দোঁহা

পিয়াংকীর কবিতা

  

 

ক্যাফেটেরিয়ায় মৌমাছি   


এইসব অজগর-দিন শেষ হয়ে এলে তোমার মাথায় আটকে দিই মাতলা নদীর মধ্যপ্রবাহ, ডান গালের অধঃকোণ ঘেঁষে স্নান করতে যায় যেসব অপ্রকাশিত মেয়েমানুষ তাদের কোমরে ঝুলিয়ে দিই খুচরো পয়সার বোটুয়া, রোদের সাথে মিথ্যে  সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে অযথা টুপি ছাতা দড়ি নিয়ে পিঠের ওপর হাজির হয় যারা তাদের নামে ঊনআশিতম নালিশ ঠুকে আসি মধ্যজোনাক রাতে।
এতসবের পরও দেখি এতটুকু এগোয়নি চাঁদ, ঝুপ করে ডুব দিতে দিতে কঙ্কাল খুলে এসেছে হাতের চেটোয়। কলঙ্ক তখনও ঋজু, দৃঢ়। ভ্রম আর ভোমরা গোসা করে  কফিমগের উষ্ণ পানীয়তে যেভাবে ঢেলে দিয়েছে বরফকুচি তাতে আর যাই হোক ক্যাফেটেরিয়ায় বসে হট ক্যাপুচিনো অর্ডার করা যায় না।

অগত্যা মৌমাছিদের ওপর পরাগমিলনের দায়িত্ব তুলে দিয়ে তোমার কাঁধে মাথা রেখে কৃষ্ণনাম শুনি আর আমাদের শরীরে ময়াল সাপ সংসার সাজায়



টুকরো কাপড়

ওপারে নিভছে সূর্য,
এইপারে রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে গাছের গায়ে হেলান দিয়ে
'তুমি মধ্যবর্তী, চার নৌকোয় তোমার হাতপা'...মিহি সুরে খেপাচ্ছে মাঝিমাল্লারা।
আজকাল আমার গা ঝিমঝিম করে
 
ফুটিয়ে রাখা দুধের সরে যাবতীয় সংরক্ষণ নিরাপত্তা অথবা বাহান্ন ভোগ মিশিয়ে দিলেই গর্ভবতী হবে মানচিত্র...এসব ভেবে আমি ভোররাতে আধভাঙ্গা সেই চৌকিটা খুঁজি

 জানালা ধাক্কায় অচেনা গোধূলি। শিকল তুলে দিই বারবার। কয়েকটা শামুক শ্লথ গতিতে ঢুকে পড়ে মুখ দিয়ে কান দিয়ে নাক দিয়ে অপ্রকাশ্য গর্ত দিয়েও

আমি চেঁচিয়ে উঠি। গালিগালাজ করি।
অশ্লীল শব্দোচ্চারণ আর যৌনতা জট পাকিয়ে তখন  ব্রহ্মতালুতে
.
.
.
ঠং ঠং ঠং
.
.
.
ছেঁড়া কাপড় লাগবে, গুঁজে দেব রাষ্ট্রের হাঁ করা সব ফাঁকফোকড়ে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন