দোঁহা

গৌড় : হিস্ট্রি ও হেরিটেজ

 



মমি জোয়ারদার

পশ্চিমবঙ্গ তথা দুই বঙ্গের প্রাচীন জনপদের মধ্যে গৌড়ের নাম উল্লেখযোগ্য। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান নিয়ে ছিলো প্রাচীন গৌড় রাজ্য। সপ্তম শতকে বাংলার প্রথম সার্বভৌম নৃপতি শশাঙ্কের আমলে গৌড় প্রভূত উন্নতিলাভ করে। তিনি বাংলা থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত গৌড় সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর ৭৫০ খ্রীষ্টাব্দে পাল বংশের প্রথম রাজা গোপাল গৌড়ের সিংঘাসনে বসেন। পালবংশের রাজারা প্রায় একাদশ শতকের মধ্যবর্তী পর্যন্ত গৌড় সাম্রাজ্য চালনা করেন। এরপর গৌড় সাম্রাজ্যের ক্ষমতা দখল ও বিস্তার করেন সেন রাজারা। সেন রাজা লক্ষণ সেন (১১৭৯-১২০৫ খ্রীষ্টাব্দ) গৌড় নগরীতে রাজধানী স্থাপন করেন। বর্তমান মালদহ শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে এই প্রাচীন শহরটি অবস্থিত। এখানে কানপাতলে ইতিহাসের ফিসফিসানি শোনা যায়। ধ্বংসস্তূপের মাঝে শোনা যায় বাংলার জয়ধ্বনি। সেন রাজাদের পরবর্তীকালে গৌড় সাম্রাজ্য তথা বাংলা মুসলমান শাসকদের অধীন চলে যায়। তবে সেই সময়ও গৌড়ের গুরুত্ব বজায় ছিলো। বহু প্রাচীন গ্রন্থে গৌড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। বহু রাজবংশের উত্থানপতনের সাক্ষী এই নগরী। মুঘল আমলে ১৫৯৪ খ্রীষ্টাব্দে বাংলার সুবেদার মানসিং এর সময় থেকেই গৌড়ের গুরুত্ব কমতে থাকে ও ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হয়। তবু ইতিহাসের সাক্ষী হতে বহু পর্যটক আজও আসেন গৌড় নগরীতে।

 

 দাখিল দরোয়াজা

 

গৌড়ের প্রবেশদ্বার, লুকোচুরি দরোয়াজা

 

 
 
বড় সোনা মসজিদের অলিন্দ
 
 
 
কদম রসুল মসজিদের অংশ
 
 
চিকা মসজিদ
 
 
 
 ফিরোজ মিনার

 
বল্লাল ঢিপি, সেন রাজাদের প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ
 
 
 
ড় সোনা মসজিদের ভগ্নাবশেষ


এভাবেই কি প্রাসাদের কোনো এক কোনে বাংলার রাজাদের মন বিনিময় হতো!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন