দোঁহা

তাপস গুপ্তের কবিতা

  

 

আমার শারদ প্রাতে
 

শ্রাবণ ঘন কেশের মাঝে সুক্ষ্ম সাদার রেশ
ঝলক রক্ত উঠেই বুঝি স্মৃতির রেখায় শেষ
প্রথম ছোঁয়া প্রথম শরীর গোলাপ ভাঙা রাতে
সুনামি ঢেউ শান্ত হল আমার শারদ প্রাতে
চিরুনি খুঁজে দেখবে কেন সাদা চুলের ভিড়
আকাশ ছুঁয়ে রোদ ঢুকেছে আয়না তবু স্থির
মিছেই ভয়ে মরছ তুমি অবাক করা ভুল
বলিরেখার অকাল ঋতু হাসছে টবে ফুল
কপাল স্পর্শে ওষ্ঠ ছুঁতেই মোহিনী ত্রিনয়ন
বিনুনি খোলে দামাল হাতে টিনেজ হরমোন
বুকের মধ্যে জাপটে ধরা শরীর কেন পর
বরফ ভাঙা ভয় কাটিয়ে শেষ না হতেই ভোর
শিউলি ভেজা দুর্গ জুড়ে দুর্গা আমার তুমি
আজ প্রভাতে আদ্যা হলে, হলে শক্তিময়ী
টিপের তলে লুকিয়ে তোমার নয়ন তারা চোখ
ত্রিশূল মুখে অসুর দলন তোমার জয় হোক
হলাম না হয় বিষাদ প্রেমিক মরণ সুখী অসুর
নায়ক হয়ে থাকুক ওরা দেবতা ছাপে সুর।

 

দুটি আকাশ আর ভিজে শর্ত

এ আকাশ এ শহরের নাম কারা,
এখানে আকাশের নিচে একটু ছড়িয়ে নিজেকে ভেবেছিলাম হয়তো বা এ আকাশ
নক্ষত্রের মুদ্রায় ঘুম টেনে শোনাবে সন্ত্রাসী রাক্ষসের কথা লোহিতাশ্ব মানুষের শুকনো মাটি মেঘ জলহীন বিদ্যুৎ গর্ভে চন চন করে ওঠে আফ্রিকায় মানুষের হাত দিয়ে মানুষ দেখা যাবে এখানকার শুকনো মাটি মাটির তলার গুম গুম শব্দ আমার অপেক্ষারত শব্দ ভেদী কর্ণ কূহরে বধিরতা ঢেলে দিয়েছিল রুক্ষ পাহাড়ের খাদান খুঁড়ে কিছু হাত আর কর্তিত হাতের গল্প উঠে এসেছিল, মৃত বৃক্ষ ডালে আগুন জ্বালিয়ে তারা সেঁকে নিয়েছিল ঝোলানো রাইফেল তাদের চোখের রক্ত হিরে আরো গাঢ় ঘন হয়ে উঠেছিল এই রক্ত মণি পাওয়াও কিছু নয় বলে শুধু চোখের বদলে চোখ নিতে চেয়েছিল এ আকাশ কঙ্গো বা কেপটাউন নয় প্রিটোরিয়া থেকে একটু দূরেএ শহরের নাম কারা এখানে বরফ নেই অথচ কাংড়ায় গেলেই বরফের সাথে পরিচিত অর্কিড উড়েছিল রাতের আকাশে ওরা জানে আমার পকেটে রুমাল নেই তাই শৌখিন নির্জনতার ক্যানভাসে রুপোলি বেড়াল এঁকে রেখেছে, ধরে রেখেছে তার শরীরে রুপোলি ঝালর আর চোখে বৈদুর্য মণি এসবও দেখা যাবে শুধু পোষাক ছেড়ে যেতে হবে অনুগত নগ্ন পায়ে শুকনো ভ্রমণ ছেড়ে রুক্ষ শব্দ চাইবে শ্যাওলা শরীর তখন আকাশ চাইবে

ভিজে ঠোঁটের শিরায় জ্যামিতিক শব্দ ত্রিকোণ



ত্রিকোণ ধরা দেয় রুমালের কুসুম কর্ম প্রবাহে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন