অস্বচ্ছ রক্তাল্পতার শব্দ ঘর ও নির্বাক মিছিল
মুখের ভিতরে অ্যাব্রাপ্ট ক্ষতবিক্ষত। কন্ঠ নালীর মতো অস্বচ্ছ রক্তাক্ত সাদা পলিথিনের আস্তরণ। ২৮ সিগনিফিকেন্ট নিস্তব্ধ গন্ধ চোখ, জ্ঞান ছিদ্রে ঘনঘন অন্ধকার, উত্তল লেন্সের খাদক ও প্রজনন ছিদ্রের নির্বোধ। রাতের নক্ষত্ররাই শীতল প্রদেশের ঊপজীবী, হৃদপিন্ডের কুঠুরি নেই, স্থাপত্য অর্ধোন্মাদ নিস্তব্ধ পাখিরা আকাশের সমার্থক গাইছে। অন্ধত্বের ভেতর খনিজ পুরুষ। হি হি। মোমবাতি মতো লাক্ষা জতুগৃহ ধ্বংস করবে পরাগ ও স্ফুলিঙ্গে
অনিরুদ্ধ সাপের মৃতদেহ , একাই কথা বলছে উন্মত্তের মতোই শতভিষা নক্ষত্রের সাথে। বন্ধ কুঠুরি চোখ আর রক্তাল্পতা যোনী। ঠিক কথা বলেছে আমাদের কবিতা, পদলেহন। স্তন লেহন। আদিম রক্ত পিপাসু ধূসর কেশদাম চিত্রের মতো নিকুঞ্জ আপেলের লেহন। সব ধরে বসে আছি অথচ সাপের ঠোঁট দুটো ক্ষত করছে চুম্বনের কাকতালীয় সম্ভোগ। চেরা চেরা জিভ। প্রভৃতি ও কিশোর শিব। মহাকাল। পত্রবীজ আঁশ। রক্তের অক্ষর। সনাতন শিরা অগ্ন উৎপাদক বিভাজিকা। নিস্তব্ধ যজ্ঞ চলছে অথচ শব্দঘরের রক্ষীরা পোশাকের মতো একটা আবৃত্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। মৃত্যু নেই ধ্বংসের। মৃত্যু নেই সৃষ্টির। মৃত্যু নেই খুনির। যমের, বিষ্ণুর, উপত্যকাকারিনীর। লেহনকারীর। ভাত খাচ্ছি, অথচ ভেসে আছে হাতটা। নরমাল ডেথ ইগনেসিয়া শুটিং। পিঁপড়েদের জননতন্ত্র নেই। নির্বাক স্তন ফুলের উপর নির্বাচনী প্রচার পত্র। কাগজের কাটাকুটি। অন্ধ সবই অন্ধ সবাই। কক্ষের মতো স্থাপত্য। অদ্ভুত তাঁতশিল্পী ছেড়েছে টিস্যু পেপার ও অতৃপ্ত ফুল। কোথায় রক্ত রাখি? প্রবাহ ঠোঁটের নিচে। চুপচাপ সঙ্গম চলছে অথচ ধর্ষণ নয়। সব সাজানো ঘটনা। একটি খেলা স্তব্ধ। বিস্ফোরণ। নিকটাত্মীয় জীবী ও বুদ্ধ। অট্টহাসি আসছে...মহাকাশ চুপ হাইড্রোফোনিক মাউথ অর্গান দোকানে লাস্ট নাইট আনফ্রেন্ড মিউট বাজছে। মৃতদের কান্না ও প্যাকেটজাত বিক্রি হয়
কলমের ধ্বজভঙ্গ ও শ্মশানের বীভৎস নর মাংসের আর্তনাদ
থিয়েটারের নিচে সাদা সাদা কঙ্কালদের রেওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মাথাটা উলঙ্গ মস্তিষ্কের মতো। একাকী রাতের তানপুরা বাজানোর বৈসাদৃশ্য দৃশ্য। হাঁ করতে ঢুকিয়ে দেই কিছু স্নায়ুতন্ত্রহীন ঘোড়াদের চুপিচুপি। অর্ধ নগ্ন করে শ্রী-(লতাহানি)। পুকুরের পাড় রক্তচোষন। লেহন। ফ্যাকাল্টি বারকোড। পাসওয়ার্ড নরমাল ভিসা। সমুদ্র পলাতক মদ ভাটি। কিছু নেই কিছু নেই কৃষকের মৃত্যু। হিমঘর। কঠিন হাড়ের খনি। সার কারখানা। রক্ত চোষা নল। বাদামি রক্তের প্যাকেটের দাম শেয়ারের উঁচু তরঙ্গের মাথা। হু হু অস্ত্রাগার। ছিন্নমস্তা। ধর্মতলার ক্রন্দন। রক্ত কম দামী হাইড্রেনের অসুস্থ গলা। নবান্ন পায়েসে কালো বিষ পিঁপড়ে।
বেলজিয়াম কাঁচের থেকেও আরো অস্বচ্ছ বাদলপুরের অগ্রবিভূত নারী। দিক শূন্য পাড়ের একটা কঠিন অন্দর মহল। অপ্সরা নর্তকিদের ঈশ্বর স্পর্শ পাওয়া।অহেতুক গর্ভবতী। কলস টিউব। দুটো আঙ্গুল ফাঁকা করে পরজন্মের ইতর প্রাণীর যৌনবীজ খেয়ে নেব। নীল আলো ছুটে আসছে আমার দিকে। কুয়াশার অদ্ভুত পরাগ যোগ
অক্ষরে অক্ষরে নীল কাঠের অনুপ্রেরণা। লোলুপ গ্রানাইট। জীবন দায়ী ওষুধের শ্বাসকষ্ট। চুপ কণ্ঠ রোধ। পেয়ালা পালন। মৃদু আকন্দ দোলে মোমবাতি জ্বলে নির্বাক ঈশ্বরেরা মৃতদেহের মতো পোড়ে, ছাই নিয়ে একা, শ্মশানে বীভৎস মহাকাল নাচে। অস্থির স্ট্যাচু ও দক্ষের মুচকি হাসি।
মৃতদেহের কারখানা। একটি মাংসপিণ্ডকে ছেড়ে উন্মত্ত লেলিহান। শ্মশান যাত্রীদের স্থাবর অস্থাবর এ জাহান্নাম ক্ষুধার্ত পেট বসে থাকা ৪০০ দিনের শ্লীলতাহানি। হায়! হায়! আকণ্ঠ থুতুর দরদাম অথচ কেমন নির্বাক কোপারনিকাস। সূর্যের কোনো সরল দোলগতি নেই।
অসুস্থ ভূমিকম্পের প্রদাহ লগ্নে বীভৎস বিস্ফোরণ হোক। কলমের আগায় ধ্বজভঙ্গ! নীল চোখ খুলে ফেলি, মরে যাক স্বৈরাচারী ব্যাধ
নিঝুম স্নানাগারে দীর্ঘ চৈতন্যের তিলকে সৃষ্টি হোক অনাদি সুধীর চন্দ্র