ঝাপসা
ছন্দমিলের চাপান উতোরে দিশেহারা
দম আটকা বেপরোয়া বুকটা চিতিয়ে
বন্ধ্যা বাক্য হায় অন্ধগলি।
আমাকে ডুবিয়ে নিলো চাঁদ ভাঙ্গা ঘূর্ণি,
জন্ম নিখোঁজ আমি বেরিয়ে পড়েছি,
আমাকে মাতায় মাটিমাখা কথা
লতাগুল্মের ঝিম গন্ধ।
কোন চোরাপথ নেই, স্পষ্ট পায়ের ছাপ
ঝোড়োপাতা আমার গায়ে সমুদ্র তোলপাড়।
ওই হাতছানি দেয় উজানের রসদ
পাকা বাড়ির ইট খসছে হাজার,
স্বপ্নের সিঁড়িতে ঝাপসা দাগ।
অমীমাংসিত
উপেক্ষার জবাবে যখন ঘুমিয়ে পড়ি
জলের স্রোতে ভাসে সময়
চোখের সামনে দোদুল্যমান মানুষ বিহীন
রাত, দ্রাঘিমাংশে মিলিয়ে যেতে যেতে,
শব্দহীন ঝাউবন বালিয়াড়ি
জেগে ওঠে আয়ু রেখার আল বেয়ে।
সমস্ত যৌবন আমার শরীরে
ধর্ম হয়ে বাঁচে।
পিশাচ পোশাক খুলে নিয়ে
সন্ন্যাস সামঞ্জস্য অগাধ শরীরে,
শেষমেষ কোন কিছুরই মীমাংসা হলো না
উচ্চাশার ঝুল লেগে আছে চোয়ালে।