দোঁহা

সুদেষ্ণা ব্যানার্জীর কবিতা



ঢলদীঘির নৌকো

আকুতি...
আকুতি যেন ঢলদীঘির নৌকো!
খোয়াইস যেন ডানাকাটা খোয়াব
বিশমিল্লা শোনে জাতিস্মর
আগলায় ইহজন্মের প্রেমপ্রস্তাব।

নাদান দিল্ ফরিস্তা পোহায়
ইছামতী দিল আগুন
জিগরে বইছে তুফান
ফাগের মিছিলে
কানাঘুষো বুনে চলেছে ফাগুন।

শ্যামের বেহাগ চেনে বাঁশুরী
হায় ইশক্! এমন জ্যোতি অঙ্গে দিলে...
বসন্তচিত্র হালফিলে সংবেদী
রাধা উচ্চারণে বিহ্বল সংকেত।

কাঁটা ফুটে রক্তাক্ত আঙুল...নখের ভিতরে বাড়ছে বিচ্ছেদ...
বিচ্ছেদে দূরবীন আবিস্কার হয়।

 

 ক্রিশক্রশ

গাছেরা কৃতজ্ঞ নয় ছায়াদের কাছে
শাসকের ঋণ নেই শাসিতের জন্যে

বঞ্চিত রাজ্য।

বৃষ্টির ঋণ ঘন মেঘের শরীরে
তোমার দৃষ্টি নিহত আমার তসবিরে

পুরোটাই দাহ্য।

মন্ত্রবলে নাম হয়ে যায় জীবনসঙ্গী
জ্যান্ত নদীর থাকে না দাবী

সেই সংসারী।

শরীর মেশে, মনে মনে অজুহাত
ধুলোবালি তুলে ফেলি, চালাই করাত্

এটাই দরকারী।

কিছুটা দূরে বসে আগুন জ্বালাই, হাত সেঁকি আর ক্রিশক্রশ খেলি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন