হেমন্তের মনখারাপ
চর্চিত চন্দন গন্ধ বুকে রেখে কেউ
হেমন্তের মাঠে হাঁটে নিঃসঙ্গ একাকী
প্রেমহীন এ পৃথিবীতে আকুলিত স্বপ্ন
দিশাহীন মরামাঠে গোড় দেয় তবু
শুকনো বিবর্ণ পাতার ছাই ওড়ে ঢের
বিকেলের ম্লান রোদ সান্ধ্যকুয়াশায়
মুখ ঢাকে স্মৃতিচিহ্ন! প্রত্যাখ্যান ঘিরে
ক্ষত, বিকর্ণ অসুখ ঘিরে ধরে রোজ
জীবন কষ্টের হয়, প্রলম্বিত শ্বাস
অবরুদ্ধ মায়াকান্না জুড়ে দেয় দ্রুত
শীতল বাতাস এসে ব্যাকুল হৃদয়ে
বিদ্ধ করে আরো তীক্ষ্ণ সূচিমুখ দুঃখ!
এই যে প্রবল চাপ, দেহ মনে ভয়
হৃদয়িক জন্মলাভ তুচ্ছ কেন নয়!
হেমন্তের মাঠ ভেঙে মনখারাপ আসে
তাকে চিনে নিতে পিঁড়ি পেতে দিতে পারো!
সভ্যতার খোলস উন্মোচন
আমার ক্ষতের কাছে বসে আছে নীলডুমো মাছি
যত ঋণ জমা হল আহত সময় তাকে ঘাড়ে নেয়
পরিশোধ সীমানা লিখে দূরত্বের গভীরে যায় চলে
'মনে রেখো' তবু, নাছোড় প্রেমিক চোখে হাত দেয়
সম্পর্ক চিহ্নিত হয় রহস্যের আধো-আলোময় পথ
আমাদের বেঁচে থাকা সুড়ঙ্গের নীলমাছি তা জানে
ওৎপাতা বিড়ালীয় বিভঙ্গ তপস্বীর ছদ্মবেশে পাশে
গুরুমন্ত্র নেবে কিছু? গুপ্ত স্রোত ভেসে আসে কানে
সবখানে মিথ্যাচার অমিত লাবণ্য নিয়ে ফুটে ওঠে
গোঠে গোঠে বংশী বাজে নধর গাভীদের উচাটন
নগরকীর্তন সব এইখানে বাটি-ঘটি খোল-করতাল
বহুমুখি মানচিত্রে সভ্যতার বর্ণময় খোলস উন্মোচন
