কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতি
আমিও সমস্ত প্রবঞ্চনা কাঁধে নিয়ে তোমার সামনে এসে দাঁড়ালাম
এখন আমার মনের সব খবর জানে তোমার রোমাঞ্চকর মৃগনাভি
চেয়ে দ্যাখো, আমার সামনে যেন আমিই দাঁড়িয়ে রয়েছি অপলক
গতজন্মের মত এই শরীর থেকে খুলে রেখেছি সমস্ত রঙিন পালক
আমাকে আরও একবার ভাসিয়ে নিয়ে যাও
তারপর অনন্ত-ঘুম পাড়িয়ে রাখো ঘুমন্ত বুদ্ধের পাশে…
ধ্যানস্থ শরীরের নীচ দিয়ে বয়ে যায়
অগভীর প্রেম, চূর্ণবিচূর্ণ অহংকার আর অলিখিত কবিতা
কত চুম্বন জমে মেঘ হয়ে ঘিরে আছে চারপাশ
অভিকর্ষকে তাচ্ছিল্য করে দাঁড়িয়ে প্রাচীন পর্বতসারি
ওদের বুকের মধ্যে ধারণ করা এই খরস্রোতা
যেন স্বর্গের অপ্সরা হয়ে সদা নৃত্যরতা
কিশোরীর ভ্রুপল্লবের মত ঘিরে থাকা-
বনানীর অস্থির আলোকবিন্দুরা জ্বলে আর নেভে
তারা নিঃশব্দে মিশে যায় জীবনধারার সাথে
তোমায় স্পর্শের স্পর্ধা হয়নি
তাই চোখে চোখ রেখে নিজেকে বুঝিয়ে বলেছি-
বুকের মধ্যে বয়ে নিয়ে আসা
সমস্ত গোপন কবিতাকে এবার ভাসিয়ে দাও