দোঁহা

চন্দন রায়ের কবিতা

নিজের ছবির সঙ্গে

অনেকভাবে আসে
দেরদুন এক্সপ্রেস থেকে কাদা মাটি
মমতাচ্ছন্ন কিংবা পাহাড়ের খিদে
অমরতা অথবা মৃত্যুর কলস ভেঙে
যেকোন ভাবেই সূর্য এবং সময় ছুঁয়ে সে আসে
সে নিজেকে তৈরি করে, বিলিয়ে দেয় -

মানুষের ভগ্ন দেহ, ঈশ্বরের বাচালতা
ভালবাসা আর আকাঙ্ক্ষা
ক্ষ্যাপা বাঘের মত তার জড়িয়ে ছুটে যায়
কেউ হাঁপায় কেউ সরে যায়
কেউ আলিঙ্গনে নিজের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নেয় -



পরস্পর বিরোধী
 

পরস্পর বিরোধী উদ্ভিদ দেয়াল দেখলেই
দাঁড়ায়, হালকা হয় -

মেঘকে এদের নিয়েই চলতে হয়
মাঝে মাঝে ডাকে, আবার রোদ্দুর চুমু খেলেই ঘুম
অতৃপ্তি আর অপূর্ণতা নিজের ভিতর নিজে
বসত তৈরি করে, গণনাহীন -

কোন এক সময়
বারান্দার ওপর ঝুঁকে শতপুষ্প দাঁতের নিচে রাখে
সংযত রূপ, একটা তুলির কাছে এসে
সংগ্রাম আর শত্রুপক্ষের রাতগুলি থমকে যায়
দৃপ্ত যাত্রাপথ, গাছের ছায়া, ছায়ার অজস্র প্রশ্নবীজ


পরস্পরবিরোধী উদ্ভিদ এসব সহ্য করতে পারে না
দেয়াল দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়ে -

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন