অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
বৈঠকী ঢঙেই শুরু করা যাক বরং। সম্পাদকের তরফে যখন ভাবা’র বিষয়ে লেখার প্রস্তাব পেলাম পেশাগত কারণে তখন শহরে নেই। কাজের সূত্রে পাড়ি দিয়েছি আরব সাগরের উপকূলবর্তী কোনও এক শহরে। ২৪শে জানুয়ারি, সকালের দিকে ফোন এসেছিল। “ভাবা’র মৃত্যুদিন আজ। কিছু কি লিখবে?” বিশেষ করে কিছু ভাবারও সময় পাইনি। স্বীকার করছি, তখনও সামনে ছিল আরও দিন-দুয়েকের প্রবাস। কলকাতা ফিরলেই বইমেলা-উৎসব। অভয় জুটল। “ফিরে এসেই লিখো নাহয়।” নিমরাজি হলাম। এখন যখন, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কলম-কাগজ-কম্পিউটার-কীবোর্ডের সঙ্গত নিয়ে বসেছি, প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। ভাবা’কে নিয়ে এ লেখা না লিখলে, বরেণ্য এক বিজ্ঞানীর অনেক অজানা দিক, আমার কাছে অন্তত অজানাই থেকে যেত।
পিতৃদেবকে জিজ্ঞেস করলাম, “জানো কি, ভাবা একজন চিত্রশিল্পী হিসেবেও সম্মান কুড়িয়েছিলেন?” প্রশ্নটা করেই টের পেলাম মিসপাস করে ফেলেছি। সাতের দশকের গোড়ায় আমার পিতৃদেব কিছুকাল ইসরো-টিআইএফআর, এই দুটি গবেষণা-সংস্থায় যাতায়াত, গবেষণার সুযোগ পেয়েছিলেন। টিআইএফআর’এ সরাসরি যোগ না দিলেও, হোমি ভাবা’র নিজে হাতে গড়ে তোলা সেই প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। পরবর্তীতে বেশ কিছুকাল ইসরো’তে কাটিয়ে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার চাকরিতে ফিরে আসেন। কাজেই ভাবা’র হাতে গড়ে তোলা যে প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার বিষয়ে তিনি যে জানবেনই তাতে আর আশ্চর্য কি? অম্লানবদনে পিতৃদেব উত্তরিলেন, “অবশ্যই। টিআইএফআর’এর যে শিল্প-সংগ্রহ, জাত-শিল্পী ছাড়া আর কারও পক্ষেই কি সম্ভব হতো সেই সংগ্রহ গড়ে তোলার? ভাবা ছিলেন একাধারে শিল্পী ও বৈজ্ঞানিক, আর তাঁর হাত ধরেই টিআইএফআর’এর শিল্প-সংগ্রহের সূচনা!”
“রাত অনেক। প্রায় ১টা বাজতে যায়। কনসার্ট থেকে ফিরেছি ১১টায়। সেই থেকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বুঁদ হয়ে বসে আছি। তোমাকে চিঠি না লিখে উপায় ছিল না। এমন সঙ্গীত আমি এর আগে কখনও শুনিনি। একথা কখনই বলব না, বাজনদারেরা একেবারে নির্ভুল সুরে বাজিয়েছেন। কিন্তু গোটাগুটি ভাবে দেখলে সঙ্গীত হিসেবে সমস্ত ব্যাপারটাই এত অসাধারণ রকমে সুন্দর, যে প্রয়োগের সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলিও অনুভূতির ক্ষেত্রে কোনও বাধার সৃষ্টি করে না। আমার মন যেন তখন আর আমার শরীরের ভিতর ছিল না, কোনও এক উচ্চ-আকাশে অদ্ভুৎ এক সৃষ্টির জগতে সে বিচরণ করছিল। অনেকক্ষণ অবধি আমি এই পার্থিব দুনিয়ায় ফিরে আসতে পারিনি।”
কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র থাকাকালীন ভাবা নিয়মিত পাশ্চাত্য সঙ্গীতের আসরে উপস্থিত থাকতেন। এমন এক আসরেই তিনি বেঠোফেনের নাইনথ সিমফনি শোনেন প্রথমবার। সেই রাত্তিরেই ভাই জামশেদকে লেখা চিঠিতে তিনি তাঁর মনের অনুভূতি জানান। ভাবা’র শিল্পী মনের পরিচয় পেতে গেলে এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কি আছে?
আদতে ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত, চিত্রকলার প্রতি ভাবা আকৃষ্ট ছিলেন। ঠাকুর্দা হরমুসজি ভাবা’র গ্রামোফোন যন্ত্রে দুই ভাইতে মিলে শুনতেন পাশ্চাত্য সঙ্গীত, আর বিশিষ্ট পার্সি চিত্রকর জাহাঙ্গির লালকালা’র কাছে শিখতেন ছবি আঁকার কৃৎকৌশল। এমনকি বেহালা ও পিয়ানোতেও হাত পাকিয়েছিলেন ভারতের পরমাণু গবেষণার জনক হোমি জাহাঙ্গির। সেই কিশোর বয়সেই বম্বে আর্ট সোসাইটির প্রতিযোগিতায় ভাবা’র আঁকা সেলফ-পোর্ট্রেট দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। বিজ্ঞানী না হলে হয়তো চিত্রশিল্পীই হতেন, কিন্তু শেষ অবধি পরিবারের ইচ্ছায় ১৯২৭ সালে তাঁর বিলেতযাত্রা। মেক্যানিক্যাল এঞ্জিনিয়রিং নিয়ে উচ্চশিক্ষার্থে ভর্তি হলেন কেম্ব্রিজের গনভিল কলেজে। মন টিকল না। শিল্পী না হলেও ভাবা’কে টানল পদার্থবিদ্যার রহস্য, থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের মতো গুরুগম্ভীর তাত্ত্বিক বিষয়। পরিবারের লোকজন এদিকে ভেবে রেখেছিলেন, বিলেত থেকে ইঞ্জিনিয়র হয়ে ফিরলেই জামশেদপুরে টাটার ইস্পাত কারখানায় হোমির চাকরি পাকা। সেই হোমি কেম্ব্রিজে পৌঁছনোর এক বছরের মধ্যেই চিঠি দিয়ে জানালেন, তিনি বিষয় পরিবর্তন করতে চান। বাবাকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন,
“ _আমি সত্যিই মনে করি এঞ্জিনিয়রিংয়ের কেরিয়র আমার জন্য নয়। আমার জীবন পদার্থবিদ্যার সুরে বাঁধা। …যে সব বুদ্ধিমান, যোগ্য মানুষ এঞ্জিনিয়র হতে চায়– তাদেরকেই নাহয় সেই পেশা বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। বেঠোফেনকে কি কেউ বলতে পেরেছিল, ‘তুমি বিজ্ঞানী হও, কারণ এ যুগ বিজ্ঞানের!’। কেউ কি সক্রেটিসকে বলার সাহস দেখিয়েছিল, ‘এঞ্জিনিয়র হও ভাই, বুদ্ধিমান মানুষের ওটাই পথ!’ –জগতের বিচার এমন নয়। আমাকে অনুগ্রহ করে আপনি পদার্থবিদ্যায় পড়াশোনা করার অনুমতি দিন।”
এই ছিলেন হোমি জাহাঙ্গির। সুর, রঙ, বিজ্ঞানের এক আশ্চর্য মেলবন্ধন, মিলেমিশে যাওয়া অনুরণন।
অনুমতি দিয়েছিলেন বাবা জাহাঙ্গির, আর সেই থেকেই ক্রমশ ভাবা হয়ে উঠলেন ভারতীয় পরমাণু গবেষণার পুরোধাপুরুষ, প্রবর্তক। কিন্তু শিল্পী ভাবা’র যাত্রাপথ? আরেকটু ফিরে দেখি বরং।
যে সময়ে কেম্ব্রিজের ক্যাভেনডিশ ল্যাবরেটরিতে কাজ করছেন হোমি জাহাঙ্গির, সেই সময়ে ল্যাবরেটরির চেহারাটা কেমন ছিল? ১৯৩২ সালে এই ল্যাবরেটরিতেই নিউট্রন কণা আবিষ্কার করবেন জেমস চ্যাডউইক, ১৯৩৫ সালে পাবেন পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার। হোমি ভাবা’র পিএইচডি সুপারভাইজার দু’জন, যথাক্রমে রালফ ফাউলার ও পল ডিরাক। এই পল ডিরাকের নামেই ফার্মি-ডিরাক স্ট্যাটিসটিক্স, এবং ইনিও নোবেল পুরষ্কার পাবেন ১৯৩৩এ। ফাউলারের আরেক পিএইচডি ছাত্র সুব্রক্ষ্মনিয়ম চন্দ্রশেখর, অনেক পরে হলেও – ১৯৮৩ সালে যিনি পদার্থবিদ্যার নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হবেন। এমন এক পরিবেশে ভাবা’র বিজ্ঞান-চর্চা, গবেষণা, এবং তারই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় রোয়িং-দলেরও সম্মানীয় সদস্য। এখানেই শেষ নয়, কলেজের নিজস্ব যে পত্রিকা, তারও প্রচ্ছদ আঁকছেন হোমি স্বয়ং। কলেজে অভিনয় করা হবে হাণ্ডেলের অপেরা ‘সুসানা’, অথবা মোজার্টের ‘ইডোমেনো’, ক্যালডেরনের নাটক ‘লাইফ ইজ এ ড্রিম’। মঞ্চসজ্জা করছেন ভাবা, হোমি জাহাঙ্গির। ব্রিটিশ শিল্প-সমালোচক রবার্ট ফ্রাইয়ের নজরে পড়ে গেলেন তিনি। যদিও শেষমেশ পদার্থবিদ্যাকেই ভালোবেসে ফেলে ভাবা তাকে আপন করে নিলেন। কিন্তু শিল্পীর মন জেগে থাকল এর পরবর্তীতেও। শুরু হল টিআইএফআর-পর্ব।
দেশে ফেরার পর ১৯৪১ সাল, ইণ্ডিয়ান এ্যাকাডেমি অব সায়ান্সের বার্ষিক সভায় হোমি জাহাঙ্গির ভাবা’কে অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে নোবেলজয়ী পদার্থবিদ সি ভি রমন মন্তব্য করেছিলেন, “ইনি যেন আধুনিক যুগে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’র প্রতিনিধি!” প্রথমে ব্যাঙ্গালোরের ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়ান্সে কিছুদিনের অধ্যাপনা, তারপর জামশেদজি টাটা ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের সহায়তায় টাটা ইনস্টিটিউট অব ফাণ্ডামেন্টাল রিসার্চ’এর প্রতিষ্ঠা। কর্মক্ষেত্রে এমনই ছিল ভাবা’র আবির্ভাব। পেশাগত ভাবে এরপর ক্রমশ ইণ্ডিয়ান এ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারপার্সন, পরমাণু-গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া, এসব তো আছেই – কিন্তু কর্মক্ষেত্রেও আমরা কি কোনও ভাবে শিল্পী ভাবা’র প্রকাশ দেখতে পাই?
স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী জওহরলালকে হোমি অনুরোধ করেছিলেন, টিআইএফআর’এর জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ মোট অর্থের মাত্র ১% যেন প্রতি বছর শিল্প-সংগ্রহের কাজে ব্যয় করতে দেওয়া হয়। সেই অর্থের মাধ্যমেই নিজের কর্মজীবনে একদিকে যেমন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় টিআইএফআর’কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন হোমি জাহাঙ্গির, তেমনই অন্যদিকে এই টিআইএফআর’এই গড়ে উঠেছিল আধুনিক ও সমকালীন ভারতীয় শিল্পের সর্বশ্রেষ্ঠ এক সংগ্রহ। কারা ছিলেন সেই শিল্পীদের তালিকায়? ছিলেন বম্বে প্রগ্রেসিভ আর্টিস্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সিস নিউটন সুজা, চিত্রকর ও চলচ্চিত্র পরিচালক তায়েব মেহতা, কে এইচ আরা, এস এইচ রাজা এবং অবশ্যই, মকবুল ফিদা হুসেইন। এই সূত্রেই আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা উচিত।
টিআইএফআর’এর মূল প্রবেশকক্ষে (আমরা যাকে Entrance Hall বলি), উপরে তাকালেই আপনি দেখবেন ৪৫ ফুট লম্বা আর ৯ ফুট উঁচু বিরাট এক দেওয়ালচিত্র বা ম্যুরালের উপস্থিতি। সেই চিত্রের ইতিহাসে পরে আসছি। শুরুর সময়ে ভাবা চেয়েছিলেন দেওয়ালের এই বিশেষ অংশের দেওয়ালচিত্রটিকে বিশেষ একজন চিত্রকরকে দিয়ে আঁকাবেন। তিনি সরাসরি চিঠি লিখলেন ব্রিটিশ বায়োলজিস্ট জে ডি বার্নালকে। কারণ ভাবা জানতেন জগদ্বিখ্যাত সেই চিত্রকর ১৯৫০ সালের নভেম্বর মাসে যখন ইংল্যাণ্ডে আসেন, সেই সময় তিনি এই বার্নালের ফ্ল্যাটেই দেওয়াল জুড়ে নিজে হাতে একটি ম্যুরাল এঁকে দিয়ে গিয়েছিলেন। গোটা ইংল্যাণ্ডে সেটিই ছিল শিল্পীর আঁকা একমাত্র ম্যুরাল। যে কারণে বার্নালের মৃত্যুর পর যখন তাঁর ফ্ল্যাটবাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হয়, বিশেষ সেই দেওয়ালটিকে অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এই মুহূর্তে সেটি লিভারপুলের জগদ্বিখ্যাত একটি আর্ট গ্যালারিতে নিয়মিত প্রদর্শিত হয়ে থাকে। বার্নালের থেকে ভাবা এই বিষয়ে কোনও জবাব পেয়েছিলেন কিনা জানা যায় না। শুধু জানা যায় বিশ্বখ্যাত সেই শিল্পীকে আনার জন্য ফার্স্ট ক্লাস বিমানের আসন সংরক্ষণ করে দিতেও ভাবা রাজি ছিলেন। কেবল পারিশ্রমিকের ব্যাপারে ভাবা স্বীকার করেছিলেন, সেই শিল্পীর যোগ্য পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো ক্ষমতা সেই সময়ে ভারতীয় কোনও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে নেই। তবুও … শেষ অবধি ভাবা’র ইচ্ছেপূরণ হয়নি।
সেই শিল্পীর নাম? জানতে পেরে আমিও অবাক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম কিছুক্ষণ। তাঁর নাম পাবলো পিকাসো। টিআইএফআর’এর দেওয়াল পিকাসো’র ম্যুরালেই সাজিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন হোমি জাহাঙ্গির।
এরপর বিশেষ সেই অংশের ম্যুরালের বিষয়ে ভাবা আরোই উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দেশের মোট ১০ জন শিল্পী সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাঁদের ভাবনা জমা দেন। সেগুলির মধ্য থেকেই যে ভাবনাটি শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়, তার স্রষ্টার নাম মকবুল ফিদা হুসেইন। ছবির নাম ‘ভারত-ভাগ্যবিধাতা’। গোটা টিআইএফআর জুড়েই এমন অজস্র মণিমুক্তের সমাহার ছড়িয়ে রয়েছে। আর্কাইভে সংরক্ষিত রয়েছে ভাবা’র নিজে হাতে আঁকা নীলস বোরের পেনসিল-প্রতিকৃতি। রয়েছে স্যর জ্যাকব এপস্টাইনের সৃষ্টি, এ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আবক্ষ-প্রতিরূপ। উল্লেখযোগ্য ম্যুরালগুলির মধ্যে রয়েছে আর ডি রাভালের ‘ম্যান ট্রায়ম্ফাণ্ট’, কে কে হেব্বরের ‘সিভিলাইজেশন’, বি প্রভা’র ‘ব্ল্যাক মুন’, এন এস বেন্দ্রের ‘কসমস ইন দ্য মেকিং’ এবং অবশ্যই যামিনী রায়ের দেওয়ালচিত্র ‘কৃষ্ণ-বলরাম’। শিল্পী অথবা বিজ্ঞানী, নাকি দক্ষ প্রশাসক, সঙ্গীতবোদ্ধা – কোন বিশেষণেই বা সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা যাবে হোমি জাহাঙ্গির ভাবা’র পরিচয়? আমরা কেবল অস্ফূটে বলতে পারি, “ভাবা যায়?” সত্যিই যায় না বোধহয়। কেবল বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়।
লেখা শেষে পিতৃদেবকে এই লেখা পড়ে শোনালাম। সবটুকু শুনতে শুনতে দেখলাম বিস্ময়ে তিনিও স্তব্ধ হয়ে রয়েছেন। সবশেষে বললেন, “এতকিছু তো আমারও জানা ছিল না একেবারেই! এরপরেও কি তুই আমার অংশটুকু রাখবি এই লেখায়?” আমি বললাম, “রাখব।”
…কারণ আমি তো জানি, ছোট ছোট এমন অনেক নিজের, অপরের anecdote–রূপী মণিমুক্তোতেই গল্পেরা নিষ্পাপ সেজে উঠতে চায়।
Tags:
প্রবন্ধ