মেঘস্পর্শে মনপ্রাণ
এই ফিরে পাওয়া বর্ষার তটরেখা,
ঝড় জলের নিরলস ছন্দজীবন
জানালায় সারাংশ জড়াচ্ছে
নদীর সীমা ছাড়পত্র পেয়েছে
লোকালয় ডুব দিয়েছে ইচ্ছেমতো
মেঘহিম অধ্যায় এখন,
সাঁকো বিভ্রম, স্রোত দখল করে সংবিৎ,
শিরীষগাছে অস্তি চিহ্ন কার,
কীসের ছাপ, কালধর্ম বলে ভুল হয়,
পার করে কত বিজড়িত পথ
নজির স্বরূপ এনেছি ছাই,
তাই রেখে গেলাম নতুন শোঁ শোঁ বাতাসের কাছে,
অজীর্ণ মশাল প্রান্ত থেকে উঠে আসে,
এখন তবে পশলায় পশলায় মেখে নিলাম
লীলাজল, সহোদরজল, জাতিস্মর জল
চিরজীবিত হৃৎ নদী
হৃৎ নদী চিরজীবিত থাকে
ভরা বৃষ্টিপাত আড়াল করে সে কথা,
গুপ্তঝাপটা ভ্রষ্ট করে পাতায় জমা জল,
ওখানেই ডানা ভাঙা প্রেম, ওখানেই সমুদ্র সংযম,
ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে ফোয়ারা-এলোচুল,
দেশগাঁয় আমন্ত্রণ তোমাদের
ঘুলঘুলি থেকে উড়ে এসো,
ডালায় ডালায় রাখা আছে শ্লোক
আর আত্মহারা অবৈধ কাজল,
চিরজ্বলন্ত শালপিয়াল আছে,
অলীক মাঠ, স্নিগ্ধ সন্তরণ,
একফোঁটা মেয়েটির কাছে শিখে নাও
কাগজের নৌকা বানানো,
হৃৎ নদীতে সে সাঁতার জেনেও ডুবে মরে
প্রতিবছর একইভাবে,
বারোমাস তার চিতার কাঠ ভেজা থাকে
আহা! রহিত, অসামান্য! "লীলাজল, সহোদর জল, জাতিস্মর জল" - ভুলতে পারছি না।
উত্তরমুছুনদুটি কবিতাই অপূর্ব। শব্দের ঝংকারে নিহিত মুহূর্ত থেকে যেভাবে চুঁইয়ে এসেছে মনন পীযূষ...সত্যিই বানভাসি করিয়ে নিলে...