দোঁহা

তৈমুর খানের কবিতা


মধ্যবিত্ত

নিজেকে বর্ণনা করার কোনো কৌশল জানা নেই আমার 
তবু রোজ ভাষা খুঁজি, ভাষার প্রতীক খুঁজি
অদ্ভুত একাকী হয়ে দেখি আয়নায়:

শুধু এক মেধাহীন মধ্যবিত্ত
সংসারের আলো-আঁধারে সরীসৃপের মতো চলাফেরা করে
আর ক্রমশ শিকার করার সামর্থ্য হারায়

এই অবেলার ছায়ায় যদি দেখা হয়
আমার ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়
তবে কোন্ মোক্ষ চাইব আমি?
সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে
সম্মুখে দৈত্যের দেশ নরকের দরজা খুলে ডাকে: আয় আয়...

আমরা কি সবাই তবে নরকগামী হতে চাই?



একখণ্ড সাদা কাগজ

বসুন্ধরা রাজি হচ্ছে না—
ভালোবাসা দিতে দিতে বিকেল হয়ে আসে
আমরা আগুন জ্বেলে পরস্পর হৃদয় সেঁকি তাপে
আরও কিছুদিন থাকতে চাই বসুন্ধরার কাছে

রাতের ডুবুরি নামছে হৃদয়ের জলে
অনেক মৃত্যুর সংবাদ রেখেছি গোপনে
কোন্ নৌকায় কারা চলে যায় আঁধারে আঁধারে
দেখা হয় না, কথা হয় না, শুধু ছলাৎ ছলাৎ শব্দ

স্মৃতির দুয়ারে দাঁড়ায় আমাদের আলো-ছায়া 
আমাদের অভিভব পাড়া দীর্ঘশ্বাসে কাঁপে 
যদিও বসন্ত যায়-আসে, যদিও ভ্রমর-ভ্রমরী ওড়ে 
বারবার হৃদয় কাঙাল হয় কার অনুরাগে? 

নিজস্ব বৃত্তের কাছে বসি
একখণ্ড সাদা কাগজ হয়ে নিজেকে দেখি 
কিছুই লেখা নেই, ফুঁ দিলেই উড়ি, উড়ে উড়ে যাই

আমাদের এত অসতর্কতা! কেমন করে বাঁচাব হৃদয়?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন