ছে
উষ্ণ স্নায়ুরজ্জু।
এ শাদা বড় অদ্ভুদ,
রৌদ্রস্নাত হয়েও ভিজিয়ে দেয়না দুচোখ।
মৃত্তিকা সার গায়ে মেখে বসে থাকা মানুষরা জল ভুলে গেছে কবেই।
বরফরেনু ছুঁয়ে থাকার অছিলায়,
জলজ্যান্ত শুয়ে পড়েছে কবরে।
ক্রিসমাস প্রভাতে তাজা বরফের মতো লুটিয়ে আছে শরীর।
সান্তাক্লজের দল নেমে আসছে পৃথিবীত—
শত শত খোলা কবরের ওপর মাটি চাপা দেবে বলে।
উপাস্যের কবিতা
যাদের তৃতীয় চোখ নেই—
তারা অপেক্ষা করুন প্রতারক সাজার জন্য।
দানপাত্রে পেটিকোট ঢাকা দিয়ে যারা পয়সা লুটছে তাদের মুখ না দেখে পাকস্থলী বন্ধক দিন, চরণামৃত চাটুন, তারপর চোখ বুঁজে দু আঙুল দিয়ে কাঁন চেপে অপেক্ষা করুন...
দুটো কিডনির বদলে গঙ্গা আরতি দেখা যায় ইদানিং।
পরিবেশ বাঁচাতে জল খাওয়া বন্ধ করুন, লক্ষ লক্ষ চালের দানা গলার ভরে নিন, আর তারপর অপেক্ষা করুন—
চড়ুই পাখির জন্য।
যাদের চারটে হাত নেই—
শুধুমাত্র তারাই অপেক্ষা করুন চড়ুই পাখির জন্য।