হৃদয়পুর
হাওয়া আঁচল,
অলক মেঘে
শ্রাবণ ফুল।
দিন দুপুরে
মন-উঠোন
হৃদয়পুর।
লালন ঝরে
ঝমঝমিয়ে
ঘরে-বাইরে।
সুর ছুঁয়েছে
একটি তার
ভাঙে মরচে।
সঙ্কেত
রেখেছ আগুন, পুড়ে-যাওয়া সঙ্কেত।
জাফরানি বিকেলের অশনি সঙ্কেত।
কত যে ছিল গলতি, বিশ্বাসহীনতা
যত খুঁড়ি খাক, বাড়ে শুধু ধূসরতা।
নিভেছে সাতটি তারা উঠোন-ফ়লকে
খুঁজি তবু আজও মৃত আলোর ফাঁকে।
এক কণা মাঘী আলো মেদুর সরোদ
ওঠে-নামে থরথর স্মৃতির পারদ।
মুছে ঘর ধুলোরঙে যারা অনিকেত
খুঁজে পেলে নির্বাণ রেখে যাবে সঙ্কেত।
ভাললাগল। আসলে কবিতার ফর্ম তো অফুরান, এই ন্যূনতম শব্দ ব্যবহারের ভেতরে যে প্রগাঢ় বোধের বারান্দা, সেখানে তেরছা রোদ্দুর এসে পড়ায় যে আলোর সামান্তরিক, তার কিনারা ছুঁয়ে থেকে গেছে জীবন নামক রহস্য। সে কারণেই এ প্রকাশভঙ্গী কবির নিজস্ব থাকেনা, পাঠককে স্পর্শ করে যায়, আর তারপর জারণ বিজারণের স্তর পেরোতে পেরোতে মূর্ত হয়ে ওঠে অনুভবের ভারসাম্য।
উত্তরমুছুন