মেঘ-বৃষ্টি
শহর জুড়ে বৃষ্টি এলো খুব।
ভিজলো বাড়ি। জানলা কাঁচে জল।
আজকে হঠাৎ মেঘমল্লারে ডুব।
তোমার কাছে ফেরত যাওয়ার ছল।
ভিজতে ভিজতে একলা কোনো ট্রাম।
দিচ্ছে পাড়ি মায়াজাকির দেশ।
হলদু রঙের ছোট্ট একটা খাম।
শেষ না হওয়া কান্না, চিঠির রেশ...
বুকের মধ্যে অনন্তকাল থাক।
এসব মায়া। ভালোই জানি, তাই...
কালবৈশাখী বার্তা নিয়ে যাক।
হাজার ঝগড়া হলেও তোমায় চাই
একটি খুন এবং
অনেকদিন পর আমাদের পাড়ায় আজ বিকেলে একটা খুন হলো।
পাখিরা মাথা নিচু করে চলে গেল যে যার বাসায়।
কেউ ডাকলো না।
বসন্তের দখিনা বাতাস আমাদের পাড়া দিয়ে যাওয়ার সময়,
কমিয়ে ফেললো তার স্নিগ্ধতা।
শুধুমাত্র
একটি লোক মাংস কিনে বাড়ি ফেরার পথে হাসি মুখে তাকিয়ে রইলো সেই দিকে।
আঘাতে আঘাতে কেঁপে কেঁপে উঠছে দেহ
একের পর এক কোপ পড়ছে ক্ষত স্থানে।
ছিটকে পড়ছে ছাল, চামড়া, মাংসের টুকরো।
শুধু
যেন কোনো সার্কাস হচ্ছে তাই,
এই খুনের দৃশ্য দেখতে
দাঁড়িয়ে পড়েছে বেশ কিছু লোক।
সমস্ত বাতাসে বাতাসে অনুরণন তুলে ছড়িয়ে পড়ছে আর্ত- চিৎকার
জ্যান্ত তরতাজা অবস্থায় একের পর এক আঘাতে সমস্ত শরীর টলোমলো।
সে জানে যে এই যে সে আজ খুন হলো
এতে তার কোনো দোষ নেই,
শুধুমাত্র কিছুটা জায়গা নিয়ে নেওয়া ছাড়া।
সে এটাও জানে যে
আজ সে খুন হয়ে যাচ্ছে বলে
হবে না কোনো শোকসভা,
হবে না কোনো মোমবাতি মিছিল।
না! আলোড়ন উঠবে না!
সংবাদপত্র ও খবরের চ্যানেল গুলোতে।
শুধু রক্তের গন্ধ মাখা হাওয়া,
বহু দূরের গাছেদের কাছে পৌঁছে দেবে-
আর একটি গাছের মানুষের হাতে খুন হয়ে, যাওয়ার সংবাদ।
আর
বাকি
গাছেরা শিকড়ে শিকড় চেপে
অপেক্ষায় থাকবে।