দোঁহা

রূপক চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা


নিঃশব্দ সংকেত

বুড়ো  রডোডেনড্রন পেরিয়ে তোমাকে আকাশ পর্যন্ত
ছুঁতে চেয়েছি।
দীর্ঘ অসুখের প্রান্ত থেকে ফিরে এসে
তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি
সমস্ত কেন্দ্র বিন্দুগামী আলোক রশ্মি
ভালোবাসা নাও পেতে পারে!
ছন্নমতি মেষ পালেকের পিঠের ঝোলায়
সূর্যাস্ত রেখে নিভে গেলো নাচুনী ঝোরাদের রূপ!
হিম হয়ে এলো তারাদের বার্তালাপ,
গরম গরম চা'ফুলের বড়া আর মদের তৃষ্ণায় মদেশিয়া পাড়া টলমল করছে।
ধূসর টেথিস সাগর থাকে তোমার উত্থান দেখব বলে
টিভি ছেড়ে খুলে বসলাম আদিম ডাইরিটা।

দেখি পাথুরে ডাইরির খাঁজে খাঁজে
তোমার ফার্ন শরীর তখনও প্রেমিকার মতো চিকন হয়ে আছে!



প্রতিশ্রুতি হীন পরিযান
 
আমি তোমার জন্য কোনো
নৌকা প্রতিশ্রুতি রাখিনি।
তবে পারাপারের গল্প আসে কি করে?
ভালোবাসার উডল্যান্ড নার্সিং হোম থেকে
শবানুগমন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া অসংলগ্ন খৈ কারোর জন্যই প্রতিশ্রুতি রাখিনি। প্রত্যাশাও না। নিমগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে গ্রামীণ চপলতা, আরো চপলমতি নদীর বুকের বালি খুঁড়ে কলসি ভর্তি জল নিয়ে যায় নদীবান্ধব দেশের মেয়েরা। আমি তাদের কাছে জলের প্রতিশ্রুতি পেয়েও
 তৃষ্ণার তীরে কাটিয়েছি জন্মান্তর!

মনে ভাবি তুমি ফিরে এলেই হয়তো বা
বাঘের হাঁ মুখ থেকে হিংসা খসে পড়ে
এমনি এমনি একটি লালা মাখানো পথ হবে

প্রত্যাশা হবে। প্রতিশ্রুতি হবে। আর জাপটে ধরে
কয়লা না হওয়ার পর্যন্ত দুজন দুজনে ছাড়বোনা কোনো দিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন