দোঁহা

পিয়াংকীর কবিতা

 

মেটামরফোসিস 


(১)
 
লার্ভা সংরক্ষণ করো 
জিইয়ে রাখো সেই আদিম শূন্য
গর্ভগৃহে রোদ এলে উবে যাবে বাল্মিকীর আত্মা
ততক্ষণ, এসো, কুমিরডাঙা খেলি

ধরে ফেলা মানেই ছোঁয়া নয়
স্পর্শ তো শালগ্রামশিলা
দূরে রূপকের আড়াল। ঘুমের গায়ে ইলিউশন 

কুমিরের চোখে জল দেখে সমুদ্রপৃষ্ঠের আন্দাজ কি সম্ভব? 
কোষে কোষে ছড়িয়ে যাচ্ছে ড্রাগন চাহিদা 
এদিকে উল্লাসী দেহে মাছির যাতায়াত 

দাগ আর চাঁদের মাঝের দূরত্ব-বাঈজীর সেই আতরদানির মতো 
যাতে ডুবে থাকার পরও ছোঁয়া কেবলই... 

শূন্যস্থান-মেটামরফোসিসের ফার্স্ট স্টেজে এখন নুনজলের বিস্তারিত খবর  


(২)
 
চুল্লি আছে। নিশ্ছিদ্র 
আগুন পালিয়েছে ওঁ যেদিকে
রুম টেম্পারেচারে বরফ গলছে না দেখে জনগনের গালিগালাজ 

জীবনবিমা আর লাইসেন্সের ভিতর ফারাক কতটা-
শিক্ষক জানেন না  প্রতিবর্ত  ক্রিয়ার ওজন 

চাঁদের রাত্রিকালীন ঘনত্ব যদি সিজোফ্রেনিয়ার কথা বলে 
যদি প্রতিবেশি ধরা পড়ে চুল চুরির দায়ে 

মেটামরফোসিসের দ্বিতীয় পর্বে দাঁড়িয়ে আপনার বক্তব্য নোভ্যালু অর্থে...

(৩)

খাদক নিয়ে কথা হওয়া উচিত 
কাব্য'র বদলে লেখা উচিত ম্যানহোল
যজ্ঞে ঘি ঢেলেছে যারা তারা কি আদতেই বোকা?

শূন্য ছুঁতে চেয়ে খাদের দিকে ক্রমাগত এগিয়েছে মানুষ 
স্টেপ বাই স্টেপ-রানওয়ের পথ মসৃণ 
যত মসৃণ তত শূন্য 
যত শূন্য তত ম্যানহোল

...খাদক অথবা ম্যানহোল,  
পরিপূরক বললেই আমার ভিতর উঠে আসে সেই অলস মেটামরফোসিস 

সেই ভয়ঙ্কর অধ্যায় যাকে চেনার কোনো দায় নিয়ে বেড়ে উঠিনি আমি

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন