দোঁহা

ভারতীয় দর্শনে প্রেম ও সৌন্দর্যের ধারণা

স্নেহা নন্দী

প্রেম ও সৌন্দর্যের প্রতর্ক সমাজ সৃষ্টির সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, সমগ্র পৃথিবী জুড়েই। সুদূর গ্রিস থেকে ভারতবর্ষ পর্যন্ত দর্শনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে থেকে গেছে প্রেম ও সৌন্দর্যের বিষয়। মানুষ ও তার মন ও তার পাশাপাশি অস্তিত্বের অন্বেষণের সঙ্গেই এই প্রেম ও সৌন্দর্য জড়িয়ে থেকেছে বহুকাল ধরেই। আজও তার রূপ–রস–বর্ণ নিয়ে আমরা সন্ধিৎসু।
সৌন্দর্যের বিষয়ে কেউ বললেন নন্দনতত্ব বেকার জিনিস, তা মানুষের Rationality’কে দুর্বল করে স্রেফ। এ কেবল রাষ্ট্র চালনার জন্য অপ্রয়োজনীয় এক উপাদান। তাই কাব্যের কোনো প্রয়োজন নেই, কবিরা কেবল নকল করে প্রকৃতি থেকে। তাই এই নকলনবিশ নান্দনিক, দুর্বলচিত্ত কবিদের পাশের রাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হোক, তাতে করে পাশের রাষ্ট্রের দুর্বলতাই বাড়বে। গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর ছিল এই ধারণা। প্লেটোর এই মতামতে বাদ সাধলেন তাঁরই শিষ্য তিনি। এরিস্টটল লিখে ফেললেন একটি খসড়া। এরিস্টটলের সেই খেরোর খাতাটিই হল ‘পোয়েটিক্স’, তাঁর কাব্যতত্ত্ব। কাব্যতত্ত্ব ব্যাখ্যা দিল কাব্যের প্রয়োজনীয়তার। কাব্যের গুণ বিচার করলেন এরিস্টটল তাঁর ‘পোয়েটিক্স’-এ। তিনি লিখে ফেললেন মনুষ্য জীবনের ট্র্যাজেডির সৌন্দর্য নিয়ে। শোক ও সন্তাপের সৌন্দর্য মানুষের হ্রদয়কে উদ্ভাসিত করে। কেন করে, কীভাবেই বা করে? কবিতার নির্যাস নিয়ে আলোচনা করলেন বৃদ্ধ এরিস্টটল, প্রায় খাপছাড়াভাবেই। মাইমেসিস নিয়ে বলতে গিয়ে হালকা বিরোধিতা করলেন প্লেটোর। সেই সূত্রে যে আলোচনা চলল শিল্পকলা ও নন্দনতত্ত্ব নিয়ে, সে গাড়ি এখনো থামেনি। এরিস্টটল গ্রিক কবিদের কবিতা থেকে ট্র্যাজেডির সৌন্দর্যের দিকটি দেখিয়ে শিল্পী কবিদের দেশ ছাড়া হওয়া থেকে আটকালেন ঠিকই, তবে প্লেটো যে একেবারেই বেরসিক ছিল তা-ও তো বলা যায় না। প্রেমের রস থেকে তিনি বিতৃষ্ণ হতে পারেননি। তিনি লিখে ফেললেন ‘Symposium’। প্লেটো, যদি একটু কাব্যরস বুঝতেন, তাহলে Eros আর Ethos নিয়ে এমন হিমশিম খেতে হত না। প্লেটো এই ‘Symposium’-এ বুঝতে চাইলেন কামপ্রধান প্রেম বড় না মানসিক প্রেম বা সূক্ষ্ম প্রেম (যাকে বলে প্লেটোনিক প্রেম) বড়। এই বিশ্লেষণের জের প্লেটো থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত চলমান।
এদিকে বেদের রক্ষণশীল সংস্কৃতিকে ভাঙার জন্য ভারতবর্ষের বুকে ভরতমুণি লিখে ফেললেন পঞ্চম বেদ, ‘নাট্যশাস্ত্র’। তাতে তিনি আলোচনা করলেন কাব্যের শরীর নিয়ে। ভাব, বিভাব এসব হল কাব্যের বহিরঙ্গ, কাব্যের অন্তরঙ্গ উপাদান হল রস। তিনি লিখলেন রস কাব্যের উৎসরূপ—
“ন হি রসাদৃতে
কশ্চিদথঃ প্রবর্ততে।” (১,২৭৩)
রস ছাড়া কোনো অর্থেরই প্রবৃত্তি সম্ভব নয়। ভরত আটটি রস ও ভাবের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিলেন,
 “শৃঙ্গার – হাস্য – করুন – রৌদ্র – বীর – ভয়ানকাঃ
বীভৎসাদ্ভুতসংজ্ঞৌ চেত্যষ্টা নাট্যো রসাঃস্মৃতার।।
রতি – র্হাসশ্চ শোকশ্চ ক্রোধোৎসাহৌ ভয়ংতথা।
জুগুপ্সা বিস্ময়শ্চেতি স্থায়ীভাবাঃ প্রকীর্ত্তিতাঃ।।” [৬.১৭-১৮]  
এখানেও সেই শৃঙ্গারের স্থান হল অন্যতম রসপ্রধানের আসনে। এই শৃঙ্গার রসকে ভরত বললেন কাম প্রধান।
“তত্র কামস্য সকলজাতিসুলভতয়াহত্যস্তপরিচিতত্বে
সর্বান প্রতি হৃদ্যতা ইতি পূর্বং শৃঙ্গারঃ।” অভিনবগুপ্ত [১.২৯৯(১)]  
শৃঙ্গার রসের বাহুল্য এদেশে প্রাচীনকাল থেকেই। পশ্চিমের তুলনায় ভারতে নান্দনিকতার সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে মানুষের জীবন। সিগমন্ড ফ্রয়েড তাঁর ‘Civilization and Its Discontents’-এ (১৯৩০) বললেন বাস্তবের বীভৎসতা থেকে মানুষকে রক্ষা করে নান্দনিকতা; সে কথা যে একেবারেই অগ্রাহ্য করা যায় না, তা ভারতীয় সংস্কৃতি প্রমাণ করেছে। বাৎসায়ন কামনা-বাসনার চর্চাকে নান্দনিকতার সর্বোচ্চ স্থানে তুলে দেন। দেখা যায় ‘pleasure’ বা আনন্দ বিষয় হিসেবে আলোচিত হয়েছে বহু সময় ধরেই। এ প্রসঙ্গে বাৎসায়নকেই বা বাদ রাখি কী করে? ফ্রয়েড উনিশ শতকের আধুনিক চিন্তায় দেখালেন, যৌনতা আমাদের মন ও অবচেতনের অন্যতম ভিত। তিনি এ-ও লিখলেন যে এই কামনাই বা রমণ ইচ্ছাই মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে। মানুষের অহং বা আমি হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে যৌনতা। মানুষের মনের নানান বিকৃতি ও অসামঞ্জস্যের মূলে যৌন অবদমন অন্যতম কারণ। বাৎসায়নও তো তাই করলেন, রমণ ইচ্ছা ও যৌনতাকে বিষয় হিসেবে বেছে নিলেন। ‘pleasure principle’-এর এক চূড়ান্ত নান্দনিক দিক তুলে ধরলেন তিনি ‘কামসূত্র’-এর মধ্যে। নারী ও পুরুষের শৃঙ্গার থেকে শুরু করে প্রেম নিবেদনের বিবিধ উপায় পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি। আসলে আমাদের ভারতবর্ষে দর্শনচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকেছে ভারতীয় Mysticism। তন্ত্রের দর্শনের আড়ালে তাই আত্ম-অনুসন্ধানের আলোচনা চলতে থাকে, আর এই অন্বেষণেরই পাথেয় হয়ে দাঁড়ায় মনকে বিশ্লেষণ করা। এই মনোবিশ্লেষণের চর্চা আমাদের দেশে অন্তত বেশ প্রাচীন। তাই ফ্রয়েডের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সাথে বেশ মিলে যায় আমাদের দেশের তান্ত্রিক দর্শনের বেশ কিছু দিক। আর এই দুই ধারার সময়ের মাঝে ফারাক বিশাল। দেহ সাধনার এক অনন্য অংশ হল ভরতের ‘প্রধান রস’ শৃঙ্গার। সত্যকে জানতে গেলে বা পরমের সঙ্গে মিলিত হতে গেলে প্রকৃতি বর্জিত পথে চলে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। যা কিছু প্রাকৃতিক, প্রবৃত্তিগত, তাকে অবলম্বন করেই মুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া— এই ছিল তন্ত্রের মূল ধারণা। আবার ফ্রয়েড তাঁর ‘Civilization and Its Discontents’-এও দেখিয়েছেন কীভাবে সভ্যতা মানুষের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাকে প্রাকৃতিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন করছে।
এদিকে এ দেশের দর্শনে, অর্থাৎ বেদান্তে সুন্দর ও আনন্দের ধারণা আবার পাল্টে যাচ্ছে। তা অনন্ত ও সত্যের সাথে জুড়ে যাচ্ছে। মঙ্গলময়তা ও সত্যের সাথেই জড়িত সুন্দরের ভাবনা। যা কিছু বিশ্বে চিরন্তন, তা-ই সত্য ও সুন্দর। আবার সেই সঙ্গে আনন্দ আর কেবল ‘pleasure’ থাকছে না, আনন্দের সংজ্ঞা পালটে যাচ্ছে উপনিষদে। আনন্দের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে অনন্তের ভাবনা। ইংরেজিতে যাকে happiness বলা যায় না, বরং বলা চলে bliss। উপনিষদে ‘মনসা’ ও আনন্দের সংযোগ ঘটছে। চৈতন্য বা consciousness-এর সাথে আনন্দের সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছে। ‘তৈত্তিরীয় উপনিষদ’-এ মনসা বা মনের যে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তা এরকম: মনসা হল বৌদ্ধিক মন, যে মন চেতনা লাভ করেছে শাস্ত্রপাঠ ও সেই অনুযায়ী জীবনের অভিজ্ঞতাকে বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে। সহজ ভাষায় বলা চলে, বিশ্লেষক মন হল মনসা। যে মন ব্রাহ্মণকে জেনেছে, অর্থাৎ যে মন সন্ধানকারী, সেই সত্যকে জেনেছে আর সেই জেনেছে আনন্দকে।—
ब्रह्मविदाप्नोति परम् । तदेषाऽभ्युक्ता । सत्यं ज्ञानमनन्तं ब्रह्म ।
‘তৈত্তিরীয় উপনিষদ’ [২.১.১]  
উপনিষদে আনন্দের ব্যাখ্যা আট রকম। প্রাথমিক অবস্থায় এই বিশ্লেষক মনের সাথেই জুড়ে যাচ্ছে আনন্দ উপভোগ করার অবস্থা। এবং অন্তিম অবস্থায় তা জুড়ে যাচ্ছে ব্রহ্মের সঙ্গে। ‘সৎচিদানন্দ’-এর ধারণা, অর্থাৎ পরম ও ব্যক্তির মধ্যে আর কোনো ব্যবধান থাকছে না। আমিই সে বা আমিই ব্রহ্ম ধ্বনিত হচ্ছে উপনিষদে। আনন্দ আর বাইরের জগতের বস্তু নয়, তা এসে সমাহিত হচ্ছে নিজের মধ্যেই। তেমনই সমস্ত রস, অনুভব এসে সমাহিত হচ্ছে আনন্দের এই চূড়ান্ত অবস্থায়।
বেদান্তের পাশাপাশি সাংখ্য ও বৌদ্ধ দর্শনকে আশ্রয় করে তান্ত্রিক দর্শনের উৎপত্তি। আর এখানে সৌন্দর্যের ভাবনা আর নিছক বিমূর্ত থাকছে না, তার একটি বস্তুবাদী দিক গড়ে উঠছে। বেদান্তের সত্য ও সুন্দরের ধারণাই এখানে বিবর্তিত হয়ে দাঁড়াচ্ছে— যা কিছু প্রবৃত্তিগত, সহজ ও প্রাকৃতিক, তা-ই সত্য ও সুন্দর।
মধ্যযুগে রচিত ‘চর্যাপদ’ বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধনারই নিদর্শন। সেখানে দেখা যায়, আত্মমুক্তির চূড়ান্ত পর্যায় হল সহজ বা ‘অবধূতিকা’-র সাথে মিলন। এখানে সহজ-এর বেশ কয়েকটা অর্থ আছে, তার মধ্যে অন্যতম অর্থ হল, যা কিছু জন্মগত বা প্রবৃত্তিগত। অথচ সহজ বা অবধুতিকার অন্তিম অবস্থায় পৌঁছতে গেলে সাধককে পর্যায়ক্রমে দু’টি ধাপ অবলম্বন করে এগোতে হবে। প্রথমটি হল পরমানন্দ অর্থাৎ জাগতিক সমস্ত ভোগ-বিলাসের নির্যাস উপভোগ করা যুগলে এবং তার পরের ধাপ হল বিরমানন্দ, এই অবস্থায় যুগলের মানসিক প্রেম বা সূক্ষ্ম প্রেমের রূপের অভিজ্ঞতা হবে। এরই পরে অরূপের সন্ধান, সহজ বা সমাধিস্থ স্তরে— যার অন্য নাম অবধূতিকা। ভারতীয় তান্ত্রিক দর্শনের এই এক তাৎপর্যপূর্ণ দিক, যেখানে মুক্তি কেবল একার নয়, মুক্তি প্রেমে ও যুগলে। তাই তো শিব ও শক্তির ধারণার দ্বারাই ঐক্য ও মিলনের দার্শনিক প্রতর্কের আগমন ঘটেছে তন্ত্রশাস্ত্রে। যেখানে প্রেম রূপ থেকে অরূপের দিকে যাত্রা করেছে। প্রেম ও রমণ হয়ে উঠেছে অস্তিত্বের প্রধান উপকরণ।
রূপের মধ্যেই যে অরূপের খোঁজ মেলে, একথা বারবার উঠে এসেছে ভারতীয় নন্দনতত্ত্বে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী’-তে পাই এমনই এক মিলনের কথা যা রূপ ও রূপদক্ষের মিলন। শিল্প ও শিল্পীর মিলন। সেখানেও অবনীন্দ্রনাথ বলেছেন, রূপের মাঝেই অরূপকে ধরা সম্ভব, তার বাইরে নয়। একই সুর সুফি রুবাই-তেও, যেখানে গুরুর সাথে মিলনের আকাঙ্ক্ষায় বিহ্বল শিষ্য নিজাম। অন্যদিকে আবার আওরঙ্গজেব কন্যা প্রেমে পড়ে মাখফি ছদ্মনামে লিখলেন সুফি রুবাই। ভারতীয় নন্দনতত্ত্ব ও দর্শনচিন্তা তাই মিলন, প্রেম, সুন্দর ও সত্যের মিশ্রণ। কোনোটাকে বাদ দিয়ে কোনোটাকে ভাবা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথের ভাবনাতেও এই ধারণাই প্রতিফলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তাই লিখছেন,
“এই লভিনু সঙ্গ তব সুন্দর হে সুন্দর।
পূর্ণ হল অঙ্গ তব, পূর্ণ হল অন্তর,
সুন্দর হে, সুন্দর।”
পরম পিতা, অনন্ত ব্রহ্মের সাথে মিলন সুন্দর, সে অনন্তও জল, স্থল চরাচর জুড়ে বিরাজমান, তাই সে সত্য, তাই সে সুন্দর। এই কথাই আবার ভক্তিবাদী কবিতায় প্রিয়তমের প্রতি ভক্তের চূড়ান্ত catharsis-এর মধ্যে দিয়ে উঠে আসছে, কখনো বৈষ্ণব পদাবলীতে তো কখনো ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এ। কালিদাসের সৃজনেও এই প্রেম ও মিলনের রসবোধ ধরা পড়েছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভারতবর্ষের দর্শনভাবনা আবর্তিত হয়েছে মিলন ও সত্যকে ঘিরে, আর এই দু’টি ধারণার নিরিখেই সৌন্দর্যকে দেখা হয়েছে। নান্দনিকতার ধারণা যে জ্ঞানচর্চায় অপরিহার্য, তা ভারতীয়রা বহুকাল আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে এতকাল প্রেম, সৌন্দর্য ও আনন্দের দার্শনিক চর্চা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেছে ব্যক্তির আত্ম-অনুসন্ধানের সাথেই। প্রেম বা শৃঙ্গারের ধারণা বা রসবোধ ও আনন্দের ধারণা মানুষের অস্তিত্বেরই আরেক দিক। তাই আজও আমরা অনন্তের সঙ্গে আনন্দের সম্পর্ককে বোঝার জন্য নিরন্তর সচেষ্ট। মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব এই অন্বেষণকে বলছে আকাঙ্ক্ষা বা ‘desire’-এর খোঁজ, আবার ভারতীয় দর্শন তাকে বলছে ব্রহ্মের খোঁজ। সে তার নাম যা-ই হয়ে থাক না কেন, এ কেবল নিজেকে খুঁজে চলা, নিজের বিবর্তনকে অভিজ্ঞতায় আনা, নিজেকে দেখার এক চিরন্তন যাত্রা। প্রেম ও সৌন্দর্যকে আমরা যত জানতে চাই, তার কাছে যাই, তত সে নিজেকে নতুনরূপে মেলে ধরে আমাদের কাছে। জানার এই অনন্ত খেলাই তাই প্রেম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন