না-চাওয়া
কেউ আঁকে শব্দ,
কেউবা আওড়ায় নীরব মন্তাজ,
আমি ভাসালাম কাগজের নৌকো।
সর্বান্তকরণ ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তোলে,
রোদও মরে আসে বিষণ্ণবেলার ঘাটে,
মায়া তাকে জড়াতে চায় অব্যক্ত বিভায়,
তবু নিখোঁজ আলোরা এখনও ঠাঁইহারা।
নিস্পৃহ চোখ আজ তাই ফিরতে চায়,
ধুলোর আঙনে, পিছু হটা পথে,
পুনর্বার মুখোমুখির লোভে,
এও যেন পদচিহ্নের দায়।
জানিনা কি চাইলে ভালো হতো,
না চাইলেও কি ফুরোয় বাসনা তলে তলে!
সোহাগী যন্ত্রণা শুধু পাকদণ্ডী কাটে বক্রতলে।
চাওয়ার গণ্ডি কাটতে কখনও শেখেনা এ জীবন,
অথচ মৃত্যুর দুয়ার এসে যায় শেষপর্যন্ত।
ভালো থাকা
ভালো থাকার ত্রিভুজে কি কোনো সমকোণ থাকতে নেই!
দেখি বাহু জুড়ে আঁকা আছে শুধু যেন সূক্ষ্ণ সম্পর্করেখা,
তার সামতলিক ক্ষেত্রে আমি একাই টালমাটাল,
ওখানে হু হু করে ছুটে আসা বাতাসে কাঁপন লাগে,
তাই গায়ে পড়া রোদটুকুর ছায়াকে যত্নে আগলাতে হয়,
ফুলের গহীনে যেমন পতঙ্গেরা ডানা দিয়ে জ্বাল দেয়,
তাতে যেন ভালোলাগাগুলো বুদবুদ হয়ে ওঠে।
ঐ স্ফটিকের সাতরঙে পা না ফেলে কি থামা যায়?
অথচ মাটির বুকেই শুয়ে আছে আসমানের রঙ,
তাতে বেহাগ শুধু হারানোর ধূন তুলে যায়,
আহা এই তবে ভালো থাকা!
বাঃ দারুন দারুন দারুন
উত্তরমুছুন