দোঁহা

কুহেলি করের কবিতা


বন্দীদশা ও ইত্যাদি 

১.

এই তো আমাদের ঘুর ঘুরে বাতিক-
ছবি দেখে দেখে পৌঁছে যাওয়া;
বসন্ত ও শীত ছুঁয়ে না দেখা-
ছন্দপতন,
শ্বাসরুদ্ধ;
ঊর্ধ্বগামী একটি দীর্ঘস্বাস।

২.

প্রতিটি বসন্তেই একটি হেমন্ত লুকিয়ে থাকে-
ঘাপটি মেরে,
পরীক্ষা থেকে পরীক্ষিত;
সমীক্ষা-
ক্রমশ অবসাদগ্রস্থ এই মানবদেহ।
মৃত্যু, সার্কাস, সেমেস্টার;
বছর পাঁচেক হলো।

৩.

অথচ তারই মাঝে কতজন হেঁটে গ্যালো, 
হাত ছেড়ে শহর শিখে,
বন্দর পেরিয়ে-
ভীষণ ভিড়ে রেলগাড়ি তে দলছুট হয়ে;
নদী উপত্যকা ছুঁয়ে ফেলে-
সকল নিয়ম ভেঙে ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে;
রাত, দিন,
রোদ্দুর, অহর্নিশ।


বালিকা-মঙ্গল 

১.

অনাদরে, অবহেলায় নারীদের সৌজন্যতা বাড়ে-
প্রতিটা মদের গন্ধে;
প্রতিটি পেগে-গেলাসে মদ 
রাখলে,
তার নিচে দেখা যায় খামখেয়ালী কালো টিপ সাঁটানো;
সেই বহু পুরুষের কালো রং হয়ে ওঠে অদ্ভুত থেকে অদ্ভুততম;
যা কিনা কোনো এক নোটবুকের কভারে সাঁটানো-
যার পূর্ববর্তী অবস্থান ছিলো;
কোনো এক প্রেমিকের বুকপকেট বা দোসরের আয়না।

২.

সে এক কাল ছিল যখন আনমনে ঐ টিপ এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল;
প্রেমিকের ওষ্ঠাগত-
যা এখন হুয়িস্কির তলানিরও তলায়।

৩.

বালিকা কালো টিপের স্মরণাপন্ন, স্মরণাপন্ন ললাটে চুম্বনের;
যেখানে আনমনে বেজে ওঠে-
"কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ..."

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন