শূন্য
খোঁপায় রজনীগন্ধা৷ তুমি বুঝি ধারা, মন্দাকিনী!
বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি— যেন এক উজ্জীবিত শিখা...
ত্রিবিন্দু দিব্যেন্দু হলে, কৌতূহলে হব চিরঋণী৷
স্বপ্নাদেশ পেয়েছি তো৷ রজনী মানে তো নীহারিকা৷
খোঁপার সৌন্দর্যে সূর্য, ঝিকিমিকি তারা, মহাকাশ৷
আশ্বাসে মিলায় বস্তু৷ শুভমস্তু৷ নিরক্ষীয় টান...
পরীক্ষা নিবিড়৷ নীড়ে, পক্ষিনীর মুগ্ধ অবকাশ
ডানায় ছুঁয়েছে— দ্রাক্ষা, খোঁপার ভিতরে মহীয়ান৷
ওখানে নজর, ব্রজ— রজকিনী, কী হবে উপায়!
অজপাড়া-গাঁয়ে কেউ ভাববে না— ঢেউ ছুঁয়ে মরি৷
বাঁশরি হাতেই থাকে— আমাকে যে নিশিতেই পায়৷
শিখার আগুনে এত গুণ আছে— সেগুন মঞ্জরী
না-আমি খোঁপাতে পুনঃ, সুনিপুণ, শূন্য হতে চাই৷
এত যে আঁধার, তারা, শিবমতি, অঙ্গ-ভরা ছাই...