খবরটা প্রথম পেয়েছিলাম যখন, ভারতীয় সময় অনুযায়ী তখন সন্ধ্যে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের ব্রেকিং নিউজ ব্যুলেটিনে হঠাৎই জানানো হলো, "আক্রান্ত সলমন রুশদি। নিউইয়র্কেরই বাফেলো শহর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরত্বে একটি সাহিত্য অনুষ্ঠানে জনৈক অজ্ঞাতপরিচয় আক্রমণকারী রুশদির উপরে অতর্কিতে হামলা চালায়। রুশদির আঘাত সম্পর্কে এখনও অবধি নিশ্চিত করে কিছু জানা যাচ্ছে না..." ইত্যাদি। মনটা খারাপ হয়ে গেলেও খানিক নিশ্চিত ছিলাম যে তেমন কোনও বড় আঘাত নিশ্চয়ই তাঁর লাগেনি। তেমন কিছু ঘটলে পরে খবরটা ঠিকই সংবাদমাধ্যমের কাছে এসে পৌঁছত। এই ঘটনা শুক্রবারের। শনিবার সকালেই ব্যক্তিগত কাজে কলকাতা ছেড়ে একটু দূরে আসার কথা ছিল। সেই পরিকল্পনা মতোই সকালে উঠে বেরুবার তোড়জোড় করছি, তখনই বিস্তারিত খবরটা পেলাম। প্রথম খবর হিসেবে শুনলাম রুশদিকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে। কলকাতা ছেড়ে আসতে আসতেই আরও খবর পাওয়া যেতে লাগল। ভেবেছিলাম দিনকয়েকের জন্য লিখব না কিছুই। মন মানল না। কলকাতা থেকে অনেক দূরে থেকেও মোবাইলের ছোটস্য ছোট অক্ষরেই ভাবনা সাজাতে বসলাম। প্রয়োজন ছিল এটার। ৭৫বছর বয়সী একজন বৃদ্ধের প্রতি যে কোনও ধর্ম বা যে কোনও বিশ্বাসই যদি এমন পরিমাণে বিদ্বেষের জন্ম দিয়ে থাকে, হিংসার মনোবৃত্তিকে পুষে রেখে থাকে, তবে সর্বোতভাবে ভাবে তার প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। রুশদির পরিচয় তাঁর সাহিত্যে, তাঁর অসামান্য সৃষ্টিতে। তাঁর কোনও একটিমাত্র উপন্যাস, অথবা সেই উপন্যাসের কোনও একটিমাত্র অধ্যায়ও যদি বা সত্যিই কারোর বিশ্বাসে আঘাত দিয়েও থাকে - তাহলেও তাঁর প্রতি এই চরম আক্রমণের বিরুদ্ধে চরমতম নিন্দা ভিন্ন আর কোনও কিছুরই অবকাশ থাকে না। ধর্ম বিষয়টা অনেক মানুষেরই কাছে স্পর্শকাতর হতেই পারে-কিন্তু কোনও ধর্মের অজুহাতেই মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করা চলে না। চলতে পারে না, কোনওভাবেই।
ব্যক্তিগতভাবে মনে করি 'ধর্মের অনুশাসন' এই শব্দটিই আধুনিক পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে কেমন যেন আদিম, মধ্যযুগীয়, বর্বর এক শব্দবন্ধ বলে মনে হয়। কোন প্রাগৈতিহাসিক বিশ্বাসই বা আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে ২৪বছর বয়সী একজন মানুষকে, ৭৫বছর বয়সী একজন মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে অনুপ্রাণিত করে? সবচেয়ে দুঃখের বিষয়টি হলো আক্রমণকারী এই সমস্ত উগ্রপন্থীদের, যদি বা কখনও কোনও সুযোগে এও জিজ্ঞেস করা যায়-রুশদির কোনও একটিও বইয়ের কোনও দিন কোনও একটিও পাতা বা একটি অক্ষরকেও সে উলটিয়ে দেখেছে কিনা, উত্তরটা সবসময়ই না-বাচক বাক্যবন্ধে উচ্চারিত হবে। এরা কেবলই উপরের দিককার অন্ধ, লোভী, স্বেচ্ছাচারী কিছু ক্ষমতাসীন মৌলবাদী নেতার বিষাক্ত উসকানির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের পরিভাষায় 'radicalized' হয়ে পড়ে। তারপর মানুষ মারার অন্ধ উল্লাসে এরা নৃশংস থেকে নৃশংসতর হয়ে দাঁড়ায়। এদের কোনও ধর্ম হয় না। মৌলবাদী সেই সমস্ত নেতাদেরও কারোরই কোনও ধর্ম হয় না। নীতি হয় না। সলমন রুশদি থেকে আজকের গৌরী লঙ্কেশ, অথবা মকবুল ফিদা হুসেন থেকে শুরু করে কর্ণাটকের আরেক শহীদ বুদ্ধিজীবী এম এম কালবুর্গি, অথবা বাঙালি সাহিত্যিক - নারীবাদী সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন অবধি - এঁদের প্রত্যেকেরই উপর যে 'ধর্মীয় আক্রমণ' বিভিন্ন সময়ে নেমে এসেছে-তেমন প্রত্যেক ঘটনারই দ্বর্থহীন ভাষায় নিন্দা করা উচিত। সাহিত্যের বিচার হোক সাহিত্যেরই মাপকাঠিতে কেবল। পাশাপাশি এও বিশ্বাস করতে চাইব, ধর্ম অসহায় মানুষকে প্রতিকার যোগায়, সান্ত্বনার পরিসর বাড়িয়ে দেয়- প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ কোনও ধর্মেরই বক্তব্য হতে পারে না। এ হলে পরে, তা সামগ্রিক অর্থে যে কোনও ধর্মেরই স্বাভাবিক ও মানবিক সংজ্ঞার বিরুদ্ধাচরণ হয়ে দাঁড়ায় বলে মনে করি।
এই প্রসঙ্গে ছোট্ট একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। রুশদির প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ হিসেবেও তাকে দেখা চলে। ২০১৩ সাল, কলকাতা বইমেলায় প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতা সাহিত্য উৎসব। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক গুণীজনেরা এসেছেন। 'শিন্ডলার্স লিস্ট'এর লেখক থমাস কেনিয়লিও সেবারের বইমেলায় সস্ত্রীক এসেছিলেন কলকাতায়। সেই সাহিত্য উৎসবেরই অঙ্গ হিসেবে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সলমন রুশদির কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র 'মিডনাইটস চিলড্রেন'এর উপর একটি ছোট বক্তৃতা-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকতেন অভিনেতা রাহুল বোস ও ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা। তখন কলেজপড়ুয়া হিসেবে এই বিশেষ অনুষ্ঠানটির সময়ে কোনও কারণে গিয়ে পৌঁছতে পারিনি। পরদিন অন্য একটি অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি ঘোষণা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন কলকাতাবাসীকে দারুণ একটি চমক উপহার দিতে চেয়ে, আগের দিনের অনুষ্ঠানে তাঁরা স্বয়ং সলমন রুশদিকেই মঞ্চে হাজির করতে চেয়েছিলেন। জয়পুর সাহিত্য উৎসব থেকে সরাসরি রুশদিকে কলকাতায় উড়িয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাজ্য সরকারের তরফে ছাড়পত্র না মেলায় সলমন রুশদিকে সেবারে কলকাতা আনা যায়নি। তার কিছু বছর আগেই কলকাতায় তসলিমা-বিতাড়নের ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন শ্রোতা ও উদ্যোক্তাদের তরফে এক মিনিটের নীরবতা পালন করে রুশদিকে কলকাতা আসতে না দেওয়ার এই ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো হয়েছিল।
সলমন রুশদি চিরকাল মুক্ত চিন্তার কথা বলে এসেছেন। সমস্ত ধর্ম ও সাহিত্যকে উদার মানবিক ও বৌদ্ধিক আঙ্গিক থেকে বিচার ও বিশ্লেষণের কথা বলে এসেছেন। 'মিডনাইটস চিলড্রেন'এর জটিলতাকে অস্বীকার করুন, 'স্যাটানিক ভার্সেস'এর বিতর্ককে বিস্মৃত হন-সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনারা এরপরেও মনে করুন কেবল 'হারুণ এ্যাণ্ড দ্য সি অব স্টোরিস' অথবা 'লুকা এ্যাণ্ড দ্য ফায়ার অব লাইফ'এর উপাখ্যানকে। অমন সহজ ভাষায়, কিশোরপাঠ্য রূপকথার গল্পকেও যে আন্তর্জাতিক মানের সাহিত্য হিসেবে গড়ে তোলা চলে-রুশদি ছাড়া আর কেই বা তা প্রমাণ করতে পারতেন? ম্যাজিক রিয়ালিজম বা জাদুবাস্তবতার যে আশ্চর্য জগৎ, তাকে রুশদি ভিন্ন আর কেই বা অমন অনায়াসে সৃষ্টি করতে পারতেন? ৭৫বছর বয়সী একজন সাহিত্যিক, একজন কালজয়ী নির্মাতার উপর এই 'ধর্মীয়' আঘাতের বিরুদ্ধে চরমতম ভাষাতে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
১৯৮৮সালে প্রথমবারের জন্য রুশদির বিরুদ্ধে 'ফতোয়া' জারি হওয়ার পর থেকেই তাঁকে লুকিয়ে বেড়াতে হয়েছে। পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। নিজের সন্তানেদের সঙ্গে অবধি তিনি দেখা করতে পারেননি। ১৯৯১ সালে সলমন রুশদির বিতর্কিত উপন্যাস 'স্যাটানিক ভার্সেস'এর জাপানি অনুবাদক, এবং তারই সঙ্গে আরবিক ও পারসি সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা বিশেষজ্ঞ হিতোশি ইগারাশির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুরহস্যের আজ অবধি কিনারা হয়নি। ১১ই অক্টোবর, ১৯৯৩, এই তারিখে 'স্যাটানিক ভার্সেস'এর নরউজিয়ান সংস্করণের প্রকাশক উইলিয়াম নিগার্ডের উপর অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা গুলি চালায়। সৌভাগ্যবশত উইলিয়াম সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন। 'স্যাটানিক ভার্সেস'এর ইতালিয় সংস্করণের অনুবাদক এত্তোরে কার্পিওলো'র উপরেও ছুরি হামলা হয়। সবশেষে ১২ই আগস্ট ২০২২-২৪বছর বয়সী হাদি মাতারের ছুরিতে আক্রান্ত স্বয়ং সাহিত্যিক। একই সঙ্গে মঞ্চের উপরে থাকা আয়োজক তথা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ৭৩বছর বয়সী রালফ হেনরি রিস, তিনিও মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই রালফ হেনরি রিসের সংগঠন ধর্মীয় অথবা রাজনৈতিক ফতোয়ার মুখে পড়া নির্বাসিত শিল্পী ও সাহিত্যিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে থাকে। সলমন রুশদির আঘাত যথেষ্টই গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী তাঁরা প্রত্যেকেই আক্রমণকারী যুবকের নৃশংসতা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সকলে মিলে তাকে চেপে ধরার পরেও সে ক্রমাগত রুশদিকে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। রুশদির গলায় ও তলপেটে ছুরির গভীর আঘাত লেগেছে। হাতের স্নায়ু ছিঁড়ে গিয়েছে। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত। একটি চোখ খুব সম্ভবত নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। শেষ খবর পাওয়া অবধি তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন। কোন ধর্ম বা কোন বিশ্বাসেই এমনতরো হিংসার কথা বলা হয়েছে? প্রত্যেক 'বিশ্বাসী' মানুষকে আমরা আমাদের তরফে কেবল এইটুকুই জিজ্ঞেস করতে চাই। গৌরীকে যাঁরা হত্যা করে, ফিদা হুসেনকে যাঁরা নির্বাসিত করে, সলমন রুশদিকে যাঁরা ভেন্টিলেশনে পাঠায় - তাদের প্রত্যেকের প্রতি অবজ্ঞা ও করুণা ভিন্ন সাহিত্যের তরফে আর কিছুই দেওয়ার নেই।
রুশদি সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি মনে করেন ১৯৮৮ সালের সেই ফতোয়া'র আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তিনি মনে করতেন যে পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তাঁকে নিয়ে সমস্ত জায়গাতেই নিরাপত্তার যে কড়াকড়ি, তা তিনি পছন্দ করতেন না। তিনি মানুষের কাছে, পাঠকের কাছে যেতে চাইতেন।
আমরা বিশ্বাস করি রুশদি আবারও কলম ধরবেন। আরও তীক্ষ্ণতা এবং তারই সঙ্গে আরও সাবলীলতার অনায়াস ভঙ্গিতে তাঁর বক্তব্যকে আমরা আবারও শুনব। সত্যি বলতে কি, রুশদি 'বিতর্কিত' বলেই আমরা হয়তো 'তীক্ষ্ণতা' শব্দটিকে তাঁর সাহিত্যের সঙ্গে জুড়ে দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু রুশদির জগতকে যে দেখেছে, সে জানে সে এক জাদুকরির জগৎ। যাতে সারল্য আছে, সৌন্দর্য আছে, অবাক অবাক সমস্ত রঙের ব্যবহার আছে, অপূর্ব চিত্রকল্প আছে-রুশদিকে যারা কেবলই বিতর্কের মোড়কে পুরে রাখতে চায় তারা ভুল। আর অন্যদিকে এও বলতে চাইব, আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে প্রত্যেক গ্রন্থের, তা ধর্মগ্রন্থ হোক অথবা না হোক-সেগুলিকে সমালোচনার অধিকার, বিশ্লেষণের অধিকার প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার। রুচিশীল বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার-এবং এরও সঙ্গে বিরুদ্ধমতেরও সমালোচনার অধিকার প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার। কেবল হিংসার কোনও অধিকারকেই আধুনিক যুগের মানুষ স্বীকৃতি দেবে না। এই তার আধুনিকতার পরিচয়। আমরা ধর্মীয়, রাজনৈতিক অথবা সাংস্কৃতিক, যে কোনও ধরণের মৌলবাদীদের কাছেই মাথা নোয়াতে অস্বীকার করি।
কিছুকাল মাত্র আগেই, একটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস পড়তে গিয়ে সেখানে আদ্যন্ত মজার একটি সংলাপকে লক্ষ্য করেছিলাম। দুই ভিন্ন ধর্মের দুই কিশোর বন্ধু একে অপরকে রসিকতার ছলে বলেছিল,
-"তোদের ঈশ্বর নিশ্চয়ই কানে কম শোনেন, নয়তো অত চিৎকার করেই বা তোদের প্রার্থনা জানাতে হয় কেন?"
জবাবে অন্যজন বলেছিল,
-"আর তোদের ঈশ্বর নিশ্চয়ই চোখে কম দেখেন, নয়তো দিনের বেলাতেও তোদের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হয় কেন!"
দুই বন্ধুতেই এর পরবর্তীতে নির্দোষ হাসিতে ফেটে পড়েছিল। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এমন 'নির্দোষ' রসিকতাতেও আতঙ্কের অনুভূতি জাগে। মানুষ কেন ভুলে যায়, ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেননি। মানুষই নিজের প্রয়োজনে ঈশ্বরভাবনার জন্ম দিয়েছে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা উগ্রবাদী জঙ্গিদেরকে উসকানি দিয়ে অশান্তির অন্ধকারে নিজেদের আখের গোছান, যেমন ভাবে হেজবোল্লার প্রতিনিধিরা এখন রুশদি হামলার দায় থেকে সরাসরি নিজেদেরকে আড়াল করে রাখতে চাইছেন, অথচ ইরানের রক্ষণশীল সংবাদপত্রে আক্রমণকারীকে সমর্থন জানিয়ে রিপোর্টাজ প্রকাশিত হচ্ছে- আর ২৪বছরের একজন মানুষ ৭৫বছর বয়সের এক বৃদ্ধকে আক্রমণ করে মনে করতে চেষ্টা করছে-এতে তার স্বর্গলাভের পথ প্রশস্ত হলো!
আমরা মানুষ হিসেবে, সভ্য হিসেবে, বাক ও বাকস্বাধীনতার সমর্থক হিসেবে রুশদির পাশে দাঁড়াব। এরজন্য যত মূল্যই বা আমাদেরকে চোকাতে হোক!
আমরা চাইব আজ শীঘ্রই সেরে উঠুন সলমন-আরও অনেক উপন্যাসই যে আপনার প্রতীক্ষায় রয়েছে...