দোঁহা

নিমাই জানার কবিতা



 তিন পেগ এমোক্সিসিলিন ও গলনাঙ্কহীন সাপেরা গম চাষ করছে


নীল জবা ফুল নিয়ে আমাদের মত ১০০ জন নাবিক গভীর সমুদ্রের তলদেশ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক চোখ উপড়ে নিয়ে আসে ধারালো ঘাতক পুরুষদের জন্য

৩ পেগ এমোক্সিসিলিনের পর অতল প্রদেশের জিমুত ঈশ্বরেরা নৈঋতনীল রঙের রথচক্রে বসে পৃথিবীর এক খন্ড জরায়ুকে নিজের অতিপ্রাকৃত পিটুইটারির ভেতরে রেখে দেয়, গলনাঙ্ক হীন সাপের বৃত্তাকার পিড়ির ভেতর
বৃষ্টির পর প্রতিটি জিভকে টকটকে লাল দেখায় না
অজস্র পদাতিক সৈন্যদল আজ এই মধ্যরাতে উঠে নিজেদের শিরদাঁড়ার তৃতীয় জারজ সন্তানদের দাঁতালো দাঁতগুলো ভেঙে ভেঙে খাচ্ছে মোমবাতি রঙের পাথরকুচি পাতার সাথে,

প্রাচীন কোন গণিতবিদ রসায়ন অ্যামালগামের ছুরিকাঘাতে বিটা রোগে আক্রান্ত বিষধর গলিত সায়ানাইডের ভেতর রেখে দেয় মৃৎশিল্পীর গোপন কক্ষের বীর্যকোষ, আমাদের লেবু ফলের সাইট্রাস বাগানের  মতো আর কোন সন্ন্যাস ক্ষেত্রফল নেই
সমুদ্রের তীরে এলে অন্তর্বাসের ভেতর সবুজ ঝাউগাছেরা উলঙ্গ ডান স্তন থেকে বৃষ্টি দানার মতো কাকতালীয় নেমে যায় পরাশর হয়ে,  কিছু গম চাষের পর আমাদের গায়ে আর কোন অপরাধ বোধ লেগে থাকে না
পোশাকেরা কাপালিক হয়ে পেন্ডুলামের মতো ঝুলে আছে, আমি মৃত্যুর পর এক ঈশ্বরের কাছে প্রাণায়াম শিখছি লাল রঙের ভূগোল বৃত্তান্ত দিয়ে

হেরোডেটাস রাতের ঘন্টা বাজিয়ে আমাদের মৃত জানালাটিকে উম জননতন্ত্র করে যাচ্ছে, আমি শুধু চটচটে টেস্টোস্টেরন মুখে নিয়ে নগ্ন হোমাগ্নি জলে স্নান করি ধ্যানে যাওয়ার আগে
আমাদের উঠোনজুড়ে কিছু বর্ণহীন ক্ষত্রিয়রা শর্তহীন চাষাবাদে নেমেছে , বাবা ঠিক এই কারণে লাল মুসাণ্ডার জোড় কলম ঘটিয়ে যেতেন ট্রপোস্ফিয়ারে


তন্ময় চৌধুরী ও নীল বীজপত্রের শ্মশান
 

তন্ময় চৌধুরীর জন্য এক শ্মশান ভর্তি ত্রিকোণমিতিক জীবাশ্ম ফুল জমিয়ে রেখেছি দেয়ালের হরপ্পা খুঁড়ে খুঁড়ে

তার শরীর জুড়ে ৯৩ ডিগ্রির দহন আর ঠিকানা বলতেই ১/২ অতিপ্রাকৃত নক্ষত্রতলা অমরাবতীর পশ্চিমপাড়,  সবুজ লনের আবৃত দ্বিতীয় শব ব্যবচ্ছেদ ঘরে কৈলাসের বহুতল আবাসন খুঁজছে একদল সরীসৃপ মানুষ
টেস্টোস্টেরনের মতো আমাদের আর কোন সুপেয় গোলার্ধ থাকলো না, বাইরে নগ্ন বৃষ্টি ঝরছে জারুল জরায়ুদের মতো অদৃশ্য ঘর্মগ্রন্থি নিয়ে, হাইপোথ্যালামাসে রঙিন বাঁশি বাজাচ্ছে পরকীয়া মাধব

বিক্রমাদিত্য মাঝে মাঝে জমাট রক্তের পাহাড় থেকে একগুচ্ছ মাধবীলতার ফুল পেড়ে তরুক্ষীর রঙের নৌকাটিকে অ্যালুনোরিয়া অসুখে ডুবিয়ে রাখতেন গলা থেকে বেরিয়ে আসা বদরক্ত, বাদামী প্যারাসিটামল, হলুদ কার্তুজ আর ৯০ টি আগ্নেয়াস্ত্র ভেজা ঘোড়ার গাণিতিক সাংখ্যমানে ডুবিয়ে
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি আর কিছু নয় এক নয়নজুলির নিচে অসংখ্য দধীচির হাড়ের ঘনত্ব মাত্র, তেরোজন দ্রোণাচার্য আর ১১১ জন ক্ষুদ্রতম শিবের শরীর ঈশ্বরীদের সাথে জলজ মৈথুন করছে মিথাইল চোখের উপর, আমার পোশাকটিকে মৃত ঘোষণা করছে রাতের অন্ধকারের যোণিময় মুখ
রসায়ন বলতে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি ও ১৬ হাজার পরকীয়া ও একটি ম্যাগালড্রেড দ্বারকা নগর

উভয়লিঙ্গ মানুষটি তরোয়াল মাথায় নিয়ে যুধিষ্ঠির হয়ে যাচ্ছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন