দোঁহা

অমর্ত্য দত্তের গুচ্ছ কবিতা

 


সৌভাগ‌্য
 
ফলত শর্বরী, কলাবৃত্ত ছন্দ ও তোমার উন্মোচনের ধীরে ধীরে সামরস‌্য ঘটলো।
প্রকৃ‌তার্থে একেই অননু‌মিত প্রা‌প্তি ব‌'লে
আর আ‌মি ‌সেই সুঘ্রাণে আশরীর মি‌শিয়ে দিচ্ছি।
অর্থাৎ সৌভাগ‌্য!
এই অপূর্ব ঘটনাটির একমাত্র কারণ- 
আমার জীবনের বাইরে এমন মুষলধারে বৃ‌ষ্টি হচ্ছে ক‌বিতা ‌কিছুতেই চলে যেতে পারছে না।

 
আরমান্

এই যে আমি ক‌বিতার ঘটাকাশে মে‌ঘ জ‌মিয়ে‌ছি।
এত মেঘ।
এতে আমার কর্তৃত্বাভিমান নেই।
প্রবল আরও প্রবল হচ্ছে শ্রাবণধারা...

এই যে তোমাকে লেখার উঠোনে আনলাম। 
তু‌মি ভিজছো...
সুতরাং আর কোনো আরমান্ নেই,
আস্নানের দিকে তা‌কিয়ে থাকা ছাড়া।

 
কাদা

এখন ক‌বিতার ভিতরে ও বাইরে, সদৃশ ও সম‌্যক্ বৃ‌ষ্টিপাত হচ্ছে
আর অ‌নির্বাচ‌্য ব‌'লে কোনো শব্দ হয় না।
ডো‌পামিন ক্ষরণ ও তোমাকে চুম্বনের মাঝখানে গূঢ়পথ বাঁধানো নয়, তাই-
পঞ্চম পঙ‌ক্তিতে আসতে আ‌সতে ভূমান কাদা কাদা হয়ে গেল।

 
ঘর

বৃ‌ষ্টি‌ কি প্রকৃতই সঙ্গীত?
এই কথা ভাবতে ভাবতে তু‌মি কলাপ প‌রিয়ে দিচ্ছো শহরকে
আর আ‌মি মেঘলা দিনের সুগন্ধে অসময় ঘু‌মিয়ে প‌ড়ছি।
সবুজমাঠের স্ব‌প্ন পে‌ড়িয়ে আশ্চর্য নদীর দিকে হাঁটছে বং‌শীবাদক।
শহরের সমস্ত রাস্তা তার পায়ে প‌ায়ে...
কৃ‌ষিগাঁয়ের কাদা এসে লা‌গছে তোমার গৌরীরঙ শা‌ড়িতে 
আর ষড়জে এসে কোমল নিষা‌দ।
অবরোহ... 
গূঢ় 
গূঢ় 
গূঢ়
খোলা জানলা।
ঘরের মেঝে ভিজে যাচ্ছে সঞ্চা‌রিতে।


ধারা নেমে যায়

শ্রাবণের মাস। অকালকুসুম।
বৃ‌ষ্টির জল। মাতালের কবর।
কবরের পাশে মহুয়ার গাছ।
মহুয়ার গ‌াছ ফুলে ফুলে ভরা।
আনন্দধারা আনন্দধার‌া...
অজস্র ফুল মা‌টির ওপ‌র। 
ফুল-মা‌টি-জল। জল-মা‌টি-ফুল।
অ‌ভিস্রবণ। মাতাল ব‌্যাকুল...
কবরে মাতাল। অ‌নন্যোপায়-
ধারা নেমে যায় সরাইখ‌ানায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন