কবিতা লিখতে চেয়ে
কিছু কিছু মুহূর্ত ক্ষণিকের জন্য হলেও
আমাদের পাল্টে দেয়।
বিশ্বাস করতে শুরু করি, আহা! কী পবিত্র দিন!
শান্তিরূপেণঃ, স্বস্তিরূপেণঃ সংস্থিতাঃ...
অতিক্রম করতে চাই আমার শব্দগুলোকে,
অনেক উঁচুতে উঠি, আরও ভরাট শব্দের সন্ধানে,
অথবা, নেমে যাই একেবারে গভীরে, যেখানে
শুরু হয় আমাদের সাদামাটা যাপন, একটা
তুলতুলে নাজুক দুনিয়া!
কবিতা লিখতে চেয়ে একরাশ অভিমান
আছড়ে পড়ে বিব্রত জীবনের,
তবু, সাদা পাতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
সে জানে, পাতা বন্ধ হলেই,
শহরজুড়ে পাতি হৈহল্লা আর বুনো হাহাকার।
শিল্পী
যতবার তুমি বল বেঁচে থাকার কথা...
যতবার ভাব এইভাবে বেঁচে থাকাটা,
ঠিক বেঁচে থাকা নয়...
ততবার আমি এই ব্রহ্মাণ্ডে একা...
নিয়তির এই যুদ্ধের তাণ্ডবে
চুরমার সব সাক্ষী সাবুদ...
আগুনে সেঁকা সব শপথ গেল প্রলয়ে...
কি লাভ বল অঙ্গুরীয় অথবা চোখের জলে?
যখন, শরীরজুড়ে দহনের গন্ধ, আর
বুকের ভিতর স্বপ্নের হাঁকাহাঁকি...
প্রতিটা কবিতার মুহূর্তে
সব অভিমান রক্তে মাখামাখি...
আমি বিস্ময়াতীত একা, তুমিও একাকী।
