ভালোবাসার স্মৃতি-দিন
পেঁজা ভাঙনের গভীরে পড়ে আছে উড়ন্ত মন,
নিরামিষ স্থবিরতা, প্রত্যহ আদরের পিত্যেশ।
রোদের হ্রাস নিয়ে আহ্লাদে বুঁদ দেখি আজ বন,
বিবশ ক্ষত শুকিয়ে চুপ-দিন চলে যায় বেশ।
জারুল গাছে হেলে পড়ে আছে সে মাজা-ভাঙা রোদ।
আকাশের পৃষ্ঠায় ধূসরিত মেঘের ছেঁড়া বড়ি।
দেউলিয়া শোক জানে ম্লান আজ পাখির সরোদ,
উপুড় আড়ালে বারোটায় গুম হয়ে আছে ঘড়ি।
আজ ফিকে এ প্রচ্ছদে এঁকে জড়ুলের জাফরানি,
ধোঁয়াটে রঙ ঘিরে জমেছে মনখারাপের পোঁচ।
ভালোবাসার স্মৃতি-দিন একাকী গুমরায় জানি,
উদাসীন শূন্যের কাছে মনপ্রাণ হয় খরচ...
ছায়া বুননের রীতি মেনে সে রোদের বিপরীতে,
পালকের বিশ্বাসে কতটুকু আমার পাখি নিতে?
দেউলিয়া শীতে
ঝরাপাতার মতো আমাকে এঁকেছিলে তুমি স্রেফ,
বুঝি সে মাতোয়ারা উষ্ণতা আজ কত উদাসীন।
মনখারাপ মুছে ক্রমে বেড়ে যায় আবছা রেফ,
নিরেট স্মৃতি কেটে পিঁপড়েরা ফেরায় প্রেত-ঋণ।
সময়ের কিনারা থেকে গড়িয়ে যেত শীত-বেলা,
চোখে লেগে আছে আজো তুমি সেই চাদর-সুন্দরী।
পান করবো ভেবে কতদিন শীতে-থিতু পেয়ালা,
আজ সেই গরম চায়ের ধোঁয়া দিয়ে ঘর গড়ি।
সব ঘর ভেঙে যায়, ধস নামে, ভ্রুকুটি সম্বলে
সাপের খোলস গায়ে মেঠো চাঁদ শুয়ে থাকে মাঠে।
নিষ্ঠুর কাস্তের দাগ নিয়ে দূরে বুনো খড় জ্বলে,
আমি আগুন হয়ে সেজে থাকি এ গৃহস্থালি কাঠে।
অভ্যস্থ শূন্যের ভাঁজে ভাঁটা-মন পড়ে আছে স্থির।
দেউলিয়া বুনন নিয়ে একা আছি, ক্ষত-প্রাচীর।