চিঠি
একটি হলুদ খামের অভাবে বহুদিন আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখা হয়নি।
সে অভাব যখন পূরণ করল আমার এক বন্ধু, সুহৃদ, শুভাকাঙ্ক্ষী তখন মনে হলো কিছু কথা লিখি।
কে কোথায় হারিয়ে যাব ঠিকানা বদলের হিরিকে চিরচেনা এই শহর ছেড়ে!
তখন যদি উত্তর আসেও হয়তো পড়ে থাকবে বেওয়ারিশ ডাক বাক্সে।
আমাদের প্রাণের আকুতি, প্রত্যুষের প্রার্থনা, আত্মনিবেদন, কতটুকুই বা সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে?
মাঝখানে কত মধ্যস্বত্বভোগী,
মোল্লা, পুরুত, যোগী!
আচ্ছা, তোমার আমার মাঝে তো কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছিল না,
তোমার প্রতি ছিল আমার বিশ্বাস,
আমার প্রতি ছিল তোমার আস্থা অবিচল!
তবে কোন প্ররোচনায়, কার উৎসাহে আমরা ভক্ষণ করেছিলাম অবিশ্বাসের নিষিদ্ধ ফল?
বিতাড়িত হয়েছিলাম স্বরচিত স্বর্গ থেকে?!
এখনো কী তোমার প্রার্থনায় প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা থাকে?!
না কি প্রত্যাখ্যানের সেই কষ্টকেই যত্নে লালন করে যাচ্ছ?
অথবা ঘৃণার প্রলেপ লাগিয়ে সারিয়ে তুলেছ পুরোনো ক্ষত!
ভেজিটেরিয়ান
হিমাঙ্কের নিচে নেমেছিল তোমার প্রথম প্রেম,
অথচ আজন্ম শীতার্ত আমি বার বার ছুটে গিয়েছি তোমার কাছে একটু উষ্ণতার জন্য!
তারপর তোমার প্রেম যখন বরফ গলা নদী,
আমি তখন অপুষ্টিতে ভোগা,
রোগা জীর্ণকায় যুবক এক!
আমার যখন ভীষণ রকম আমিষের অভাব,
মাছের মতো তখনও তোমার শীতল রক্ত স্বভাব!
যখন আমি বুদ্ধের মতো ভেজিটেরিয়ান হলাম,
তখন তুমি নিবেদন করছো মদের নহর, মাংসের পাহাড়?