রিস্কফ্যাক্টর ১
সযত্নে সংঘাত এড়িয়ে যাওয়াই নীরবতা শ্রেয়;
উপরন্তু, লোকে ভাববে না তুমি একান্তই কলহপ্রিয়!
শালিকের ঝগড়ুটে স্বভাব বাড়তে বাড়তে একসময়
দু'জোড়া পীতবর্ণ ঠোঁটের একখানা উড়ে যায়।
একের বিলীন্যে তোমার বিরহিত দিন খারাপ গেল;
তারপরেও যা-কিছু স্থির কিংবা অলীক অগোছালো
সবকিছুকেই খড়কুটোর মতো বুকে বাঁধতে বাঁধতে
বিষ্ঠাবীজ ফেলে উড়ে যাওয়া বসন্তের ধানখেতে
গুরুত্বপূর্ণ কোনো অবান্ধবীয় গাছ জন্মালেও
আমাদের বেড়ে ওঠা ঘিরে থাকে আগাছা-সন্দেহ!
একসময় পরগাছা দূর্ভেদ্য অন্ধকারে ফল হয়,
অঙ্কুরোদগম নৈঃশব্দ্য, বৃক্ষভাঙনের শব্দ শোনা যায়!
রিস্কফ্যাক্টর ২
ভেবেছিলাম গমক্ষেত নিয়ে লিখবো শ্বেতাঙ্গী পাতাতে;
ভেবেছিলাম আমাদের সন্তাপ জন্মাবে ভুট্টাক্ষেতে...
আর তুমি, এক অখ্যাত সামাজিক মৃত্তিকামেয়ে
শরীর কিংবা শরীর সুদৃশ্য ফার্মহাউস বিনিময়ে
জলশরীরে হয়ে উঠবে মৃৎ-নির্মিত সন্তানসম্ভবা
জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসবে রাঙা আলুর মেধা,
সৌরমেধায় মেধাবিনী তুমি, ক্লোরোফিল একাকী।
দুটো সবুজ মনের মধ্যে যেটুকু ফাঁক, যেটুকু ফাঁকি
ভেবেছিলাম সেটুকু ঘিরে থাকবে চালতামত পাতা
গমবৃত্তের বাইরে কিছু লিখলে প্রকাশ পাবে যৌন-অক্ষমতা।
ভেবেছিলাম তুমি হবে আমার শ্রীমতী কবিতাসৃষ্টিকারি
তিলখেতে মেলে দেখি নিতান্ত সাদা পাতা, একান্ত আনাড়ি।