মহাকালী
অমাবস্যার নিকষ কালো আঁধার নিঃস্ব হলে আজও
দীপাবলির দীপালোকে পূজিতা হন রাত্রিরূপী মহাকালী!
অবিদ্যা-অহং-অজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হলে চরাচর
ধ্বংসরূপে শবের উপর অধিষ্ঠিত হন সৃষ্টি-স্বরূপিনী!
চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি স্বরূপ ত্রিনয়নে তাঁর আলোর শপথ,
প্রকৃতি প্রতীক মহামায়া, মুক্ত চেতনার বিজয়-রথ!
আদি-অন্ত-অনন্ত আবহমান মুক্তমনা দিগম্বরী ব্রহ্মজ্ঞান প্রদায়িনী!
আদি-অন্ত-অনন্ত জীবন জ্ঞানশক্তি মহাকালী ব্রহ্মাণ্ড স্বরূপিনী…
নিস্তব্ধ অমাবস্যা
চাঁদহীন চোখে, আকাশের শূন্য বুকে
দেখি, কান্নাঝরা ব্যথাদের তোলপাড় শোক!
নীরব আঁধারের আড়ালে, ধূসর মেঘের দেওয়ালে
নিশ্চুপে তাই তারাদের মৌন মিছিল এঁকে রাখি!
ক্ষয়িষ্ণু রাতের কাছে কিছু নিস্তব্ধতা ধার করে
ধৈর্যর ধারাপাতে আলোর কবিতা লিখি
প্রদীপ শিখায়!
খেলাঘর বাঁধা শেষ হলে সবটুকু সাজিয়ে দেখি
বৃষ্টিছাটে ভিজে গেছে বালুচর!
চরাচর জুড়ে কাদামাটির ঠুনকো হিসেব
নির্ভার, ভেঙেচুরে চৌচির!
শোক দলিলে মুহূর্তরা লিখছে কিছু আফশোস,
আলোহীন ঘোর অমাবস্যায়…