খুব ভোরে
এখনো তোমার চোখে নেমে আছে বিশ্রাম।
এখনো আলোর মরশুম আসেনি আয়োজনে।
তুমি জানলেনা কোথায় মেলেছো সুখ প্রাণবন্ত।
কোথা থেকে ছড়িয়েছ বিনিদ্র রাতের মায়া।
পাখিদের কাকলিতে ভোর নেমেছে কখন।
তোমার কি প্রেম নেই মল্লিকা?
কোথাও এতটুকু আশ্রয়?
বিছানায়, বালিশে এখনো আঁধার ছড়িয়ে যাচ্ছে বুক থেকে কোমরে, নিতম্বে,
তুমি দেখতে পাচ্ছনা কতক্ষণ
শুরু হল আলোড়ন।
মুখ তোল, লক্ষ্মী মেয়ের মতো পূর্ণ করো ঘট, জলে, আম্রপল্লবে।
এই ভাল আছি
এই তো ভাল আছি বন্ধু শ্মশানেই শান্তি।
অথচ বেশ সয়ে নিচ্ছি বিদগ্ধ পৃথিবীকে উদারা মুদারায়, তার সপ্তকে।
বসন্ত যেন লেগে আছে নাছবাড়ির পলাশে শিমুলে।
এবার নিশ্চিৎ এক মেঘ ভেঙে আসুক।
এই তো নির্গমন। এই তো ফিরে এসেছি অনন্তের পথ ধরে।
এত পথ, এত রঙ বিভাজন।
অপেক্ষা শেষ হলে ভেসে যাই ভগীরথী স্রোতে।
গতিপথ হারিয়ে ফেললে
বুনট এবং বুননের ফারাকের যে খাঁজ টুকু রয়ে যায়
সেখান বুদ্ধিগুলো সাঁতার কাটে হাঁটুজলে।
নির্বোধ পলাতক কিশোরের গল্পের মাথায় কোনো
বড় সড় পরিকল্পনা আছে কিনা তা দেখার জন্য কোনো বিখ্যাত ফরেন্সিক কে তলব দিলাম
আবশ্যকতা নিয়ে কোনো সন্দেহ স্বীকার করার সঙ্গে বিখ্যাত কোনো বিচারকের কোনো যোগসূত্র নেই।
বানানবিধি ক্রম মেনে স্বরবর্ণ সিদ্ধি পাল্টায়,
কিছু কিছু গতিতত্বের কবিতা গতিপথ হারিয়ে ফেললে।