নটরাজ ও উর্ধ্বক্রমের ঈশ্বর
জতুগৃহের মত অনন্ত লাক্ষা পুড়িয়ে নেবো আমার পেটের ধাতব মুদ্রা বিবর্জিত নগ্ন নটরাজের দেহকে,
কম্পাঙ্ক হীন ফিরে যাওয়া একটি সামুদ্রিক অক্ষয় পুরুষ নৌকার তলপেট বাজিয়ে যাবে নাভি ছেদনের রক্ত দিয়ে
ঈশ্বর কতবার ভুলক্রমে উর্ধ্বক্রমের স্থানাঙ্ক নির্ণয় করছেন পাশ বালিশের উপর মাথা রেখে, ভেসে আছেন অদ্ভুতসাগরের উপর তিন বৃহত্তম সংখ্যার নিয়ম মেনে
আমি নগ্ন হয়ে যাওয়ার পর শিমুল রঙের বাড়ীর ভেতর ছোট ছোট সন্তানেরা নিজেদের ভেতর কিলবিলিয়ে ওঠে প্রিজম পুরুষের মতো,
আমি কিছু বৈতরণী পাঠের মন্ত্র শিখে শিব নামক এক প্রাচীন দেবতার কাছে ছুঁয়ে দেবো কাপালিক কথা
কোনদিন স্তোত্র পাঠের কবিতা বলতে পারিনি বলেই আমার ডান হাতের সব পুংকেশরেরা জীবনচক্র ফেলে গেছে মৃত তন্ময় নামক পুরুষটির মাথার কাছে
থ্রম্বাল প্যারালাইসিসের পর আচার্য পাড়ার প্রতিটি দরজার কাছে একটি ভূগোল বিষয়ক মধ্যরেখা রাখা আছে
সাদা অপরাজিতার ভেতর একটি নীল ধ্বজভঙ্গ মানুষ বসে থাকে অনাদিকাল
যুধিষ্ঠির ও ইছামতি ঈশ্বরী
আমি ক্রমশ ল্যাটেরাইট খেয়ে কৌমার্য বিসর্জন দিয়ে আসি শ্বেত লজ্জাবতী গাছের গোড়ায়
ঈশ্বরী অনাগত অতিথিদের চন্দন কাঠের টুকরো ও শ্রীমৎ ভাগবত বিলিয়ে চলেন বৈষ্ণবীয় মন্ত্রে, আমি ক্ষতস্থান থেকে রসালো উদ্ভিদ বের করে মাধুকরী পথে চলি নৈঋত নোনা জলের উপর দিয়ে, পোশাকের কোন লিঙ্গ চিহ্ন নেই
বায়বীয় চোখে আমি ঈশ্বরের কাছে প্রতিদিন নতজানু ইছামতি বাঁশির জন্য
অসংখ্য মৃত ভ্রুণবীজ সাংখ্যমান হল ভূগোল, একটি কর্কটক্রান্তির শরীর জুড়ে আগ্নেয়শিলা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে যুধিষ্ঠির মহাপ্রস্থানের দিকে
সহবাসের পর আমি ক্রমশ ভরহীন পাস্ট পারফেক্ট টেন্স হয়ে যায় আমার জিভের অব্যয় পদেরা শি অর্থের সমাক্ষ পাহাড় নিয়ে আর্যাবর্তের মাঠে চলে যায়
বিপ্রতীপ মানুষদের আত্মা খোলস পড়ে থাকে বিছানার ভেতর সবাই সরীসৃপের সহবাসের শব্দ পায়না