ত্রিতত্ত্ব
দৃশ্য ১
একটা জাতিস্বরের উঠোন। সবুজ ঘাসের মখমল পাতা। আমার মৃত মা, দাদু, কর্তা মা, ঠাকুরদা, বট্দাদা, মাসি, মামা, আরো অনেকে বিস্মৃতির প্রান্ত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে অপলকে আমার দিকে তাকিয়ে। আমি জন্মের প্রথম প্রহরে খালি পায়ে কার্তিকের হিম মেখে নিচ্ছি। হিমালয় ছুঁয়ে আসা হিমে আমার হৃদপদ্মে লেখা হচ্ছে একটাই নাম। সে নাম আমার পিতৃপুরুষের দেওয়া নয়। এ নাম কারোর দেওয়া হতে পারে না। যার নাম স্বয়ং সে নিজনাম জপে, ধ্যানে বসে; আমি ভুলে গেলে যমুনায় যেতে যেতে সে অকারণ নুপুর বাজায়।
দৃশ্য ২
আমস্টারডামের ঝাঁ চকচকে বার, আমার এক হাত উদ্ভিন্ন যৌবনার উরুতে অন্য হাত ক্যাসিনোতে ব্যস্ত। দূরে এক নারীর কন্ঠস্বর; তার বান্ধবীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছে কারণ পরেরদিন সে দ্বীপান্তর যাচ্ছে। বার ছাড়ার আগে আমার দিকে এক কটাক্ষ হেনে গটগট করে চলে গেল। হঠাৎ মনে পড়ল ঠিক কোন স্ট্রিট পেরোলে সেই পুরোনো গাছ যার ছালে একদিন কারা যেন লিখেছিলো S+R আর বলেছিল কামহীন অবৈধ প্রেমের কথা। হায় অগ্নিকন্যা! কটাক্ষে বুক জ্বলে পুড়ে শেষ।
দৃশ্য ৩
নদীতে ধুয়ে ফেলছি গা থেকে শত্রুর রক্ত। শিরস্ত্রাণে দ্বিগ্বিজয়ের চিহ্ন, জলে দেখছি মুগ্ধ, দীপ্ত, সাহসী নিজের মুখ। তূণীর পাশে রাখতে গিয়ে ঝড় উঠলো তুমুল। অচেতন হতে হতে চেতনে পেলাম শূন্যস্হানের অভিজ্ঞানটুকু: নদীর ঘাটে সদ্য আলতার ছাপ। আমার শেষ প্রশ্ন 'এ নদীর ডাকনাম কি যমুনা?'
সব কবিতা গুলো অসাধারন
উত্তরমুছুন