দোঁহা

দীপেন্দুর কবিতা

 



এটাই কি অহংকার?

তোমাকে ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার শান্ত দিনের

মুখগুলো,

এখন ক্ষুদে শরীর,

মহানগর দেখতে যাবে,

বাবার কাছে হাত পেতে একটা দুটো জুতোর বারি;

আরো বেশি মানুষ হতে শেখাবে।


দেয়ালের গর্ভ থেকে উঠে আসা অন্ধকার,

যে পাশায় জীবন বাজি গেলো,

আজ তাতে মাকে হারাবো।


কিছু সকাল শুরুর আগেই বিপুল বিপ্লব করবে,

কিছু অপান কুহক স্মৃতি, পান্তাভাতে নৈবেদ্য।

হ্যাঁ আর না এর মাঝে ঝুলতে থাকা চিতায়,

আমি কি আকারবিহীন সস্তা মাগী?


বাড়লো যন্ত্রণা এইবার,

এইবার খুনের আগেও নিজেকে আয়নায় ধরা দেওয়া হলোনা।

যে রেখা আয়ুষ্কাল ধ্বংস করছে,

তাকে চোখের মত উপরে ফেলার ইচ্ছা হবে।


সে বীর্য ছুটে যাবে তোমার দর্শনকে আরো বেশি বেশি

গর্ভবতী করে দিতে।

আমি সব কিছুই পারি, অহংকার করা ছাড়া।

এটাই কি অহংকার?


শরীর জেলখানা
 

যে জেলখানার পাষান হয়ে উঠছি তা নিজের শরীর।

আমি লিখছি নিজের ঘেন্না দিনের কবরের গল্পগুলো।

পাঠাও আমাকে আরো বিস্তারিত কিছু অব্যাহত

অভিশাপ।

মহাকাশে ছিটকে যাওয়া রোদ্র।

বাড়ছে জন্মক্ষণ।


দুটো শব্দের ব্যবধানে শরীর লুকিয়ে ফেলাই আজ ভালোবাসা।

সেই নিলয়হীন জীবন কত মাধুর্য করছে শরীর জেলখানা।

হাতের মুঠোয় যে সত্যিটাকে আমি চেপে ধরেছি

তা কি নিজের লিঙ্গ?


আমি কি পারি জানতে ইচ্ছা হয়

আর তালিকা শূণ্য হয়ে পড়ে।

তাতে বেশ্যা ঢুকে পড়ে কিছু অবাঞ্ছিত শব্দের।

দালাল দালাল অভ্যাস হেসে যায়।


মাছের মত নিজেকে আঁশ ছাড়িয়ে ছেড়ে দিই

খারাপ সম্পর্কের তেলে।

এখন রেফ্রিজারেটরে স্মৃতিরা জমছে।

আমি কি পারি না তার সংখ্যা বাড়ছে।

যতিচিহ্নের ভুল ব্যবহার হলেই

আমি বাল?

নাকি

আমি বাল!

সেটা বোঝার জন্য বুদ্ধিজীবীর কাছে যাবে

আমার অশ্লীল সাহিত্যের দেহগুলো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন