দ্বিপদী
হেমন্তিকা হাওয়ায় তুমি ছুঁলে আচমকা
আঁচল দিয়ে ঢেকে দিলে খর তাপ-অহমিকা।
স্বপ্নের শেষে নিয়ত ঘুম ভেঙে গেলে দেখি
নিশীথ-আকাশ হৃদয়ে তুমি স্মিত নীহারিকা।
চৈত্রের ঝরা পাতায় লেখা জীবন সঙ্গীত
ক্ষয়ে যাওয়া দিন শেষে তুমি গেয়ে ওঠো একা।
তামস বিধাতার পায়ে কাঁদে নিষ্প্রভ বহ্নি
জ্বেলে দিয়ে যাও আঁধার ছুঁয়ে দীপবর্তিকা।
শীতপ্রিয়া
আমার ভিতর বয়ে চলা খর নদী
শুকায় তোমার শীতাতুর অনীহায়।
ক্ষয়রোগ সবুজে, হিম হাওয়া আনে ব্যাধি
জমে ওঠে ওম বিরহের সাধনায়।
মাটির উঠোন জুড়ে অমানিশা আঁকা
কুয়াশার মতো প্রেম; ধূম্র অবিকল,
যতদূর চোখ যায় ব্যাপ্ত প্রহেলিকা
ঢেকে রাখে জীবনের আসল-নকল।
তারা খসে গেলে রাতের থাকে না আব্রু
হিম হয়ে ঝরে পড়ে পরীদের কান্না
ভিজে ওঠে মন অনিমিখ ঋজু তরু
ফিরে আসে ধ্রুবপদে রাতচরা সাহানা।