আতসবাজি
এখন ভাবছি আতসবাজি হলেই ভালো হতো,
ভীষণ রাগে দপ করে জ্বলে উঠতাম অন্ধকারে।
টুকরো টুকরো শরীর থেকে ঝরে পড়তো আলো,
ভীষণ রকম তুচ্ছ-তুচ্ছ,ফিনকি-ফিনকি আলো।
শব্দ হতো, শব্দদূষণ, ভীষণ রকম,
অন্ধকারে তাও তো কিছু অন্যরকম দেখতে হতাম,
বারুদ বুকে আলো ঝরা ফুলের মতোন, ফুর্তি নাচন।
রাত একটা কুড়ি
রাত একটা কুড়ি,
গাঢ় ঘুমের মধ্যে সাইরেন।
গাঢ় ঘুমের মধ্যে জিরাফের স্বর।
অন্ধকারের চোখ ঠেলে দেখি,
নিঝুম টেবিলের আলোয় মাথানিচু বসে-
সাহিত্য আকাদেমি পাওয়া এক কবি,
কি যেন লিখছেন
এবং সেইসব লেখা কাঁচভাঙা শব্দে-
গেঁথে বসছে রাত্রি শ্লেটে।
আবার ঝরেও পড়ছে ভীষণ উল্কাপাতে।
যদিও আজ তার প্রমাণ বলতে,
আছে শুধু, ধূলো চড়ুইয়ের ধূলো খুনসুটি।