দোঁহা

নিমাই জানার কবিতা


ছত্রাকের মুণ্ডবিহীন ঈশ্বর ও তেত্রিশ দ্বাপরের নক্ষত্রযোগ

১.
সাদা থকথকে দই মেশানো রক্ত তঞ্চনের থেকেও আদিম কোনো করোনারী আর্টারির কথা বলছি প্রবৃদ্ধ কোণে বসে থাকা নীল নগ্নিকাদের চতুর্থ লিঙ্গের মিশরীয় ভূখণ্ডের শ্বেত প্রদর মুখে নিয়ে,

উৎক্ষিপ্ত ছিন্নমস্তার মতো মুদ্রারত নটরাজের বিভঙ্গের থেকেও দূষিত ম্রিয়মাণ পাইন কাঠের তৈরি এস্রাজ বাজাচ্ছেন, উগরে দিচ্ছেন সাদা রঙের বরফকুচির কফ ও রুপোলি রিপুর বর্জ্য সমগ্র ,
তা থৈ নৃত্যের অমৃত ভাণ্ড ছেড়ে লাল চামচ দিয়ে মাথার সুদৃশ্য সুষুম্না রস বের করছি আমি, ছাই ছড়ানো ভয়ংকর ভূখণ্ডে তত্ত্ব কালী নৃত্যের শেষে নিজেই সাদা রঙের মধু ও ঘৃতাহুতির যজ্ঞের ধোঁয়ায় ধুয়ে ফেলছেন নিজের ভয়ংকর নিশুতি যজ্ঞের কশেরুকা ও জ্বলন্ত চিতার হাড়, সুস্বাদু লাগছে মজ্জারস
আমি রেনুস্থলীর মতো জমাট ,  অন্ধকারে সোনালী ব্যাঙাচি ও হো প্রজাতি ঈশ্বরীয় জীবিত রজস্বলার গন্ধর্ব ছত্রাকগুলোকে নিয়ে নীল ময়ূরাক্ষী হয়ে যাব সবুজ অভয়ারণ্যের ঘাসে নেমে, ক্রমশ কৃষ্ণ মন্ডলে চলে যাচ্ছেন চাঁদ ধীবর আর শংকরাচার্যের মুণ্ডবিহীন আদিম পুত্র সন্তানেরা তাদের যৌন ক্ষমতা ছিল না ঈশ্বরী অভিশাপে অ্যারোটিক পাথরের থেকে আরও ব্রহ্মযোজন দূরে থাকা কোন পাতালে নিজের আঁতুড় ঘরের পঞ্চদশ দাইমাকে নিয়ে আমি নিজের নাড়িভুঁড়িগুলোকে অসম্ভব মরচে লাগা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি বিস্ফোরণের প্রাক মুহূর্তে , আমি নীল শতদ্রু
ছড়িয়ে দিচ্ছি নারীর ভৌতিক দেহ আলফাবেটিক বিয়োগান্তক শব্দমালা ,  খয়েরী সেন্ট্রোজোমের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে আমার কাঁটা আটকে থাকা গলার সাপের কঙ্কাল, সবুজ মৃত্যু ছাড়া আর কোন হৃদপিণ্ডের অসুখ নেই এখন,
মোম মেশানো পিশাচেরা গন্ধর্বের আকন্ঠ সংগীত ফিরে ত্বরণহীন অপরাজিতার ভৌমবীজ চিবিয়ে খাচ্ছে বৈকুণ্ঠের অতিপৃক্ত সদর দরজায়, কাটা মুন্ডুর চারপাশে আমি জীবিত কিসমিসদের জমিয়ে রাখছি ঞ চিহ্নের মতো, লাল চন্দন গাছটি তেজস্ক্রিয় দণ্ড

২.

জিভের তলায় রাখি ১৯ বসু পুত্রদের জড় বায়বীয় অক্ষয় যোগ, ধারক ধনুক, ভূমিকম্প শিখর উন্মত্ত দাঁত, যুদ্ধ ফেরত ঘোড়াদের গায়ের লোম, বিষাক্ত শেয়াল, গলে গলে পড়ছে নিম্নাঙ্গের মাংস ও মাংসল উচ্চ লিথিয়াম মাংসপেশী, আকন্ঠ মদঘোর তৃপ্ত নৈশ

উচ্চ লম্ফন ভৈরবী রাত্রিকালের মহাজাগতিক ভূমন্ডলে নেমে দীর্ঘ চিৎকারে দুই হাত নিয়ে নামিয়ে আনছেন এক ভয়ঙ্কর তাইতা যুগ। সুগন্ধি জাফরান ফলের ভেতরে ঢুকে লাল অন্ধ শুক্রগ্রহ থেকে নিয়ে আসছেন অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন লাল ক্যাথোডের দাঁত, আমি লাল বিষাক্ত কফ লুকিয়ে রাখার জন্য কাঁচের বোতল দিয়ে তৈরি অ্যাসকোরিল ডি প্লাস খাওয়ার পর ভয়ংকর কেঁপে উঠলো ঈশ্বরীর দীর্ঘমেয়াদী জিভের স্বাদকোরক,
উল্টানো ছাল ছাড়ানো ভেড়ার মতো এই উপত্যকায় আমার মতো আর কোন রক্ত ব্যবসায়ী নেই যার গলায় জড়ানো স্কার্ফে করবী ফুলের মালা ঝুলছিল আটকে থাকা অনুচক্রিকা সমগ্রের শ্বাসকষ্ট পাঞ্চাল ঘনত্ব নিয়ে, সারারাত জ্যোতিষ্করা জীবিত থাকে যুদ্ধ নৃত্য দেখার জন্য

লোল ছড়ানো চিতা থেকে আগুনের প্রহেলিকা দীর্ঘ বাহু সুমেধ ঋষিরা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সুমেরু পর্বতের প্রাচীন দূরত্বের বাইকালার কণা, আমাদের শৌচালয় ছিল অথচ সমুদ্র গ্রন্থির চারপাশের সংক্রমণ জড়িত এক পাখি। লাল বটবৃক্ষের অন্তরালে বসে যৌন পদার্থবিহীন বামন পুরাণ পড়ছে, ভিনিগারে ঢুকিয়ে রাখি আমার আত্মার অপ্রাকৃত অংশগুলোকে , বিধ্বস্ত চেহারা গুলোকে সুঁচ দিয়ে সেলাই করে টাঙিয়ে রাখছি দুমুখ সাপের আয়নার নিচে

সোমদত্তরা বেরিয়ে আসছে চক্রাকার জীবের আণুবীক্ষণিক সুমেধ তরঙ্গ নিয়ে,  পা ঝুলিয়ে বসে আছি আমি পৃথিবীর চক্রাকারের মতো আর কোনো কৌশিকী পাখিদের আমৃত্যু-শৈলোৎক্ষেপ প্রদাহজনিত মাংসপিণ্ড নেই , পুড়িয়ে ফিরছি শ্মশানের চক্রাকার সম্প্রদান কারখানা ও মায়ের রক্ত হাড়
গলার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে বধ করছে পিশাচদের নৃতত্ত্ব সরীসৃপদের, ফুলগুলোকে গর্ভকেশরের ভেতর লুকিয়ে রেখে লাল লাল মধু কৈটভ আর গলার ভেতর থেকে কিছু বীর্য নিক্ষেপকারী সাদা রঙের বদ্বীপ আবিষ্কার করলেন তীব্র ফুঁ দিয়ে, আলবার্টস কফিন

১৮ লক্ষ পরজীবী বিস্মৃত কুমায়ুনের গভীরে থাকা বরফ ঢাকা মহেশ্বরের হলাহল নৌকায় উলঙ্গ হয়ে বসে থাকেন, গাছেরা পাখনা ওয়ালা জিষ্ণু ও তুরস্ক রঙের ঋষিদের কাছে ধ্যানস্থ যৌগিক, প্রাণায়াম নির্বিকল্প সকলেই চক্রাকার মুখের ভেতরে দীর্ঘ নখ ঢুকিয়ে মাংসাশী হয়ে যাওয়ার আগে দীর্ঘ পাকস্থলীর ভেতর থেকে আকাশ গঙ্গায় নেমে যাচ্ছেন , ঈশ্বর যজ্ঞের সমাপিকা নাবিক। আমি দুই হাতে তাপসীর উত্তুঙ্গ আসবাবপত্রের টুকরো খুঁজে নিচ্ছি একাদশ মুদ্রা রাক্ষসের শৃঙ্গার ধ্বনি দিয়ে, হাঁ করো জীবাণু মৎস্যগন্ধা প্রেমিকার ব্যবচ্ছেদ শরীরটাকে গিলে খাব দ্বিপ্রাহরিক নৈশভোজনে...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন